কলকাতা, 4 অগস্ট: "ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।" প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা নিয়ে একথাই বললেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার রাতে এই বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রবীণ বামনেতার শারীরিক পরিস্থিতি দেখতে আসেন ৷ 29 জুলাই সংকটজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয় ৷ এখনও তিনি আইসিইউতেই রয়েছেন ৷
এদিন চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন ৷ এরপর প্রবীণ চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, "গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ এবার তাঁর ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে ৷ দু-একটি বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য চিকিৎসকরা আমায় ডেকেছিলেন ৷ তাঁর বয়স হয়েছে ৷ তিনি বহুদিন ধরেই অসুস্থ ৷ তাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার ম্যাজিকের মতো পরিবর্তন হবে না ৷ ধীরে ধীরে হচ্ছে ৷" প্রবীণ চিকিৎসকের আশা, এভাবেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসক আরও জানান, শেষমেশ কতটা স্বাভাবিক অবস্থায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব তা এখন থেকে বলা মুশকিল ৷ শারীরিক পরিস্থিতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পালটে যেতে পারে বলে ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুস বহু দিন ধরেই খারাপ ৷ তাই সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন, এমনটা হয়তো হবে না ৷ কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা যাতে আগের মতো হয়, সেই চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা ৷
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলেও তিনি এখনও বিপন্মুক্ত নন ৷ এখন তাঁকে বাইপ্যাপ ছাড়া বেশ কিছুক্ষণ রাখা সম্ভব হচ্ছে ৷ তবে এখনও তাঁকে রাইস টিউবেই খাওয়ানোর প্রক্রিয়া চলছে ৷ অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজও চলছে ।"
আরও পড়ুন: তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জানালেন মমতা
এর আগে 31 জুলাই উডল্যান্ডস হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তখন তিনি এই ফুসফুস বিশেষজ্ঞের নাম উল্লেখ করেছিলেন ৷ প্রবীণ চিকিৎসককে দিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুযায়ী আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের 11 সদস্যের চিকিৎসক দল চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে গেলেন ৷