কলকাতা, 5 এপ্রিল : বীরভূমের বামফ্রন্ট প্রার্থী রেজাউল করিমকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
রেজাউল করিম সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। 2017 সালের জুনে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া পাননি তিনি। 2018 সালে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার চার্জশিটও পেশ করে। তারপরও ঘটনার নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর চলতি বছরের 6 মার্চ ও 11 মার্চ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মারফত তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান স্বাস্থ্য দপ্তরে। তার প্রত্যুত্তরে কর্তৃপক্ষ জানায়, এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হতেও পারে। এরপর 29 মার্চ তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ পান যে 25 মার্চ ইশু করা একটি চিঠিতে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
এরপর তিনি SAT (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল)-র দ্বারস্থ হন 1 এপ্রিল। ট্রাইবুনাল রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলে। কিন্তু কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাননি রেজাউল করিম। অবশেষে গতকাল তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আজ মামলাটি বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত বলেন, "রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এই অবস্থায় পদত্যাগ গ্রহণ করার কোনও আইনি সংস্থান নেই।" অন্যদিকে রেজাউল করিমের তরফে আইনজীবী জয়দীপ ভট্টাচার্য ও শামিল আহমেদ বলেন, "যাতে আমাদের মক্কেল ভোটে লড়তে পারেন সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। উনি পরবর্তীকালে চাকরির কোনও সুযোগ নিতে চান না।"
এরপর বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও রেজাউল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, "উনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।" পদত্যাগ নিয়ে হাইকোর্ট বলে, "কেউ যদি মনে করেন আগামীকাল থেকে আমি আর কাজ করতে চাইছি না, তাহলে তাঁকে আটকে রাখা যায় না। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ফোর্সদের ক্ষেত্রেই হয়।"