ETV Bharat / state

মহারাষ্ট্র, গুজরাত থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে চোরাই মোবাইল ফোন ! - মহারাষ্ট্র, গুজরাত

মহারাষ্ট্র, গুজরাত থেকে চুরি হচ্ছে ফোন ৷ তারপর তা পাচার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে ৷ এই চক্রের পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে ৷

চোরাই মোবাইল
author img

By

Published : Aug 30, 2019, 5:10 AM IST

কলকাতা, 30 অগাস্ট : দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে! কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধরা পড়েছে মালদার এক এবং কলকাতার দু'জন। এই চক্রের জাল ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে লালবাজার। পুলিশের সন্দেহ গুজরাত, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা ।

রীতিমতো ভিসা নিয়ে বিমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসত আবদুল মনিম রাহি এবং আহমেদ শামি। তাদের দু'জনেরই বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে । পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসত এদেশ থেকে মোবাইল ফোন বাংলাদেশে পাচার করতে । কীভাবে কাজ করত তারা ? আবদুলরা এদেশে এসে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিত । সেই চক্রের পান্ডা থাকে খিদিরপুরে । পুলিশ জানতে পেরেছে তার নাম সমীর । ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে । সমীরের বলে দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে তারা কিনে নিত চোরাই মোবাইল ফোন । তারপর তা চলে যেত বাংলাদেশে । এক্ষেত্রে তারা সাহায্য নিত কুরিয়ারের । মূলত অনামী আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হত মোবাইল ফোন। পাশাপাশি বাংলাদেশগামী বাস বা ট্রেনের যাত্রীদের হাতে দেওয়া হত মোবাইল ফোন । বলা হত, সীমান্তের ওপারে তাদের আত্মীয়রা তা নিয়ে নেবেন । টার্গেট করা যাত্রীদের হাতে তিনটির বেশি মোবাইল ফোন দেওয়া হত না । এক গোয়েন্দা জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তির কাছে তিন-চারটি মোবাইল ফোন থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সন্দেহ করার খুব একটা অবকাশ নেই । আর সেটাকে কাজে লাগাত আবদুলরা। সে জানতেও পারত না যে তার হাত দিয়ে পাচার হচ্ছে চোরাই মোবাইল ফোন ।

Mobile
উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন

গতকাল লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন খবর পায়, জোড়াসাঁকো এলাকার মুনলাইট সিনেমা হলের কাছে এবং চাঁদনিচক এলাকায় বিক্রি হবে প্রচুর চোরাই মোবাইল ফোন । সেই মতো চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল এবং আহমেদ ছাড়াও বেলেঘাটা এলাকার বিকাশ জয়সওয়াল ও দমদমের রাজেশ ভগতকে ধরা হয় । সেই সময়, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 206টি চোরাই মোবাইল । এরমধ্যে বিকাশ এবং রাজেশের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 153টি মোবাইল । তারা জানিয়েছে, গুজরাত থেকে ওই চোরাই মোবাইল ফোন কলকাতায় কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা হয়েছিল। এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল খিদিরপুরের সমীর। বাকি 53টি ফোন পাওয়া যায় আবদুল এবং আহমেদের কাছ থেকে । তারা জানায়, ওই চোরাই ফোনগুলি খিদিরপুরের একাধিক ব্যক্তির থেকে সংগ্রহ করেছিল তারা ।

Mobile
থরে থরে সাজানো রয়েছে মোবাইল

কয়েকদিন আগে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যাদবপুর এবং আনন্দপুর থানা এলাকার দোকান থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের তদন্তে নামে । সেই সূত্র ধরে মহম্মদ সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার বাড়ি মালদার কালিয়াচকে । জানা গেছে, সে ঝাড়খণ্ডের তিন পাহাড় এবং রাজমহল এলাকার চোরাই মোবাইল ফোনের একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত । পুলিশের সন্দেহ, সাইফুল্লাহ এই মোবাইল ফোন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিক্রি করে দিত। তা চলে যেত বাংলাদেশে ।

Mobile
ধৃতেরা

কলকাতা, 30 অগাস্ট : দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে! কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধরা পড়েছে মালদার এক এবং কলকাতার দু'জন। এই চক্রের জাল ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে লালবাজার। পুলিশের সন্দেহ গুজরাত, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা ।

রীতিমতো ভিসা নিয়ে বিমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসত আবদুল মনিম রাহি এবং আহমেদ শামি। তাদের দু'জনেরই বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে । পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসত এদেশ থেকে মোবাইল ফোন বাংলাদেশে পাচার করতে । কীভাবে কাজ করত তারা ? আবদুলরা এদেশে এসে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিত । সেই চক্রের পান্ডা থাকে খিদিরপুরে । পুলিশ জানতে পেরেছে তার নাম সমীর । ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে । সমীরের বলে দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে তারা কিনে নিত চোরাই মোবাইল ফোন । তারপর তা চলে যেত বাংলাদেশে । এক্ষেত্রে তারা সাহায্য নিত কুরিয়ারের । মূলত অনামী আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হত মোবাইল ফোন। পাশাপাশি বাংলাদেশগামী বাস বা ট্রেনের যাত্রীদের হাতে দেওয়া হত মোবাইল ফোন । বলা হত, সীমান্তের ওপারে তাদের আত্মীয়রা তা নিয়ে নেবেন । টার্গেট করা যাত্রীদের হাতে তিনটির বেশি মোবাইল ফোন দেওয়া হত না । এক গোয়েন্দা জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তির কাছে তিন-চারটি মোবাইল ফোন থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সন্দেহ করার খুব একটা অবকাশ নেই । আর সেটাকে কাজে লাগাত আবদুলরা। সে জানতেও পারত না যে তার হাত দিয়ে পাচার হচ্ছে চোরাই মোবাইল ফোন ।

Mobile
উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন

গতকাল লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন খবর পায়, জোড়াসাঁকো এলাকার মুনলাইট সিনেমা হলের কাছে এবং চাঁদনিচক এলাকায় বিক্রি হবে প্রচুর চোরাই মোবাইল ফোন । সেই মতো চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল এবং আহমেদ ছাড়াও বেলেঘাটা এলাকার বিকাশ জয়সওয়াল ও দমদমের রাজেশ ভগতকে ধরা হয় । সেই সময়, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 206টি চোরাই মোবাইল । এরমধ্যে বিকাশ এবং রাজেশের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 153টি মোবাইল । তারা জানিয়েছে, গুজরাত থেকে ওই চোরাই মোবাইল ফোন কলকাতায় কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা হয়েছিল। এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল খিদিরপুরের সমীর। বাকি 53টি ফোন পাওয়া যায় আবদুল এবং আহমেদের কাছ থেকে । তারা জানায়, ওই চোরাই ফোনগুলি খিদিরপুরের একাধিক ব্যক্তির থেকে সংগ্রহ করেছিল তারা ।

Mobile
থরে থরে সাজানো রয়েছে মোবাইল

কয়েকদিন আগে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যাদবপুর এবং আনন্দপুর থানা এলাকার দোকান থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের তদন্তে নামে । সেই সূত্র ধরে মহম্মদ সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার বাড়ি মালদার কালিয়াচকে । জানা গেছে, সে ঝাড়খণ্ডের তিন পাহাড় এবং রাজমহল এলাকার চোরাই মোবাইল ফোনের একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত । পুলিশের সন্দেহ, সাইফুল্লাহ এই মোবাইল ফোন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিক্রি করে দিত। তা চলে যেত বাংলাদেশে ।

Mobile
ধৃতেরা
Intro:কলকাতা, ২৯ অগাস্ট: দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুলি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে! কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে এমনই তথ্য। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মালদার এক ব্যক্তি এবং কলকাতা দুই ব্যক্তিকে। এই চক্রের জাল ঝাড়খন্ড রয়েছে বলে জানতে পেরেছে লালবাজার। পুলিশের সন্দেহ গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মত রাজ্যগুলিতে রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা।Body:রীতিমতো ভিসা নিয়ে প্লেনে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসতো আব্দুল মনিম রাহি এবং আহমেদ শামি। তাদের দুজনেরই বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। পুলিশ জানিয়েছে তারা মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতো এদেশ থেকে মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করতে। গোয়েন্দারা যে মডাস অপারেন্ডি জানতে পেরেছেন তা হল, আব্দুলরা এদেশে এসে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে নিত মোবাইল। সেই চক্রের পান্ডা থাকে খিদিরপুরে। পুলিশ জানতে পেরেছে তার নাম সমীর। ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে। সমীরের বলে দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে তারা কিনে নিত চোরাই মোবাইল। তারপর তা চলে যেত বাংলাদেশে। এক্ষেত্রে তারা সাহায্য নিত কুরিয়ারের। মূলত অনামী আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হত মোবাইল। পাশাপাশি বাংলাদেশগামী বাস বা ট্রেনে যাত্রীদের হাতে দেওয়া হতো মোবাইল। বলা হতো সীমান্তের ওপারে তাদের আত্মীয়রা নিয়ে নেবেন সেই মোবাইল। টার্গেট করা যাত্রীদের হাতে তিনটের বেশি মোবাইল দেওয়া হতো না। এক গোয়েন্দা জানাচ্ছেন, একজন ব্যক্তির কাছে তিন-চারটে মোবাইল থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সন্দেহ করার খুব একটা অবকাশ নেই। আর সেটাকে কাজে লাগাতে আব্দুলরা। সেইজানতেও পারতো না তার হাত দিয়ে পাচার হচ্ছে চোরাই মোবাইল।

গতকাল লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন খবর পায়, জোড়াসাঁকো এলাকার মুনলাইট সিনেমা হলের কাছে এবং চাঁদনিচক এলাকায় বিক্রি হবে প্রচুর চোরাই মোবাইল। সেই মত চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আব্দুল এবং আহমেদ ছাড়াও বেলেঘাটা এলাকার বিকাশ জয়সোয়াল ও দমদমের রাজেশ ভগতকে। পাকড়াও করার সময় এই যে তোদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 206টি চোরাই মোবাইল। এরমধ্যে বিকাশ এবং রাজেশের কাছে উদ্ধার হয় 153 টি মোবাইল। তারা জানায়, গুজরাট থেকে ওই চোরাই মোবাইল কলকাতায় কুরিয়ারের মাধ্যমে আনানো হয়েছিল। এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল খিদিরপুরের সমীর। বাকি 53 কি ফোন পাওয়া যায় আব্দুল এবং আহমেদের কাছে। তারা জানায়, ওই চোরাই ফোন গুলি খিদিরপুরের নানা ব্যক্তির থেকে সংগ্রহ করেছিল তারা।
Conclusion:পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যাদবপুর এবং আনন্দপুর থানা এলাকার দোকান থেকে চুরি হওয়া মোবাইলের তদন্তে নামে। সেই সূত্র ধরে মহম্মদ সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি মালদার কালিয়াচক এলাকায়। জানা গেছে, সে ঝাড়খন্ডের তিন পাহাড় এবং রাজমহল এলাকার চোরাই মোবাইলের একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের সন্দেহ, সাইফুল্লাহ এই মোবাইল বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিক্রি করে দিত। তা চলে যেত বাংলাদেশে। দেশজোড়া এই চক্রে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত আছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.