ETV Bharat / state

'নো ভোট টু বিজেপি'-এর পর এবার তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'লড়াই হবে' ! - নো ভোট টু বিজেপি

বাংলায় বিজেপির আগ্রাসন ও ফ্যাসিস্ট নীতিকে আটকাতে 'নো ভোট টু বিজেপি' পোস্টার নিয়ে ময়দানে নেমেছিল ফ্যাসিস্ট-আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ৷ ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাস ৷ এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই এবার তাদের অস্ত্র হবে 'লড়াই হবে' ৷ কর্মসূচি শুরু হবে খুব শীঘ্রই ৷

'নো ভোট টু বিজেপি'-এর পর 'লড়াই হবে' ৷
'নো ভোট টু বিজেপি'-এর পর 'লড়াই হবে' ৷
author img

By

Published : May 3, 2021, 11:05 PM IST

কলকাতা, 3 মে: 'নো ভোট টু বিজেপি'-এর পর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নতুন স্লোগানটি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে খুব দ্রুত সেটি হল- 'লড়াই হবে'।

তৃণমূলের ম্যাজিক ফিগার দখলের খেলায় চিয়ার লিডার ছিল যে স্লোগানটি, সেটি হল 'নো ভোট টু বিজেপি' । 4 জানুয়ারি 2021 সালে ভারত সভা হলে রাজ্যে বিজেপি ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আসতে দেওয়া যাবে না সংকল্প নিয়ে ফ্যাসিস্ট-আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা-এর যে পথ চলা শুরু হয়েছিল 2 মে কিন্তু তার পথ চলা শেষ হয়ে গেল না । বরং তাঁদের কোথাও এবার পথ চলা শুরু । কারণ মূল উদ্দেশ্য বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া নয় বরং আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজ্য থেকে দূর করা ।

মঞ্চে অন্যতম আহ্বায়ক কুশল দেবনাথ বলেন যে, "2 মে অর্থাৎ গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তার কড়া বিরোধিতা করছি আমরা । ইতিমধ্যেই আমরা প্রতিবাদে সরব হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে । আমরা ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি মানে এই নয় যে তৃণমূলের সন্ত্রাস মেনে নেব । তাই বিজেপিকে আটকানোই শুধু আমাদের উদ্দেশ্য নয় ৷ আবার নতুন করে শুরু হবে লড়াই তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ।"

তিনি আরও বলেন, "বিজেপির ফ্যাসিস্ট শক্তি যখন একটার পর একটা আক্রমণ করে চলেছে । একদিকে চলেছে কৃষক আন্দোলন অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট আসন্ন ৷ তখনই রাজ্যে বিজেপিকে আটকানোর উদ্দেশ্য়েই বহু মানুষ একত্র হন । গত 4 জানুয়ারি ভারত সভা হলে একটি কনভেনশন হয়, যার নাম দেওয়া হয় 'ফ্যাসিস্ট-আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার জন্য মত বিনিময় কনভেনশন' ৷ তৈরি হয় আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা মঞ্চ । সেখানেই ঠিক হয় পরবর্তী কর্মসূচির একটি রূপরেখা । রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে 'নো ভোট টু বিজেপি' আন্দোলন । আমরা 4 জানুয়ারি যে পোলারাইজেশন তৈরি করার চেষ্টা করি সেটি সার্থক হয়েছে বলে আজ মনে করি ।"

সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য মনে করেন, বহু কর্মী ও নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও যে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ শতাংশ ভোট বেড়েছে তাতে অনেকটাই এই ক্যাম্পেইনের সার্থকতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, "2019 সালে আমরা যখন বুঝতে পারলাম যে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের জন্য ঝাঁপাবে তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে বিজেপির আগ্রাসন ও ফ্যাসিস্ট নীতিকে আটকাতে হবে । যেভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শাসনকে আসতে দেওয়া যাবে না । কারণ বিজেপি প্রথমে গণতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসে । তারপর সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে । আরএসএসের এই উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পেরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আটকাতে শুরু হয় এই 'নো ভোট টু বিজেপি' মুভমেন্ট ।"

আরও পড়ুন: নতুন সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজভবনে মমতা

কলকাতা, 3 মে: 'নো ভোট টু বিজেপি'-এর পর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নতুন স্লোগানটি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে খুব দ্রুত সেটি হল- 'লড়াই হবে'।

তৃণমূলের ম্যাজিক ফিগার দখলের খেলায় চিয়ার লিডার ছিল যে স্লোগানটি, সেটি হল 'নো ভোট টু বিজেপি' । 4 জানুয়ারি 2021 সালে ভারত সভা হলে রাজ্যে বিজেপি ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আসতে দেওয়া যাবে না সংকল্প নিয়ে ফ্যাসিস্ট-আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা-এর যে পথ চলা শুরু হয়েছিল 2 মে কিন্তু তার পথ চলা শেষ হয়ে গেল না । বরং তাঁদের কোথাও এবার পথ চলা শুরু । কারণ মূল উদ্দেশ্য বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া নয় বরং আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজ্য থেকে দূর করা ।

মঞ্চে অন্যতম আহ্বায়ক কুশল দেবনাথ বলেন যে, "2 মে অর্থাৎ গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তার কড়া বিরোধিতা করছি আমরা । ইতিমধ্যেই আমরা প্রতিবাদে সরব হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে । আমরা ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি মানে এই নয় যে তৃণমূলের সন্ত্রাস মেনে নেব । তাই বিজেপিকে আটকানোই শুধু আমাদের উদ্দেশ্য নয় ৷ আবার নতুন করে শুরু হবে লড়াই তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ।"

তিনি আরও বলেন, "বিজেপির ফ্যাসিস্ট শক্তি যখন একটার পর একটা আক্রমণ করে চলেছে । একদিকে চলেছে কৃষক আন্দোলন অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট আসন্ন ৷ তখনই রাজ্যে বিজেপিকে আটকানোর উদ্দেশ্য়েই বহু মানুষ একত্র হন । গত 4 জানুয়ারি ভারত সভা হলে একটি কনভেনশন হয়, যার নাম দেওয়া হয় 'ফ্যাসিস্ট-আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার জন্য মত বিনিময় কনভেনশন' ৷ তৈরি হয় আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা মঞ্চ । সেখানেই ঠিক হয় পরবর্তী কর্মসূচির একটি রূপরেখা । রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে 'নো ভোট টু বিজেপি' আন্দোলন । আমরা 4 জানুয়ারি যে পোলারাইজেশন তৈরি করার চেষ্টা করি সেটি সার্থক হয়েছে বলে আজ মনে করি ।"

সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য মনে করেন, বহু কর্মী ও নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও যে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ শতাংশ ভোট বেড়েছে তাতে অনেকটাই এই ক্যাম্পেইনের সার্থকতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, "2019 সালে আমরা যখন বুঝতে পারলাম যে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের জন্য ঝাঁপাবে তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে বিজেপির আগ্রাসন ও ফ্যাসিস্ট নীতিকে আটকাতে হবে । যেভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শাসনকে আসতে দেওয়া যাবে না । কারণ বিজেপি প্রথমে গণতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসে । তারপর সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে । আরএসএসের এই উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পেরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আটকাতে শুরু হয় এই 'নো ভোট টু বিজেপি' মুভমেন্ট ।"

আরও পড়ুন: নতুন সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজভবনে মমতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.