কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: পাক জঙ্গিদের নজরে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন ! শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল-সহ বিভিন্ন জায়গাকে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিহারের বাসিন্দা পাকিস্তানের গুপ্তচর । তাকে জেরা করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য জানতে পেরেছেন ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জঙ্গিরা রাষ্ট্রপতি ভবন, ওয়ার অফ মেমোরিয়াল-সহ একাধিক জায়গাকে টার্গেট করেছিল।
গোপন সূত্রে তথ্য পেয়েই বিহারের বাসিন্দা পাকিস্তানের গুপ্তচর ভক্ত বংশী ঝাঁ’কে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ , ওই ব্যক্তি চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় গোপন ছবি তুলে পাকিস্তানি এক মহিলার কাছে পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। ইতিমধ্যেই বিহারে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের একটি বিশেষ ইউনিট ভক্ত বংশী ঝাঁয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে দিল্লি পুলিশ । প্রয়োজনে গ্রেফতার হওয়া ভক্ত বংশী ঝাঁ’কে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে দিল্লি পুলিশও ।
নয়াদিল্লিতে থাকার সময়ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলেছিল ভক্ত বংশী ঝাঁ। সেগুলি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর দায়িত্বে থাকা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন ছবি পাওয়া গিয়েছে । তারমধ্যে অন্যতম হল দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন, ওয়ার অফ মেমোরিয়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং সংরক্ষিত এলাকার ছবি ও ভিডিও । ফলে বলা যায়, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের টার্গেটে ছিল ।’’
আরও পড়ুন: বালি ব্রিজ ও সংলগ্ন মন্দির ওড়ানোর পরিকল্পনা পাক গুপ্তচরের ! দাবি কলকাতা এসটিএফের
লালবাজার সূত্রের খবর, 29 অগস্ট সকালে বিহার থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ ভক্ত বংশীর একাধিক ফোন ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ভক্ত বংশীর সঙ্গে পাকিস্তানের একাধিক ব্যক্তির বিভিন্ন সন্ত্রাস এবং নাশকতামূলক কথাবার্তা হয়েছিল । তাকে আটক করে গোয়েন্দারা রিপন স্ট্রিটের অফিসে নিয়ে যান । সেখানেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে । তার উপর তল্লাশি চালিয়ে এসটিএফ-এর হাতে এসেছে বেশকিছু ছবি এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ৷ যা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ।
গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি কলকাতায় এসে বালি ব্রিজের বিভিন্ন ছবি এবং বালি ব্রিজ সংলগ্ন একটি মন্দিরের ছবি পাকিস্তানের এক মহিলাকে পাঠায় । তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর হয়ে কাজ করে । ফলে বালি ব্রিজও যে জঙ্গিদের টার্গেট ছিল, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত লালবাজার ।