কলকাতা, 19 মার্চ: কোষাগার ভরাতে অন্যতম হাতিয়ার নতুন করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা । সেই সংখ্যা বাড়লেই সম্পত্তি খাতে আয়বৃদ্ধি সম্ভব(Kolkata Municipality Corporation) । এই কাজটি করতে পৌরনিগমের সম্পত্তি আয়কর বিভাগ আদাজল খেয়ে নেমেছিল ৷ সেই কাজে সাফল্যও এসেছে ৷ নতুন একাধিক সম্পত্তিকে করের আওতাভুক্ত করেছে । হাতেনাতে মিলেছে ফল ৷ 52 হাজারের বেশি নতুন কর দাতা চিহ্নিত হয়েছে ৷ ফলে কর আদায়ও আশানুরূপ হয়েছে ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, গত 31 জানুয়ারি পর্যন্ত বিগত অর্থবর্ষের (2022-23) হিসেব ধরলে এই সংখ্যা হয়েছে 9 লক্ষ 14 হাজার । যা আগে ছিল 8 লক্ষ 70 হাজার । অর্থাৎ প্রায় 44 হাজার বেড়েছে নথিভূক্ত করদাতার সংখ্যা । যদিও বিভাগীয় সূত্রে খবর, চলতি মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা প্রায় 52 হাজার ।
বছর দেড়েক আগে দ্বিতীয় বারের জন্য মেয়র পদ শপথ নেন ফিরহাদ হাকিম। এরপরই সম্পত্তি কর আদায়ে জোর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কর্মী, আধিকারিকদের ঢিলেঢালা মনোভাব দূরে সরিয়ে কর আদায়ে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন । পাশাপাশি দফায় দফায় বৈঠক করে আয় বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার এবং বিশেষ কমিশনার সোমনাথ দে । বকেয়া করদাতাদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে নতুন নতুন সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন এবং মিউটেশনের জন্য পাড়ায় পাড়ায় শিবির করা হয়েছে ৷ সবই পৌরনিগমের আয় বাড়ানোর জন্য । সেই উদ্যোগ সফল হয়েছে ৷ মিউটেশন নিয়ে বছরের পর বছর বহু অভিযোগ ছিল। সেই বিষয়ে খানিক কাজও হয়েছে । প্রায় 4 হাজারেরও বেশি মিউটেশন বকেয়া ছিল । এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে 700 কাছাকাছি ।
আরও পড়ুন: শহরে গঙ্গাপাড় ভাঙন রোধে ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে কর্পোরেশন
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "করদাতা বৃদ্ধিতে এই সংখ্যাটা রেকর্ড । আগামী অর্থ বছরে আমাদের লক্ষ্য এই রেকর্ড ভেঙে সাড়ে 10 লক্ষে নিয়ে যাওয়া । নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে সম্পত্তি কর বকেয়া ফেলে রাখার প্রবণতা কম । উচ্চবিত্তদের একটা বড় অংশই দিনের পর দিন করের টাকা দেন না । সেই সমস্ত 50 লক্ষ বা 1 কোটির বেশি করদাতাদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজনে রেন্ট অ্যাটাচমেন্ট সম্পত্তি ক্রোক বা বিক্রয়ের মতো করা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি আমরা ।"