কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো টানেল ও বউবাজার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি দেখতে শহরে এলেন তিন বিশেষজ্ঞের একটি দল ৷ আজ সকালে তাঁরা শহরে আসেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পিচ্ছুমণি এবং এন ডি কট হলেন মাটি বিশেষজ্ঞ ৷ জন ব্রিজ ক্রিস্টোফার হলেন টানেল বিশেষজ্ঞ ৷
বিশেষজ্ঞরা প্রথমে বউবাজার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন ৷ ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জেরে ক্ষতি হতে পারে এমন বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ সারেন ৷ এরপর তাঁরা মেট্রো টানেল পরিদর্শনে যান ৷ বউবাজার এবং সংলগ্ন এলাকার বাড়িগুলি যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা খতিয়ে দেখছেন মাটি বিশেষজ্ঞরা ৷ অন্যদিকে টানেলের ভিতরে আর কী ধরনের ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে সেই বিষয়গুলি দেখবেন বিশেষজ্ঞরা ৷
টানেলে পাঁচিল তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে । দুটি পাঁচিল তোলা হয়েছে । একটি বউবাজারের কাছাকাছি, অপরটি এসপ্ল্যানেডের দিকে । দুটি পাঁচিলের সাহায্যে টানেলে অ্যাকোয়ারিয়ামের মত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে । টানেলে কাদাজল জমে রয়েছে ৷ এই কাদাজল বের করার জন্য উলটো দিক থেকে জল ঢোকানে হচ্ছে ৷ সেই জলের চাপে কাদাজল বের করা হচ্ছে । জলের চাপে যাতে টানেলের পাঁচিল না ভাঙে তার জন্য পাঁচিলের ধারে বালির বস্তা রাখা হয়েছে ।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই বউবাজারে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে ৷ অনেক বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ এখনও পর্যন্ত এলাকার 52 টি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রোরেলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু 5 লাখ টাকা যেন দেওয়া হয় ৷ এছাড়া যাঁদের বাড়ি ও দোকান ভেঙে পড়েছে, তাঁদের বাড়ির বদলে বাড়ি ও দোকানের বদলে দোকান করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ৷ আপাতত মেট্রোরেল টানেলের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ হাইকোর্টকে না জানিয়ে পুনরায় তারা কাজ শুরু করবে না ৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য নিয়ে আগামী 16 সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনিয়ে হাইকোর্টকে রিপোর্ট দেবে মেট্রোরেল ৷ কোর্টের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷