কলকাতা, 28 এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের ৷ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর। একই সঙ্গে, মামলাকারীর আইনজীবীর তরফে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যঞ্জয় বর্মন নামে ওই যুবকের। আদালতে মামলাকারী আইনজীবী দাবি করেন, মৃত্যুর ঘটনায় যেখানে অভিযোগের তির খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই সেখানে রাজ্যের পুলিশের তদন্তে পরিবারের আস্থা নেই ৷
এর আগে কালিয়াগঞ্জে আদিবাসী কিশোরীর মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সেই মামলাতেও। নাবালিকার মৃত্যুর ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। এবার মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু সংক্রান্ত সব নথি রাজ্য পুলিশ যাতে আদালতে জমা দেয় সেই আবেদন করা হয় এদিন। পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করারও আবেদন জানান মামলাকারী বিজেপি যুব মোর্চার নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ।
আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে এদিন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা। অন্যদিকে, মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, তাদের পরিবারেরই সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করেছে তা নিয়েই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে ৷ সেই সময়ই পিছন থেকে কেউ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃত ওই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন । শিলিগুড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন তিনি । পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদগা গ্রামে ওই দিন এসেছিলেন । তবে পরিবারের লোকরা জানতে পারেননি এলাকায় পুলিশ এসেছিল। তারপরই প্রতিবেশী বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে কেন পুলিশ এসেছে দেখতে গিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আদিবাসী এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ। সেই ঘটনার পর এবার মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনাতেও হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরিবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুর বাড়িতে ডেকে দু’দিন ধরে নাবালিকাকে গণধর্ষণ