কলকাতা, 13 জুন: তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা । লোডশেডিং-এর জেরে নাজেহাল আমজনতা ৷ এই অবস্থায় সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন এত লোডশেডিং? প্রশ্ন তুলে নিশানা করেন রাজ্যকে। মঙ্গলবার তারই পালটা দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷ রাজ্য বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, স্পষ্ট জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।
বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এই গরমে অবস্থা খারাপ রাজ্যবাসীর ৷ বিভিন্ন জায়গায় বারবার লোডশেডিং-এর জেরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সমস্যার কথা ভেবে সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনের বন্টন দপ্তরে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, তাপসী মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই আধিকারিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন শুভেন্দু। পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রশ্ন করেন, কেন এত বিদ্যুতের খাটতি? কেন এত লোড শেডিং?
সেই প্রশ্নের উত্তর মঙ্গলবার দিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷ তিনি বলেন,"কালবৈশাখীর জন্য কোথাও কোথাও বিদ্যুতের পোল পড়ে গিয়েছে ৷ পাশাপাশি তারও ছিঁড়ে গিয়েছে। বিগত দিনেতে এত গরম সত্বেও বিদ্যুৎ কর্মীরা রাস্তায় কাজ করছেন, যাতে 24 ঘণ্টার ভিতরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়। সোমবার ডোবরাতে তিনটি টাওয়ার আর উত্তর দিনাজপুরে দুটো টাওয়ার পড়ে যাওয়ায় ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।"
এর সঙ্গে তিনি বাম আমলের বিদ্যুতের চাহিদা নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি জানান, ওই সময় চাহিদা ছিল কেবলমাত্র 80 লক্ষ এখন তা বেড়ে 2 কোটি 33 লক্ষ হয়েছে। বাম জমানাতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ প্রয়োজন ছিল 4085 মেগাওয়াট এবং আজকে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের প্রয়োজন 9200 মেগাওয়াট।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকার আসার পর সাগর দিঘিতে দুটো ইউনিট বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি সাগর দিঘিতে আরেকটি ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে যেটা হচ্ছে 660 মেগাওয়াটের। এই প্রকল্পে তৃণমূল সরকার 2011 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত 27 হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। এর সঙ্গে নিজের রাজ্যের সঙ্গে আশে পাশের রাজ্যের বিদ্যুতের দাম নিয়েও তুলনা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ রাজ্য ! শুভেন্দুর অভিযোগে পরিসংখ্যান দিলেন কুণাল
আসামে বিজেপি সরকার আছে সেখানে পার ইউনিট বিদ্যুতের দাম 8 টাকা 14 পয়সা, উত্তরপ্রদেশে 7 টাকা 54 পয়সা পার ইউনিট এবং পশ্চিমবঙ্গে 7 টাকা 12 পয়সা পার ইউনিট। এরপরে তিনি জানান যে, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও ঘাটতি নেই। তবে কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে তার কারণ মানুষজন এসি লাগানোর পরেও কোনভাবেই বিদ্যুৎ দফতরকে জানাচ্ছে না।