কলকাতা, 11 মার্চ : কোকেন কাণ্ডে ধৃত রাকেশ সিংয়ের আচরণে রীতিমতো নাজেহাল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, জেরা চলাকালীন মাঝেমধ্যেই মারমুখী হয়ে ওঠেন ধৃত এই বিজেপি নেতা ৷ এক মহিলা কনস্টেবলকে জলের পাত্রও ছুড়ে মারেন তিনি ৷ অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই কনস্টেবল ৷ এরপরই রাকেশের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয় ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 353 ধারা অনুসারে রুজু হয় মামলা ৷
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেই শেষ নয় ৷ পুলিশের হেফাজতে আসার পর থেকেই নানাভাবে তদন্তকারীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে চলেছেন রাকেশ ৷ এর আগে তাঁর আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মক্কেলকে পুলিশ হেফাজতে মারধর করা হচ্ছে ৷ যদিও বাস্তব একেবারে উল্টো বলেই দাবি সূত্রের ৷ অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নানাভাবে নিজেকে আহত করার চেষ্টা করছেন রাকেশ ৷ যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সর্বদা সজাগ থাকতে হচ্ছে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের ৷
এদিকে, এরই মধ্যে রাকেশকে জেরা করে সামনে এসেছে আরও এক তরুণীর নাম ৷ সূত্রের খবর, 2019 সালে অমৃতা নামে ওই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ হয় রাকেশের ৷ পরে তা বন্ধুত্বে গড়ায় ৷ রাকেশ ও অমৃতার একজন কমন ফ্রেন্ড রয়েছেন ৷ যিনি এই দু’জনকে পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ৷
আরও পড়ুন : নিউ আলিপুর মাদককাণ্ডে গ্রেফতার আরও 2
আলাপ জমার পর রাকেশ জানতে পারেন, বেশিরভাগ সময়েই পার্টিতে ব্য়স্ত থাকেন অমৃতা ৷ পুলিশের অনুমান, কোকেনের কারবার বাড়াতে অমৃতার এই যোগাযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন রাকেশ ৷ অমৃতাকে বাধ্য করেন পরিচিতদের মধ্যে কোকেন সরবরাহ করতে ৷ কলকাতা পুলিশের হাতে আসা তথ্য বলছে, বাইপাস লাগোয়া একটি পাঁচতারা হোটেলে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয় রাকেশ-অমৃতার ৷ সেখানে স্থির হয়, পার্টিতে গিয়ে কোকেনের গ্রাহক খুঁজবেন অমৃতা ৷ তারপর রাকেশের সরবরাহ করা কোকেনই বিক্রি করবেন তাঁদের ৷ সূত্রের খবর, পাঁচতারা হোটেলের এই বৈঠকে রাকেশ-অমৃতার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মাদক সরবরাহকারীও উপস্থিত ছিল ৷ এমনকী, তাদের কোকেনের বরাতও দিয়েছিলেন রাকেশ ৷