কলকাতা, 12 নভেম্বর : একদিকে পেট্রোপণ্যের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভ্যালু এডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট কমানোর দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতে তৈরি বিদেশি মদ বা আইএমএফএল এবং বিয়ারের উপর আবগারী শুল্ক কমার ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে অনেকটাই দাম কমতে চলেছে আইএমএফএল এবং বিয়ারের দাম এই রাজ্যে।
আর এ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিরোধী দলগুলি। তাদের মতে পেট্রোপণ্যের উপর ভ্যাট না কমিয়ে মদের উপর শুল্ক কমানোর এই যে সিদ্ধান্ত, এটাই বুঝিয়ে দেয় রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের উপকার না করে রাজ্যের মানুষকে সস্তায় মদ্যপান করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এবার দেখা যাক কতটা কমবে মদের দাম। খুচরো বিক্রেতা ওম প্রকাশ গুপ্তার হিসাব অনুযায়ী 750 মিলিলিটার আইএমএফএল বোতলের ক্ষেত্রে দাম কমবে 100 টাকা থেকে 600 টাকা পর্যন্ত। "যত উচ্চমানের এবং বেশি দামের মদ হবে তত বোতলপ্রতি দাম কমবে," জানিয়েছেন তিনি।
তবে কি এই আইএমএফএল এবং বিয়ারের উপর শুল্ক কমার ফলে ক্ষতি হবে আবগারী রাজস্বের। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজস্ব ক্ষতি হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। বরং বাড়তে পারে আবগারী রাজস্ব ৷ অর্থনৈতিক বিশ্লেষক নীলাঞ্জন দে'র মতে, "সম্ভবত দেশি মদের সঙ্গে আইএমএফএল বা বিয়ারের আবগারি শুল্কের হারের তফাৎ ছিল। তাই নিম্নমূল্যের আইএমএফএল ক্রেতারা দেশি মদের দিকে সরে আসছিলো। সে কারণে আবগারি শুল্ক কিছুটা কমিয়ে আবার নিম্নমূল্যের আইএমএফএলের দিকে ক্রেতাদের ফিরিয়ে আনা যাবে। আইএমএফএল এবং বিয়ারের দাম কমার ফলে এই দুই ধরনের মদের বিক্রি বাড়বে। ফলে বাড়বে আবগারী রাজস্ব।"
আরও পড়ুন : বিএসএফের কাজের সীমানা বৃদ্ধি প্রসঙ্গ উঠলই না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে
বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে দেশি মদের চাহিদা এবং বিক্রি ক্রমেই বেড়ে চলছিল। তুলনায় বাজারে অনেকটাই পড়তি ছিল আইএমএফএল এবং বিয়ারের চাহিদা। পুজোর মরশুমে অর্থাৎ, অক্টোবর মাসের প্রথম 12 দিনে খুচরা মদ বিক্রেতারা তুলেছিল 1.46 কোটি লিটার দেশি মদ ৷ রাজ্য আবগারি দফতরের হিসাব অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সেই তুলনায় ওই একই সময়ে আইএমএফএল বা বিয়ারের চাহিদা কম ছিল অনেকটাই।