কলকাতা, 21 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল থেকে পড়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষা । সোমবার দুপুরে হস্টেলের তিন তলার ছাদে গিয়ে ডামি পুতুল নিয়ে পরীক্ষা করেন কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় 9 অগস্ট রাতে ওই হসেটেলের বারান্দায় ঠিক কী হয়েছিল? কীভাবে ওই ছাত্র নীচে পড়ল? বিষয়টি দুর্ঘটনা না কি ষড়যন্ত্র করে কেউ ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ফেলে দিয়েছিল? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য এদিন ডামি পুতুল নিয়ে সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷
ক'দিন আগে যাদবপুরে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিলাকে নিয়ে কিছুদিন আগেই হস্টেলে গিয়ে একদফা তদন্ত করেছেন যাদবপুর থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । সেই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে ফের সেখানে যান তদন্তকারীরা ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হস্টেলের ভিতরে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা । পুলিশের একটি ভ্যানে নিয়ে আসা হয় একটি ডামি পুতুলও ৷
ঘটনার দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এ-টু ব্লকের তিন তলার বারান্দার নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ । পরে বহাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এদিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রের ডামি বডির মতো দেখতে একটি পুতুল নিয়ে গিয়ে উপর থেকে নীচে ফেলে পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা । ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মূলত বোঝার চেষ্টা করেন, উপর থেকে কেউ যদি নীচে ঝাঁপ দেয় তাহলে কত ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে সে মাটিতে পড়তে পারে ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় সেখানকার ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য জানতে চাইল হাইকোর্ট
ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মোট 13 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এই 13 জনের মধ্যে 7 জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া, বাকিরা বর্তমান । ইতিমধ্যেই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে একে একে তাদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিশ । পাশাপাশি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত ছাত্রদের বয়ান, ধৃতদের বয়ান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ান ।