ETV Bharat / state

কলকাতার বিখ্যাত এই বাড়িতে রাতে ঘণ্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন - One family

উত্তর কলকাতার পাল বাড়িতে ঘণ্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন । এই জরুরি পরিষেবা মেলে শুধুমাত্র রাত 11 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত ।

পাল বাড়িতে ঘণ্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন
author img

By

Published : Jul 21, 2019, 2:19 PM IST

Updated : Jul 21, 2019, 5:24 PM IST

কলকাতা, 21 জুলাই : পূর্বপুরুষের নেশা ছিল মানব সেবা । সেই ঐতিহ্য বজায় রাখতেই মানুষের পাশে উত্তরসূরিরা । উত্তর কলকাতার পাল বাড়িতে ঘণ্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন । তবে এই জরুরি পরিষেবা মেলে শুধুমাত্র রাত 11 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত । এই বাড়ির মালিক বি কে পাল অর্থাৎ, বটকৃষ্ণ পাল । 1857-58 সাল থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানান বটকৃষ্ণ পালের প্রপৌত্র অনুপকুমার পাল ।

92 নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটে বটকৃষ্ণ পালের বাড়ির নিচের তলায় রয়েছে দোকান । এই দোকানে দিনের বেলাতেও অক্সিজেন পাওয়া যায় । তবে, রাত 11 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত চালু থাকে রাতের অক্সিজেনের জরুরি পরিষেবা । এই পরিষেবা পেতে হলে দোকানের সামনে একটি ঘণ্টা রয়েছে । যার নাম 'নাইট বেল' । এই ঘণ্টা বাজানো হলে, অক্সিজেন দেওয়া হয় । এক সময় এই দোকানের কর্মীরা এই পরিষেবা দিতেন । বর্তমানে বটকৃষ্ণ পালের বংশধররা এই পরিষেবা দেন ।

তবে শুধুমাত্র অক্সিজেন নয় । বটকৃষ্ণ পালের আমলে তৈরি হয়েছিল এডওয়ার্ডস টনিক‌ । ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য জ্বর এবং অন্য বিভিন্ন অসুখে এই ওষুধ কাজ করে বলে জানান অনুপবাবু । অক্সিজেনের পাশাপাশি রাতের বেলায় ঘণ্টা বাজালে ওষুধও পাওয়া যায় । শুধুমাত্র এডওয়ার্ডস টনিকই নয়, বাজারে চালু অন্য কিছু ওষুধও এখানে পাওয়া যায় । যার মধ্যে জীবনদায়ী ওষুধ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে । তবে, বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য রাতে অক্সিজেন নিতেই আসেন এখানে । তার কারণ, কলকাতায় অন্য কোথাও সেভাবে রাতের বেলায় অক্সিজেন পাওয়া যায় না ।

ওষুধের পাশাপাশি ডাক্তারের চেম্বার এবং একটি অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে এই বাড়িতে । এই চেম্বারে এক সময় রোগী দেখেছেন ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় । চেম্বার এবং অপারেশন থিয়েটারটি এখনও রয়েছে, তবে চালু নেই পরিষেবা । এই বাড়ির পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস । অনুপকুমার পাল বলেন, "ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি বুঝি না । আমাদের কাছে পারিবারিক ঐতিহ্য আগে । ঐতিহ্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া হয় । এরদ্বারা আমরা মানুষের অনেক কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছি ।"

দেখুন ভিডিয়ো

অনুপকুমার পাল বলেন, বটকৃষ্ণ পালের জন্ম শিবপুরে । সেখান থেকে 20 নম্বর খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটে চলে আসেন তিনি । 1857-58 সালে খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি । সেই দোকানে ওষুধের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন গাছ বিক্রি হত । ওই দোকানেই গাছ কিনতে গেছিলেন এডওয়ার্ডস সাহেব । তিনি ভুল বশত টাকার থলি দোকানেই ফেলে যান । পরে তা খোঁজ করতে গিয়ে ফিরে পেলেও ফিরিয়ে নেননি সেই থলি । টাকার থলির খোঁজ মেলায় তিনি আনন্দে বটকৃষ্ণ পালকে ম্যালেরিয়ার ওষুধের জন্য একটি ফর্মুলা বলে দেন । কারণ, তখন শহরে খুব ম্যালেরিয়া হচ্ছিল । এরপর বটকৃষ্ণ পাল ওই ফর্মুলা জেনে তা তৈরি করে বিক্রি করেন । ওষুধের নাম দেন এডওয়ার্ডস টনিক । এরপর ধীরে ধীরে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন বটকৃষ্ণ পাল । ভূতনাথ পাল ও হরিশংকর পাল ছিলেন বটকৃষ্ণ পালের দুই ছেলে । হরিশংকর পাল কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ছিলেন । তাঁর প্রচেষ্টায় এডওয়ার্ডস টনিকের বিস্তার ঘটে । লন্ডনেও একটি অফিস ছিল । পাশাপাশি দমদমের ঘুঘুডাঙায় এই টনিক তৈরির জন্য বড় ফ্যাক্টরি ছিল । এই টনিককে সাধারণ মানুষ বলেন 32 রোগের ওষুধ ।

অনুপবাবু আরও জানান, 92 নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের এই বাড়িতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধি, জওহরলাল নেহরু, রামকৃষ্ণর মতো মনীষীদের পা পড়েছে ৷

কলকাতা, 21 জুলাই : পূর্বপুরুষের নেশা ছিল মানব সেবা । সেই ঐতিহ্য বজায় রাখতেই মানুষের পাশে উত্তরসূরিরা । উত্তর কলকাতার পাল বাড়িতে ঘণ্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন । তবে এই জরুরি পরিষেবা মেলে শুধুমাত্র রাত 11 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত । এই বাড়ির মালিক বি কে পাল অর্থাৎ, বটকৃষ্ণ পাল । 1857-58 সাল থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানান বটকৃষ্ণ পালের প্রপৌত্র অনুপকুমার পাল ।

92 নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটে বটকৃষ্ণ পালের বাড়ির নিচের তলায় রয়েছে দোকান । এই দোকানে দিনের বেলাতেও অক্সিজেন পাওয়া যায় । তবে, রাত 11 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত চালু থাকে রাতের অক্সিজেনের জরুরি পরিষেবা । এই পরিষেবা পেতে হলে দোকানের সামনে একটি ঘণ্টা রয়েছে । যার নাম 'নাইট বেল' । এই ঘণ্টা বাজানো হলে, অক্সিজেন দেওয়া হয় । এক সময় এই দোকানের কর্মীরা এই পরিষেবা দিতেন । বর্তমানে বটকৃষ্ণ পালের বংশধররা এই পরিষেবা দেন ।

তবে শুধুমাত্র অক্সিজেন নয় । বটকৃষ্ণ পালের আমলে তৈরি হয়েছিল এডওয়ার্ডস টনিক‌ । ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য জ্বর এবং অন্য বিভিন্ন অসুখে এই ওষুধ কাজ করে বলে জানান অনুপবাবু । অক্সিজেনের পাশাপাশি রাতের বেলায় ঘণ্টা বাজালে ওষুধও পাওয়া যায় । শুধুমাত্র এডওয়ার্ডস টনিকই নয়, বাজারে চালু অন্য কিছু ওষুধও এখানে পাওয়া যায় । যার মধ্যে জীবনদায়ী ওষুধ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে । তবে, বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য রাতে অক্সিজেন নিতেই আসেন এখানে । তার কারণ, কলকাতায় অন্য কোথাও সেভাবে রাতের বেলায় অক্সিজেন পাওয়া যায় না ।

ওষুধের পাশাপাশি ডাক্তারের চেম্বার এবং একটি অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে এই বাড়িতে । এই চেম্বারে এক সময় রোগী দেখেছেন ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় । চেম্বার এবং অপারেশন থিয়েটারটি এখনও রয়েছে, তবে চালু নেই পরিষেবা । এই বাড়ির পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস । অনুপকুমার পাল বলেন, "ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি বুঝি না । আমাদের কাছে পারিবারিক ঐতিহ্য আগে । ঐতিহ্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া হয় । এরদ্বারা আমরা মানুষের অনেক কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছি ।"

দেখুন ভিডিয়ো

অনুপকুমার পাল বলেন, বটকৃষ্ণ পালের জন্ম শিবপুরে । সেখান থেকে 20 নম্বর খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটে চলে আসেন তিনি । 1857-58 সালে খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি । সেই দোকানে ওষুধের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন গাছ বিক্রি হত । ওই দোকানেই গাছ কিনতে গেছিলেন এডওয়ার্ডস সাহেব । তিনি ভুল বশত টাকার থলি দোকানেই ফেলে যান । পরে তা খোঁজ করতে গিয়ে ফিরে পেলেও ফিরিয়ে নেননি সেই থলি । টাকার থলির খোঁজ মেলায় তিনি আনন্দে বটকৃষ্ণ পালকে ম্যালেরিয়ার ওষুধের জন্য একটি ফর্মুলা বলে দেন । কারণ, তখন শহরে খুব ম্যালেরিয়া হচ্ছিল । এরপর বটকৃষ্ণ পাল ওই ফর্মুলা জেনে তা তৈরি করে বিক্রি করেন । ওষুধের নাম দেন এডওয়ার্ডস টনিক । এরপর ধীরে ধীরে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন বটকৃষ্ণ পাল । ভূতনাথ পাল ও হরিশংকর পাল ছিলেন বটকৃষ্ণ পালের দুই ছেলে । হরিশংকর পাল কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ছিলেন । তাঁর প্রচেষ্টায় এডওয়ার্ডস টনিকের বিস্তার ঘটে । লন্ডনেও একটি অফিস ছিল । পাশাপাশি দমদমের ঘুঘুডাঙায় এই টনিক তৈরির জন্য বড় ফ্যাক্টরি ছিল । এই টনিককে সাধারণ মানুষ বলেন 32 রোগের ওষুধ ।

অনুপবাবু আরও জানান, 92 নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের এই বাড়িতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধি, জওহরলাল নেহরু, রামকৃষ্ণর মতো মনীষীদের পা পড়েছে ৷

Intro:কলকাতা, ২০ জুলাই: ঘন্টা বাজালেই পাওয়া যায় অক্সিজেন। উত্তর কলকাতার বিখ্যাত এই বাড়িতে। এই বাড়ি, বি কে পাল অর্থাৎ, বটকৃষ্ণ পালের। তবে, ঘণ্টা বাজালেই অক্সিজেন পাওয়া যায় শুধুমাত্র রাত ১১-১১:৩০ থেকে সকাল ৭-৮টা পর্যন্ত। ১৮৫৭-'৫৮ থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।Body:৯২ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটে বটকৃষ্ণ পালের এই বাড়ির নিচের তলায় রয়েছে দোকান। এই দোকানে দিনের বেলায়ও অক্সিজেন পাওয়া যায়। তবে, রাত ১১টা ১১:৩০ থেকে সকাল ৭-৮টা পর্যন্ত চালু থাকে রাতের এই অক্সিজেনের পরিষেবা। এই পরিষেবা পেতে হলে দোকানের সামনে একটি ঘণ্টা রয়েছে। যার নাম "নাইট বেল"। এই ঘন্টা বাজানো হলে, অক্সিজেন দেওয়া হয়। এক সময় এই দোকানের কর্মীরা এই পরিষেবা দিতেন। বর্তমানে বটকৃষ্ণ পালের বংশধরেরা এই পরিষেবা দেন।

তবে শুধুমাত্র অক্সিজেন নয়। বটকৃষ্ণ পালের আমলে তৈরি হয়েছিল এডওয়ার্ডস টনিক‌। ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য জ্বর এবং অন্য বিভিন্ন অসুখে এই ওষুধ কাজ করে বলে জানানো হয়েছে। অক্সিজেনের পাশাপাশি রাতের বেলায় ঘণ্টা বাজালে ওষুধও পাওয়া যায়। এই এডওয়ার্ডস টনিক শুধুমাত্র নয়। বাজারে চালু অন্য কিছু ওষুধও এখানে পাওয়া যায়। যার মধ্যে জীবনদায়ী ওষুধ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে, বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য রাতে অক্সিজেন নিতেই আসেন। তার কারণ, কলকাতায় অন্য কোথাও সেভাবে রাতের বেলায় অক্সিজেন পাওয়া যায় না।

ওষুধের পাশাপাশি ডাক্তারের চেম্বার এবং একটি অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে এই বাড়িতে। এই চেম্বারে এক সময় রোগী দেখেছেন ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়। এই চেম্বার এবং অপারেশন থিয়েটার এখনও রয়েছে, তবে চালু নেই পরিষেবা। এই বাড়ির পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। বটকৃষ্ণ পালের প্রপৌত্র অনুপকুমার পাল। এই বংশধর জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির তুলনায় তাঁদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই অক্সিজেনের পরিষেবা এবং ওষুধের দোকান চালু রাখা হয়েছে।

অনুপকুমার পাল জানিয়েছেন, বটকৃষ্ণ পালের জন্ম শিবপুরে। সেখান থেকে তিনি চলে আসেন ২০ নম্বর খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটে। তাঁর অন্য ভাইরা শিবপুরেই থেকে যান। শিবপুরে এখনও ওই সব ভাইয়ের বংশধরেরা রয়েছেন। তখন ১৮৫৩-'৫৪। খ্যাংড়াপট্টি স্ট্রিটে ষ মামাদের দোকানে চাকরি করতেন বটকৃষ্ণ পাল। ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন গাছ-গাছরা বিক্রি হত ওই দোকানে। ওই দোকানে গাছ-গাছরা কিনতে গিয়েছিলেন এডওয়ার্ডস সাহেব। টাকার থলি ভুল করে তিনি ওই দোকানে ফেলে আসেন। পরে খোঁজ করতে যান। কিন্তু টাকার থলি তিনি আর ফেরত নেননি।
Conclusion:অনুপকুমার পাল জানিয়েছেন, তখন খুব ম্যালেরিয়া হচ্ছিল। টাকার থলি ফিরে পাওয়ায় এডওয়ার্ডস সাহেব খুশি হয়ে বটকৃষ্ণ পালকে বলেন, ম্যালেরিয়ার ওষুধের জন্য তিনি একটি ফর্মুলা বলে দেবেন‌। সেটা তৈরি করে বটকৃষ্ণ পাল বিক্রি করুক। এর পরে ওষুধ তৈরি করে নাম দেওয়া হয় এডওয়ার্ডস টনিক। এর পর ধীরে ধীরে এক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠেন বটকৃষ্ণ পাল। বটকৃষ্ণ পালের দুই ছেলে। ভূতনাথ পাল এবং হরিশংকর পাল। এই হরিশংকর পাল কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় এই টনিকের বিস্তার ঘটে। লন্ডনেও অফিস ছিল। দমদমের ঘুঘুডাঙ্গায় এই টনিক তৈরির জন্য বড় ফ্যাক্টরি ছিল। এই টনিককে সাধারণ মানুষ বলেন ৩২ রোগের ওষুধ।

৯২ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের এই বাড়িতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, রামকৃষ্ণ, এমন সব মানুষ এসেছেন বলেও জানিয়েছেন বটকৃষ্ণ পালের এই বংশধর।

_______

LiveU-এর মাধ্যমে Feedroom-a oxygen bell নামে বাইট, ভিস্যুয়াল পাঠানো হয়েছে।







Last Updated : Jul 21, 2019, 5:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.