ETV Bharat / state

"কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ" যেন না হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিরোধীদের

লকডাউনে রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে মুখ্যমন্ত্রীকে একগুচ্ছ পরামর্শ জানিয়ে প্রস্তাব পাঠালেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ সঙ্গে জানান, বিরোধী দলগুলি সবাই মিলে কাজ করতে তৈরি রয়েছে সবসময় ৷

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিরোধীদের
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিরোধীদের
author img

By

Published : Apr 1, 2020, 7:08 PM IST

Updated : Apr 1, 2020, 9:00 PM IST

কলকাতা, 1 এপ্রিল : লকডাউনে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে সংকট দেখা দিয়েছে ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই সংকট থেকে বেরোনোর বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে যৌথ প্রস্তাব পাঠালেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ সঙ্গে "কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ"- মনোভাবটা পরিত্যাগ করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন তাঁরা ।

একদিকে, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । অন্যদিকে, চিকিৎসক-নার্স বা সহায়করা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পরিকাঠামো পাচ্ছেন না । তার উদাহরণ হিসেবে হাওড়া কিংবা NRS হাসপাতালের বেহাল চিত্রের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন তাঁরা । প্রসঙ্গত, হাওড়া কিংবা NRS হাসপাতালে কোনও সংক্রমণ বোঝার আগেই রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ চিঠিতে এই প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁরা লেখেন, অতীতের মতো এক্ষেত্রেও তথ্য চেপে রাখার, অথবা হালকাভাবে দেখার যেকোনও প্রচেষ্টাই বিপজ্জনক হতে পারে । অবিলম্বে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে ।

রেশনের সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও আবেদন করেন তাঁরা ৷ আজ থেকে রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু হয়েছে ৷ কিছু জায়গায় নির্দেশ মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, কিছু জায়গা থেকে পর্যাপ্ত রেশন না পাওয়ার অভিযোগও এসেছে ৷ এই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার আবেদন করে বিরোধীরা ৷ চিঠিতে তাঁরা জানান, BPL, APL নির্বিশেষে প্রত্যেক পরিবারে এক মাসের রেশন-সহ খাদ্যের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া সবচেয়ে জরুরি । তা হচ্ছে না । গরিব মানুষ বিশেষ সংকটে রয়েছে । তাঁরা ঘোষণা শুনলেও কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না ।

অন্যদিকে, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে শাসক দলের কিছু নেতা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, অসুবিধায় থাকা মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্য বা অত্যাবশ্যকীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার জনসেবামূলক কাজে রাজ্যজুড়ে অজস্র সাধারণ মানুষ যুক্ত রয়েছেন । প্রচারের জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতায় । কিন্তু কোথাও কোথাও শাসক দলের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধভাবে ত্রাণের নামে দলীয় পতাকা, প্রতীক, ক্যামেরা, ইত্যাদি-সহ যে প্রচার করছে । একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলকে সাহায্য করছে । বাংলার গর্ব অথবা দলীয় প্রচারের মঞ্চ হিসেবে এই সংকটময় সময়কে বেছে নেওয়া ঠিক নয় । তাই "কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ"- মনোভাবটা পরিত্যাগ করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেছেন তাঁরা ।

এই সংকটকালে সরকার সচেতনভাবে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিক । সেটাই কাম্য বলে জানান আব্দুল মান্নান । অন্যদিকে, সুজন চক্রবর্তী বলেন, কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই অবিরত যুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR-র পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করুক । সবাই মিলে তার পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও ।

কলকাতা, 1 এপ্রিল : লকডাউনে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে সংকট দেখা দিয়েছে ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই সংকট থেকে বেরোনোর বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে যৌথ প্রস্তাব পাঠালেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ সঙ্গে "কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ"- মনোভাবটা পরিত্যাগ করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন তাঁরা ।

একদিকে, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । অন্যদিকে, চিকিৎসক-নার্স বা সহায়করা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পরিকাঠামো পাচ্ছেন না । তার উদাহরণ হিসেবে হাওড়া কিংবা NRS হাসপাতালের বেহাল চিত্রের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন তাঁরা । প্রসঙ্গত, হাওড়া কিংবা NRS হাসপাতালে কোনও সংক্রমণ বোঝার আগেই রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ চিঠিতে এই প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁরা লেখেন, অতীতের মতো এক্ষেত্রেও তথ্য চেপে রাখার, অথবা হালকাভাবে দেখার যেকোনও প্রচেষ্টাই বিপজ্জনক হতে পারে । অবিলম্বে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে ।

রেশনের সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও আবেদন করেন তাঁরা ৷ আজ থেকে রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু হয়েছে ৷ কিছু জায়গায় নির্দেশ মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, কিছু জায়গা থেকে পর্যাপ্ত রেশন না পাওয়ার অভিযোগও এসেছে ৷ এই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার আবেদন করে বিরোধীরা ৷ চিঠিতে তাঁরা জানান, BPL, APL নির্বিশেষে প্রত্যেক পরিবারে এক মাসের রেশন-সহ খাদ্যের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া সবচেয়ে জরুরি । তা হচ্ছে না । গরিব মানুষ বিশেষ সংকটে রয়েছে । তাঁরা ঘোষণা শুনলেও কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না ।

অন্যদিকে, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে শাসক দলের কিছু নেতা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, অসুবিধায় থাকা মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্য বা অত্যাবশ্যকীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার জনসেবামূলক কাজে রাজ্যজুড়ে অজস্র সাধারণ মানুষ যুক্ত রয়েছেন । প্রচারের জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতায় । কিন্তু কোথাও কোথাও শাসক দলের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধভাবে ত্রাণের নামে দলীয় পতাকা, প্রতীক, ক্যামেরা, ইত্যাদি-সহ যে প্রচার করছে । একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলকে সাহায্য করছে । বাংলার গর্ব অথবা দলীয় প্রচারের মঞ্চ হিসেবে এই সংকটময় সময়কে বেছে নেওয়া ঠিক নয় । তাই "কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ"- মনোভাবটা পরিত্যাগ করার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেছেন তাঁরা ।

এই সংকটকালে সরকার সচেতনভাবে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিক । সেটাই কাম্য বলে জানান আব্দুল মান্নান । অন্যদিকে, সুজন চক্রবর্তী বলেন, কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই অবিরত যুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR-র পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করুক । সবাই মিলে তার পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও ।

Last Updated : Apr 1, 2020, 9:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.