হাওড়া, 15 এপ্রিল: নববর্ষের দিনে হালখাতার পুজোতে ফুল তো চাইই চাই। যদিও এই পুজো পার্বনের বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের চাহিদা যেমন থাকে তেমনই ফুলের দামও হয় বেশ চড়া। তবু প্রয়োজনের তাগিদে চড়া দামেই ফুল কিনতে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে পুজো পার্বন বাদ দিয়ে সেভাবে চাহিদা থাকছে না আসল ফুলের। সেখানে থাবা বসিয়েছে কৃত্রিম ফুল (Plastic flowers have taken place of real flowers)।
ফুল ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার জানান, আগে প্রাকৃতিক ফুলের বাজার খুব ভাল ছিল। তবে এখন কৃত্রিম ফুলের চাহিদা ভীষণ বেড়েছে। বাড়ি সাজানোর জন্য অনেক মানুষ ব্যবহার করছেন। এখনকার প্রাকৃতিক রজনীগন্ধার কোনও গন্ধই নেই। আগে এক থোকা রজনীগন্ধা বাড়িতে নিয়ে গেলে সাতদিন তার গন্ধ থাকত। এখন টেনেটুনে একদিন মাত্র চলে। এখন বাজারে সবই হাইব্রিড রজনীগন্ধা। শুধু বিয়ে বাড়ি ও পুজো ছাড়া প্রাকৃতিক ফুলের আর বাজার হয় না ৷ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কৃত্রিম ফুলের বাজার বেশি হওয়ায় পরিবহণ ভাড়া দিয়ে প্রচুর সংখ্যায় কৃত্রিম ফুল আনছেন। তাঁর আক্ষেপ, হাইব্রিড চাষের কারণে 15 দিনে ফোঁটা ফুল এখন একদিনে ফুটিয়ে দিচ্ছে। যার কোনও গন্ধও নেই। তাই ওই ফুল দাম দিয়ে কেনার থেকে কৃত্রিম ফুল মানুষ বেশি পছন্দ করছে।
আরও পড়ুন : Sundews Plant : কাঁকসায় মিলল বিলুপ্তপ্রায় সূর্য্যশিশির গাছ
আর এক ফুল ব্যবসায়ী বাবুলসোনা ভট্টাচার্য দাবি করেন, নববর্ষের দিনেও কৃত্রিম ফুলের চাহিদা বেশি। তবে আগে যখন কৃত্রিম ফুল সেভাবে আসেনি বাজারে তখন প্রাকৃতিক ফুলের ভীষণ চাহিদা ছিল। যা এখন আর নেই। প্রাকৃতিক ফুল ব্যবহার করলে দিনের দিন করতে হয় কিন্তু কৃত্রিম ফুল অনেকদিন থেকে যায়। তাই মানুষ ওই ফুল ব্যবহার করছেন ৷
এক ফুল ক্রেতা শশবিন্দু ঘোষ জানান, কৃত্রিম ফুল প্রাকৃতিক ফুলের থেকে বেশি স্থায়ী। ব্যবহার করার পরে আবার তা ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি যে কোনও অনুষ্ঠানে সাজানোর জন্য প্রাকৃতিক ফুল খুবই ব্যয় সাপেক্ষ। সেই জায়গায় কৃত্রিম ফুলের দাম কম ও টেকশই। এর জৌলুসও বজায় থাকে দীর্ঘদিন ধরে। তাই কৃত্রিম ফুলের বাজার অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুন : করোনার ছোঁয়াচ বাঁচাতে গাছ ঘরে বাস সাধুবাবার
তবে পুজো হোক বা হালখাতা এতে প্রাকৃতিক ফুলের চলই এখনও চলে আসছে। তবে হয়ত কোনওদিন নিত্য পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজো পার্বনে তবে কি থাবা বসাবে এই কৃত্রিম ফুল ? হালখাতার মতো নববর্ষের পুজোর অনুষ্ঠানেও কৃত্রিম ফুল তার আধিপত্য বিস্তার করবে কি না, এর উত্তর দেবে সময়।