কলকাতা, 12 মে: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএসকে রেখে সিট গঠন করায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দিলেন রাজনৈতিক নেতা ।শুক্রবার আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করেন এক আইনজীবী । এই ঘটনায় আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার আবেদন জানালেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ।
এই বিষয়ে বিচারপতির মন্তব্য, কেউ যদি নিজের সম্মান নিজে নষ্ট করেন, তাহলে আদালত কী করবে । কেউ কেউ আদালতকে অসম্মান করতে গিয়ে যে নিজেদের অসম্মান করছেন সেটা বুঝতে পারছেন না ৷ অথবা বুঝলেও সেটাই করে চলেছেন । কোর্ট তো আলাদা আলাদা করে সবাইকে বিধি শেখাবে না।
এরপরে বিচারপতি আইনজীবীকে অনুমতি দেন, যদি বিহিত চান, তাহলে আলাদা করে আবেদন করুন । কোর্ট বিবেচনা করবে । প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন । সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
আগেেও একাধিকবার তৃণমূলের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে এই বিচারপতিকে। দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর বাড়ির বাইরে পোস্টার পর্যন্ত পড়েছিল। সেই ঘটনায় জল অনেক দূর গড়ায়। এই দ্বৈরথের ছাপ কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসের মধ্যেও পড়েছিল। এই বিচারপতির এজলাস বয়কট করেছিলেন তৃণমূল ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত বেশ কিছু আইনজীবী। সেই ঘটনা নিয়েও জলঘোলা হয় বিস্তর।
16 জানুয়ারি দিল্লি থেকে এই এজলাস বয়কট নিয়ে তদন্ত করতে আসে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এজলাস বয়কট কেনা হয়েছিল এবং কারা কারা তার সঙ্গে জড়িত ছিল সে সব খতিয়ে দেখেন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা । ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চোখে পড়েছিল । বিচারপতির বাড়িতে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছিল সিপিএমের মতো বিরোধী দল । পালটা বাম আমলে বিচারপতি অমিতাভ লালা সম্পর্কে কী মন্তব্য করা হয়েছিল তা মনে করিয়ে দেয় তৃণমূল।
আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জেনারুল শেখকে তলব সিবিআইয়ের