কলকাতা, 21 অক্টোবর: সরকারি অফিসগুলিতে আগেই ছুটি পড়ে গিয়েছিল ৷ আজ সপ্তমী থেকে অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ছুটি পড়ে গিয়েছে ৷ ফলে তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে শহরের রাস্তায় যে প্রকারের ভিড় হয়েছিল ৷ তার থেকে অনেক বেশি ভিড় মহাসপ্তমীর রাতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ শহর, শহরতলী এবং জেলা থেকে রাতভর ঠাকুর দেখার জন্য জনজোয়ার আসবে শহরের দিকে ৷ এমনটাই অনুমান লালবাজারের কর্তাদের ৷ তাই মহাসপ্তমীর রাতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছে লালবাজার ৷
এবার নাকতলা উদয়ন সংঘ, সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ-সহ দক্ষিণ কলকাতার সবক’টি বড় বড় পুজো মণ্ডপের সামনে ও ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী ৷ এই বিষয়ে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের একজন উপ-নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সাধারণত প্যান্ডেলের বাইরে এবং প্যান্ডেলের বড় রাস্তার সামনে দু’টি বাহিনীকে আমরা দাঁড় করাচ্ছি ৷ ভিতরের দিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট থেকে শুরু করে সাব-ইন্সপেক্টরদের পুলিশ কর্মীদের রাখা হচ্ছে ৷ আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ঘটনাস্থলে থাকছেন অফিসার ইনচার্জ এবং একজন অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার আধিকারিক ৷ আর প্যান্ডেলের বাইরে বড় রাস্তার সামনে রাখা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফে নেওয়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের ৷
কিন্তু, অভিযোগ কলকাতা পুলিশের বাহিনী সংকট থাকার ফলে যে, অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ব্যবহার দর্শনার্থীদের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না ৷ অবশ্য এই বিষয়ে কোনও থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ তবে, বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীরা সেখানে দায়িত্বে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সেই অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ যদিও, এই বিষয়ে সরাসরি ভাবে লালবাজারে তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷
আরও পড়ুন: স্মরণে সুকুমার রায়, নবীন পল্লিজুড়ে শুধুই 'আবোল-তাবোল'
পুলিশ কর্মীদের একাংশের মতে, যে সকল স্বেচ্ছাসেবকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা হয়েছে, তারা সকলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় ৷ কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং ভিড়ের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে কীভাবে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হয় ? তার একটা বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, অন্য কোন ঘটনার জন্য জড়ো হওয়া ভিড়, আর ঠাকুর দেখতে আসা ভিড় সামলানোর মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে ৷ তাই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷