কলকাতা, 16 মে : কোরোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত জিনিস নষ্টের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে বলেছে । যা মানছে না পশ্চিমবঙ্গ । এমন অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন এক পরিবেশবিদ । পিটিশনে তিনি জানান, কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দ্বিস্তরীয় ব্যাগে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করা, যে পাত্রে সেগুলি রাখা হবে তা বোঝার জন্য আলাদ রং দিয়ে পাত্র চিহ্নিত করা দরকার । সংক্রমণ রুখতে এমন নির্দেশিকা দিয়েছিল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড । যা মানা হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, কোরোনা হলেই হাসপাতালে ভরতি হতে হবে এমন নয়, হোম কোয়ারানটিনে থেকেও চিকিৎসা করা যেতে পারে রোগীর । রোগীর বাড়িতে পরিকাঠামো থাকলেই একমাত্র একাজ সম্ভব । সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রোজ যোগাযোগ রাখবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ও চিকিৎসকরা । বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই হোম কোয়ারানটিনে থাকা রোগীর ব্যবহৃত মেডিকেল ওয়েস্ট বা চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে চিন্তায় পড়েন বিশেষজ্ঞরা । অনেকেই বলেন, কোরোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত বর্জ্য যদি সঠিকভাবে ডিসপোজ় বা নষ্ট না করা হয় সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়বে । ওই বর্জ্য থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পরিবারের বাকিরাও আক্রান্ত হতে পারেন । এক্ষেত্রে যাঁরা বর্জ্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা । এনিয়ে একটি নির্দেশিকা বের করে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডও । কিন্তু হাওড়া বা কলকাতায় যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা খুবই বেশি, সেখানেই এই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না বলে পিটিশনে জানান ওই পরিবেশবিদ ।
এক্ষেত্রে তিনি পিটিশনে উল্লেখ করেন, "কোরোনা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এমন রোগী ও কোয়ারানটিনে রাখা হচ্ছে এমন ব্যক্তিকে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে । এতে যদি কোয়ারানটিনে রাখা ব্যক্তির কোরোনা না হয়, তাহলে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন । এছাড়াও তাঁদের ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে সংগ্রহ করতে হবে ।" তিনি পিটিশনে এও জানান, এই সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু এই নিয়ে সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । যার জন্য বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়া প্রয়োজন ।
যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, নিয়ম মেনেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে । রাজ্যের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য বিভাগ সবসময় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে ।
যদিও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (পশ্চিমবঙ্গ)- এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি ।