ETV Bharat / state

ইনডোর মিটিংও করতে দিচ্ছে না পুলিশ, কমিশনে অভিযোগ BJP-র

ইনডোর মিটিং করতে দিচ্ছে না পুলিশ। বলছে তারও অনুমতি লাগবে। অভিযোগ BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Mar 30, 2019, 1:51 AM IST

Updated : Mar 30, 2019, 3:18 AM IST

কলকাতা, ৩০ মার্চ : প্রকাশ্য সভা ছাড়াও ইনডোর মিটিংয়ে গিয়েও BJP-র উপর হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল এই অভিযোগ করেন BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিষয়টি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

প্রকাশ্যে সভা করার অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য প্রশাসন। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পরও এই অভিযোগ করছে BJP। দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরি অভিযোগ করে বলেন, শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত সভাস্থানের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে রাজ্য। যদিও নির্বাচন কমিশনের সুবিধা অ্যাপের নিয়ম অনুসারে সভার পাঁচদিন আগে থেকে আবেদন করা যায়। তাঁর বক্তব্য, যে মাঠে সভা হবে সেটি SJDA (শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)-র নিজস্ব। সেখানে আবেদন জানিয়েও সভা করার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের পক্ষ থেকে অনুমতির জন্য কখনও নবান্ন বা কখনও HIDCO-র কাছে যেতে বলা হচ্ছে।কমিশন সূত্রে খবর, এই সভার বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে একটি আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি BJP-র অভিযোগ, প্রকাশ্য সমাবেশ তো বটেই ইনডোর বৈঠকের ক্ষেত্রেও ঝামেলা করছে পুলিশ। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, ২৮ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এক কর্মীর বাড়িতে একটি দলীয় বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে গিয়ে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে অভিযোগ জানান জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “কাঁথিতে রাহুল সিনহা কর্মীদের নিয়ে একটি ইনডোর বৈঠক করছিলেন। সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায়। বলে, এই বৈঠক যে করছেন তার অনুমতি কোথায় ? তখন পুলিশকে জানানো হয়, যে এটা একটা দলীয় বৈঠক। বাড়ির মধ্যে করা হচ্ছে। কিন্তু, পুলিশের তরফে তখন বলা হয়, এটাও করা যাবে না। এর জন্যও অনুমতি দরকার। এরপর সুভাষ সরকারকেও বাঁকুড়ায় বৈঠক করতে দেওয়া হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "এরপর আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে জানাই। সেখান থেকে আমাদের বলে, তেমন কিছু নেই। কিন্তু, DM ও SP-রা বলছেন এই বৈঠকের খরচগুলি জানাতে হবে। তখন আমরা জানাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে যে ম্যানুয়াল আছে তাতে কেউ একটা জায়গা দেখিয়ে দিক, যেখানে লেখা আছে ইনডোর মিটিংয়েরও অনুমতি লাগবে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা জায়গা যেখানে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সবাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের উপরেও নিজেদের ক্ষমতা ফলাচ্ছে।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, সেই বৈঠকের বিষয়টি যদি কোনও মাধ্যমে বাইরে আসে অর্থাৎ কোনওভাবে AIR হয়ে যায়, তাহলে তার অনুমতি নেই।"

কলকাতা, ৩০ মার্চ : প্রকাশ্য সভা ছাড়াও ইনডোর মিটিংয়ে গিয়েও BJP-র উপর হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল এই অভিযোগ করেন BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিষয়টি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

প্রকাশ্যে সভা করার অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য প্রশাসন। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পরও এই অভিযোগ করছে BJP। দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরি অভিযোগ করে বলেন, শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত সভাস্থানের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে রাজ্য। যদিও নির্বাচন কমিশনের সুবিধা অ্যাপের নিয়ম অনুসারে সভার পাঁচদিন আগে থেকে আবেদন করা যায়। তাঁর বক্তব্য, যে মাঠে সভা হবে সেটি SJDA (শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)-র নিজস্ব। সেখানে আবেদন জানিয়েও সভা করার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের পক্ষ থেকে অনুমতির জন্য কখনও নবান্ন বা কখনও HIDCO-র কাছে যেতে বলা হচ্ছে।কমিশন সূত্রে খবর, এই সভার বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে একটি আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি BJP-র অভিযোগ, প্রকাশ্য সমাবেশ তো বটেই ইনডোর বৈঠকের ক্ষেত্রেও ঝামেলা করছে পুলিশ। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, ২৮ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এক কর্মীর বাড়িতে একটি দলীয় বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে গিয়ে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে অভিযোগ জানান জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “কাঁথিতে রাহুল সিনহা কর্মীদের নিয়ে একটি ইনডোর বৈঠক করছিলেন। সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায়। বলে, এই বৈঠক যে করছেন তার অনুমতি কোথায় ? তখন পুলিশকে জানানো হয়, যে এটা একটা দলীয় বৈঠক। বাড়ির মধ্যে করা হচ্ছে। কিন্তু, পুলিশের তরফে তখন বলা হয়, এটাও করা যাবে না। এর জন্যও অনুমতি দরকার। এরপর সুভাষ সরকারকেও বাঁকুড়ায় বৈঠক করতে দেওয়া হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "এরপর আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে জানাই। সেখান থেকে আমাদের বলে, তেমন কিছু নেই। কিন্তু, DM ও SP-রা বলছেন এই বৈঠকের খরচগুলি জানাতে হবে। তখন আমরা জানাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে যে ম্যানুয়াল আছে তাতে কেউ একটা জায়গা দেখিয়ে দিক, যেখানে লেখা আছে ইনডোর মিটিংয়েরও অনুমতি লাগবে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা জায়গা যেখানে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সবাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের উপরেও নিজেদের ক্ষমতা ফলাচ্ছে।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, সেই বৈঠকের বিষয়টি যদি কোনও মাধ্যমে বাইরে আসে অর্থাৎ কোনওভাবে AIR হয়ে যায়, তাহলে তার অনুমতি নেই।"

Last Updated : Mar 30, 2019, 3:18 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.