কলকাতা, 5 মে : করোনা মোকাবিলাই প্রথম কাজ ৷ তৃতীয়বারের জন্য় ক্ষমতায় এসে আজ এই ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ সেইমতো শপথ নিয়েই নবান্নে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ সেখানে পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বেশ কিছু বৈঠক করেন তিনি ৷ তারপরেই দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷
বৈঠক করে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন, সরকারের তরফে সম্পূর্ণ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷ তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করার কথা জানিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি সকলকে মাস্ক এবং স্য়ানিটাইজার ব্য়বহারের নির্দেশ দেন ৷ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিতে 50 শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মমতা ৷
ইতিমধ্য়ে নির্দেশিকা জারি করে শপিং মল, কমপ্লেক্স সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় সরকার ৷ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ আরও কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷
এরমধ্য়ে আজ রাজ্য় সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী কাল থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে লোকাল ট্রেন ৷ কতদিন তা বন্ধ থাকবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য় দেওয়া হয়নি ৷ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের এই ঘোষণার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে যাত্রীদের কাছ থেকে ৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এখনই কোনও নির্দেশ নয়: হাইকোর্ট
অনেকেই জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে অনেকের রুটি রুজিতে সমস্য়া দেখা দেবে ৷ চাকরি হারাবেন অনেকেই ৷ তাঁরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্য় সরকারের কাছে ৷ অন্য়দিকে অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের চেন ভাঙার জন্য় ট্রেন চলাচল বন্ধ করা খুব দরকার ৷
আসানসোল, বর্ধমান, হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনের হকারদের অনেকেই জানিয়েছেন, রেলের উপরেই নির্ভর করে তাঁরা সংসার চালান ৷ তাই ট্রেন বন্ধ হলে তাঁদের রুটিরুজিতে টান পড়বে বলে ৷ পাশাপাশি মেট্রোও 50 শতাংশ হারে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে মেট্রো যাত্রীদের অনেকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন সময় দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলে সুবিধা হত যাত্রীদের ৷