ETV Bharat / state

লকডাউনে ফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে রাজ্যজুড়ে গ্রেপ্তার 136 - কলকাতা

লকডাউনের মধ্যে ফেক ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত 136 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও ফেক ভিডিয়ো পোস্ট করাকে বন্ধ করা যাচ্ছে না ।

a
গ্রেপ্তার
author img

By

Published : May 3, 2020, 1:20 PM IST

কলকাতা, 3 মে : সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়োর রমরমা । লকডাউনের মধ্যে কেউ ফেক ভিডিয়ো ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ । বলা হয়েছিল, এই সময় গুজব ছড়ালে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ । গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনের মধ্যে সেই সূত্র ধরেই কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে 136 জনকে । রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এবং লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে 500-র বেশি মানুষকে ।

সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়ো পোস্ট করার বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে । কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাংশ রাজনৈতিক নেতা তা মানেননি । গুজরাতের একটি ভিডিয়োকে খিদিরপুরের বলে পোস্ট করেছিলেন BJP নেতা অনুপম হাজরা । তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে কলকাতা পুলিশ । আবার পশ্চিমবঙ্গে BJP-র পক্ষ থেকে বলা হয়, কোটা থেকে যে ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন তাঁদের আনা হচ্ছে মাত্র তিনটি বাসে । ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা নাকি 3000 । কিন্তু সঠিক তথ্য হল, মোট 2368 জন ছাত্রছাত্রীকে ফেরানো হয়েছে 95 টি বাসে । রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন এই তথ্য । অভিযোগ, ফেক ভিডিয়ো পোস্টের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও । তিনি দাঁতনের সরকারি কোয়ারানটিনের অবস্থার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন । পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সেটি দাঁতনের নয় । বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ।

এইসব ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের তরফে ফের সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে । নিষেধাজ্ঞা না মানলে দিতে হতে পারে প্রচুর জরিমানা ‌। সঙ্গে নির্দিষ্ট আইনের বলে জেল পর্যন্ত হতে পারে । মিথ্যে এবং ফেক তথ্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের তরফে । গুজব ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত না থাকার আবেদন করা হয়েছে । যে কোনও তথ্য সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়ার পর তা সরকারি ওয়েবসাইটে যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে । যে কোনও মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ফরওয়ার্ড করার আগে বিষয়বস্তু ভালো করে দেখে নিতে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে তা যাচাই করার জন্য আবেদন করা হয়েছে । যদি কেউ কোনও সন্দেহজনক মেসেজ, পোস্ট কিংবা ফরওয়ার্ড মেসেজ পান তবে অবিলম্বে ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামের মাধ‍্যমে পুলিশের নজরে আনার জন্যও বলা হয়েছে ।

পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে DMA অ্যাক্ট 2005-এর 54 নম্বর ধারা বলছে, আপৎকালীন সময়ে কোনও গুজব, ফেক নিউজ় কিংবা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে । সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এক বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা অথবা জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে । সঙ্গে যোগ করা হতে পারে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা এবং টেকনোলজি অ্যাক্ট । তাতে সাজার মেয়াদ বাড়বে ।

কলকাতা, 3 মে : সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়োর রমরমা । লকডাউনের মধ্যে কেউ ফেক ভিডিয়ো ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ । বলা হয়েছিল, এই সময় গুজব ছড়ালে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ । গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনের মধ্যে সেই সূত্র ধরেই কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে 136 জনকে । রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এবং লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে 500-র বেশি মানুষকে ।

সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়ো পোস্ট করার বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে । কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাংশ রাজনৈতিক নেতা তা মানেননি । গুজরাতের একটি ভিডিয়োকে খিদিরপুরের বলে পোস্ট করেছিলেন BJP নেতা অনুপম হাজরা । তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে কলকাতা পুলিশ । আবার পশ্চিমবঙ্গে BJP-র পক্ষ থেকে বলা হয়, কোটা থেকে যে ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন তাঁদের আনা হচ্ছে মাত্র তিনটি বাসে । ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা নাকি 3000 । কিন্তু সঠিক তথ্য হল, মোট 2368 জন ছাত্রছাত্রীকে ফেরানো হয়েছে 95 টি বাসে । রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন এই তথ্য । অভিযোগ, ফেক ভিডিয়ো পোস্টের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও । তিনি দাঁতনের সরকারি কোয়ারানটিনের অবস্থার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন । পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সেটি দাঁতনের নয় । বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ।

এইসব ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের তরফে ফের সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে । নিষেধাজ্ঞা না মানলে দিতে হতে পারে প্রচুর জরিমানা ‌। সঙ্গে নির্দিষ্ট আইনের বলে জেল পর্যন্ত হতে পারে । মিথ্যে এবং ফেক তথ্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের তরফে । গুজব ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত না থাকার আবেদন করা হয়েছে । যে কোনও তথ্য সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়ার পর তা সরকারি ওয়েবসাইটে যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে । যে কোনও মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ফরওয়ার্ড করার আগে বিষয়বস্তু ভালো করে দেখে নিতে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে তা যাচাই করার জন্য আবেদন করা হয়েছে । যদি কেউ কোনও সন্দেহজনক মেসেজ, পোস্ট কিংবা ফরওয়ার্ড মেসেজ পান তবে অবিলম্বে ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামের মাধ‍্যমে পুলিশের নজরে আনার জন্যও বলা হয়েছে ।

পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে DMA অ্যাক্ট 2005-এর 54 নম্বর ধারা বলছে, আপৎকালীন সময়ে কোনও গুজব, ফেক নিউজ় কিংবা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে । সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এক বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা অথবা জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে । সঙ্গে যোগ করা হতে পারে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা এবং টেকনোলজি অ্যাক্ট । তাতে সাজার মেয়াদ বাড়বে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.