ETV Bharat / state

WB DA Issue: 'খেলা-মেলা আছে, ডিএ নেই', মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের

রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় (WB DA Issue) ৷ এই প্রসঙ্গেই এবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধীরা (Opposition Slams WB State Government) ।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Nov 5, 2022, 4:25 PM IST

Updated : Nov 5, 2022, 6:24 PM IST

কলকাতা, 5 নভেম্বর: চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে যে টাকা ধার্য করা আছে, তাতে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় ৷ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামায় সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government affidavit over DA in Calcutta High Court) ৷ তারপরেই এবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধীরা । পালটা তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্র আগে বকেয়া মেটাক । সবমিলিয়ে ডিএ ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি (WB State Government DA Issue) ।

রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেন । সেখানে জানানো হয়েছে, রোপা রুল 2019 অনুযায়ী, রাজ্য 16% মহার্ঘ্যভাতা দান করেছে । চলতি অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী রাজ্যের পক্ষে এর চেয়ে বেশি মহার্ঘ ভাতা দেওয়া সম্ভব নয় । এরপরেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধীরা (Opposition Slams WB State Government) ।

বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে । ছ'লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, তার উপর কেন্দ্রের কাছে দশ হাজার কোটি টাকা ভিক্ষা চেয়েছে রাজ্য সরকার । পেনশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ ডিএ দিয়ে থাকে, রাজ্যরও সমপরিমাণ ডিএ দেওয়া উচিৎ ।" এতই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, "রাজ্যের কাছে টাকা নেই তা তো মনে হয় না । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের জন্মদিনে চেন্নাই ছুটে যাচ্ছেন । রাজ্যে মেলা, খেলা সব হচ্ছে । কোথাও যে টাকার অভাব রয়েছে তা মনে হচ্ছে না । প্রশাসনিক বৈঠকের নামে রাজনৈতিক বৈঠক করছেন তখন টাকার অভাব থাকে না, কিন্তু ডিএ দেওয়ার সময় অভাব চলে আসে ।"

বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "যে রাজ্য সরকার তাদের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে না, পেনশনকারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে না, তাদের কোন অধিকার আছে সরকার চালানোর ? একসময় এরাই হোডিং দিয়ে জানিয়েছিল, রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে । এবার তারা বুঝিয়ে দিল, এই সরকার একেবারে দেউলিয়া ।"

আরও পড়ুন: 'কোষাগার ফাঁকা, মহার্ঘভাতা দেওয়া সম্ভব নয়', হলফনামায় উল্লেখ রাজ্যের

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বেহাল তা তো সবাই জানে । সরকারও এবার তা লিখিতভাবে মেনে নিল ভালো কথা । কিন্তু সেটার প্রমাণ হবে কীভাবে ? কার্নিভাল হচ্ছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে । ক্লাবগুলিকে 60-62 হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে । সেই টাকা আসছে কোথা থেকে ? রাজ্যের এই আর্থিক অবস্থায় টাকা আসার কথা না । এখন কেন ন্যায্য দাবির ক্ষেত্রে বেহাল তথ্য দেওয়া হচ্ছে ?" বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "একশো দিনের টানা লুট । মানুষকে লুট করছে । ডিএ দেব না । প্লট বানাব । গত এগারো বছরে কোন কাজটা করেছে ?"

পালটা এসেছে শাসকদলের তরফেও । তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "2021 ও 2022 সালে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বকেয়া টাকা মেটানোর অনুরোধ দিতে বহুবার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে । ফলে সেই টাকা আগে দেওয়া উচিত । কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের প্রায় 1 লক্ষ কোটি টাকার উপর বকেয়া রয়েছে । এই টাকা আমাদের ন্যায্য টাকা । এরপরেও রাজ্য সরকার কিছু মানুষের স্বার্থে পরিষেবা দিচ্ছে । কেন্দ্র এই টাকা মিটিয়ে দিলে আমাদের সব সমস্যা মিটে যাবে ।" এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না ।

কলকাতা, 5 নভেম্বর: চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে যে টাকা ধার্য করা আছে, তাতে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় ৷ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামায় সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government affidavit over DA in Calcutta High Court) ৷ তারপরেই এবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধীরা । পালটা তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্র আগে বকেয়া মেটাক । সবমিলিয়ে ডিএ ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি (WB State Government DA Issue) ।

রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেন । সেখানে জানানো হয়েছে, রোপা রুল 2019 অনুযায়ী, রাজ্য 16% মহার্ঘ্যভাতা দান করেছে । চলতি অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী রাজ্যের পক্ষে এর চেয়ে বেশি মহার্ঘ ভাতা দেওয়া সম্ভব নয় । এরপরেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধীরা (Opposition Slams WB State Government) ।

বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে । ছ'লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, তার উপর কেন্দ্রের কাছে দশ হাজার কোটি টাকা ভিক্ষা চেয়েছে রাজ্য সরকার । পেনশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ ডিএ দিয়ে থাকে, রাজ্যরও সমপরিমাণ ডিএ দেওয়া উচিৎ ।" এতই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, "রাজ্যের কাছে টাকা নেই তা তো মনে হয় না । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের জন্মদিনে চেন্নাই ছুটে যাচ্ছেন । রাজ্যে মেলা, খেলা সব হচ্ছে । কোথাও যে টাকার অভাব রয়েছে তা মনে হচ্ছে না । প্রশাসনিক বৈঠকের নামে রাজনৈতিক বৈঠক করছেন তখন টাকার অভাব থাকে না, কিন্তু ডিএ দেওয়ার সময় অভাব চলে আসে ।"

বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "যে রাজ্য সরকার তাদের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে না, পেনশনকারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে না, তাদের কোন অধিকার আছে সরকার চালানোর ? একসময় এরাই হোডিং দিয়ে জানিয়েছিল, রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে । এবার তারা বুঝিয়ে দিল, এই সরকার একেবারে দেউলিয়া ।"

আরও পড়ুন: 'কোষাগার ফাঁকা, মহার্ঘভাতা দেওয়া সম্ভব নয়', হলফনামায় উল্লেখ রাজ্যের

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বেহাল তা তো সবাই জানে । সরকারও এবার তা লিখিতভাবে মেনে নিল ভালো কথা । কিন্তু সেটার প্রমাণ হবে কীভাবে ? কার্নিভাল হচ্ছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে । ক্লাবগুলিকে 60-62 হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে । সেই টাকা আসছে কোথা থেকে ? রাজ্যের এই আর্থিক অবস্থায় টাকা আসার কথা না । এখন কেন ন্যায্য দাবির ক্ষেত্রে বেহাল তথ্য দেওয়া হচ্ছে ?" বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "একশো দিনের টানা লুট । মানুষকে লুট করছে । ডিএ দেব না । প্লট বানাব । গত এগারো বছরে কোন কাজটা করেছে ?"

পালটা এসেছে শাসকদলের তরফেও । তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "2021 ও 2022 সালে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বকেয়া টাকা মেটানোর অনুরোধ দিতে বহুবার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে । ফলে সেই টাকা আগে দেওয়া উচিত । কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের প্রায় 1 লক্ষ কোটি টাকার উপর বকেয়া রয়েছে । এই টাকা আমাদের ন্যায্য টাকা । এরপরেও রাজ্য সরকার কিছু মানুষের স্বার্থে পরিষেবা দিচ্ছে । কেন্দ্র এই টাকা মিটিয়ে দিলে আমাদের সব সমস্যা মিটে যাবে ।" এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না ।

Last Updated : Nov 5, 2022, 6:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.