কলকাতা, 24 জুন :নিজেকে ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে কসবার রাজডাঙা এলাকার 107 নম্বর ওয়ার্ডে করোনা টিকাকরণ শিবির চালাচ্ছিল এক ব্যক্তি ৷ যাদবপুরের সাংসদ ও মন্ত্রী জাভেদ খানের তৎপরতায় প্রকাশ্যে আসে ভুয়ো এই টিকাকরণ শিবিরের ঘটনাটি ৷ তারপরই শুরু হয় ধৃতের খোঁজ ৷ ধরাও পড়ে ধৃত দেবাঞ্জন দেব ৷ এই ভুয়ো করোনা টিকাকরণ শিবিরে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা কতটা আতঙ্কিত,কতটা ভীত তাঁরা ?
সুকান্ত কর নামে এক টিকা গ্রহণকারী বললেন, "17 তারিখ টিকা নিয়েছিলাম ৷ আমার স্ত্রীও নিয়েছিলেন ৷ টিকা নেওয়ার কিছুদিন পর আমাদের দুজনের ফোনেই যখন কোনও মেসেজ আসেনি , আমাদের সন্দেহ হয় , কিন্তু তারপর আর সেই নিয়ে মাথা ঘামাইনি ৷ তারপর 22 তারিখ যখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তখন থেকেই বারবার মনে হচ্ছে , কেন টিকা নিতে গেলাম ৷ "
সঞ্জয় সাহা নামে এক ব্যক্তির কথায় উঠে এল এক বিস্ময়কর তথ্য ৷ তিনি বললেন, "যেদিন আমরা টিকা নিতে গিয়েছিলাম,সেদিন দেবাঞ্জন দেব মোবাইল বাইরে রেখে তবেই টিকা নেওয়া যাবে বললেন ৷ এমন কথা শুনে ভীষণই অবাক হই ৷ কিন্তু পরে মেনে নিই ৷ তাছাড়া যখন আমাদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমরা একাধিকবার জানতে চেয়েছিলাম আমাদের কী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে,তখন আমাদের বলা হয়েছে কোভিশিল্ড ৷ আবার আমাদের সঙ্গে নেওয়া অন্য আর একজনকে জিজ্ঞাসা করলে বলে যে তাঁদেরকে কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত জানতেই পারলাম না, আদতে কী দেওয়া হয়েছে আমাদের ৷ " চন্দন মল্লিক নামের এক ব্যক্তিও টিকা নিয়েছিলেন ৷ তাঁর প্রতিক্রিয়াও এক ৷ তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না,কী কারণে এরকম ভুয়ো শিবিরের আয়োজন করা হল ৷
পাশপাশি এঁরা প্রত্যেকেই জানান , টিকা নেওয়ার পর এঁদের শরীরে কোনওরকম সমস্যা দেখা দেয়নি ৷ গা ,হাত-পা ব্যাথ্যা বা মাথা ব্যাথা বা অন্য কোনও সমস্যাও নেই ৷ অন্যদিকে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন , ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের নাম নিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হল , 10-12 দিন দিন ধরে প্রায় 100 এর উপর মানুষের টিকাকরণ হল, তাঁদের টিকার নামে কী দেওয়া হল, তাও জানা গেল না ৷ এরকম ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না হয় সেই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ "
আরও পড়ুন : ভুয়ো আইএএস কাণ্ডে তদন্তে নামল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ