কলকাতা, 14 এপ্রিল: রাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপির 35 আসন জয়ের স্বপ্নকে দিবা স্বপ্ন বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ৷ রাজ্যে বিজেপি 35টি লোকসভা আসন পেলে তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে, শুক্রবার সিউড়ির সভা থেকে এই ভাষাতেই তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও পরোক্ষে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যাকে দিবা স্বপ্ন বলে তীব্র কটাক্ষ করল তৃণমূল ৷ পালটা তৃণমূল সাংসদের দাবি, মানুষ ভোটের মাধ্যমেই বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে ৷
দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তার আগে অনুব্রতর খাস তালুকে দাঁড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায় ৷ এতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে যেভাবে রাজ্য বিজেপি নেতারা বারবার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা বলছিলেন, প্রকান্তরে তাতেই এদিন সায় দিলেন অমিত শাহ ৷ তবে রাজ্যে সরকার ফেলার ক্ষেত্রে তাঁর ফর্মুলা অন্য ৷ এদিন শাহ দাবি করেন, লোকসভায় এ রাজ্য থেকে বিজেপি 35টি আসন পেলেই মমতা সরকার পড়ে যাবে ৷ যা নিয়ে চরম উষ্মা প্রকাশ করেছে তৃণমূল ৷ অমিত শাহের এই আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "দিবা স্বপ্ন দেখছে বিজেপি ৷ অপেক্ষা করুন, বিজেপির জুমলাবাজির জবাব মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেবে।"
পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করতে এ রাজ্য থেকে 35টি আসন দেওয়ার জন্য এদিন আবেদন জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, লোকসভায় 35টি আসন বিজেপি পেলে রাজ্যে মমতা সরকার পড়ে যাবে। যার পালটা অমিত শাহের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে শান্তনু বলেন, "সাত মন তেলও পুড়বে না। আর রাধাও নাচবে না।"
এদিন তিনি আরও বলেন, "অতীত থেকে যারা শিক্ষা নেয় না, তাদের নির্লজ্জই বলা হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডেলি প্যাসেঞ্জারের মত রাজ্যে এসেছিলেন। হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেভেন স্টার হোটেলে থেকে নির্বাচন কমিশন, সোশাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া সমস্ত কিছুকে ব্যবহার করে, অবকিবার 200 পার বলেছিল ৷ তারপর যেভাবে বিজেপিকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল, তারপরেও এই রকম দিবা স্বপ্ন যদি কেউ দেখে তাকে নির্লজ্জ ছাড়া আর কী বলা যায় ?"
শান্তনু সেন দাবি করেছেন, একুশে 77 জন বিধায়ক জিতেছিল বিজেপির। বিধানসভায় সেটা কমতে কমতে এখন কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে সেটাই তারা বলতে পারবে না। প্রত্যেকটা নির্বাচনেই রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হচ্ছে বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, "বাটি নিয়ে কখনও সিপিএম, কখনও আইএসএফ-এর কাছে ভোট ভিক্ষা করতে হচ্ছে । আমি কারও নাম বলতে চাই না, তবে বাংলায় ভারতীয় জুমলা পার্টির কোনও ভবিষ্যৎ নেই।"
অন্যদিকে সিউড়ির সভা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শান্তনু বলেন, "ভারতীয় জুমলা পার্টির পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসেছেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন ৷ তাদের মিটিংয়ে বাংলার মানুষ আসেনি। তাই পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার থেকে লোক এনে তাদের সমাবেশ করতে হচ্ছে। অপেক্ষা করুন বিজেপির জুমলাবাজির সমস্ত জবাব মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেবে।"