কলকাতা, 7 মে: এমনিতেই গতকাল তাঁর জিভ ছিঁড়ে টেনে নেওয়ার বক্তব্যে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। ডিএ নিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করতে গিয়ে মঞ্চ থেকে জিভ কেটে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের অন্য অভিযোগ আনলেন আন্দোলনকারীরা। ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের নিশানায় রাজ্যের প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, কোনও কারণ ছাড়াই তাদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার এই নিয়েই মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এক্ষেত্রে তাঁরা অভিযোগ করছেন, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনেই এমন ঘটনা ঘটছে। তাঁরা এই অভিযোগও করেছে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বের মোবাইল ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণভাবে নীতিবিরুদ্ধ। মঞ্চের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "গুরুত্বপূর্ণ সময় দু'ঘণ্টার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ ছাড়াই আমাদের সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর সবটাই হচ্ছে রাজ্যের প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের নেতৃত্বে। আমরা সরকারকে একটা বার্তা দিতে চাই এভাবে অন্তত আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না।" যৌথ মঞ্চের অপর আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "এই যে লড়াইটা যৌথ মঞ্চের নেতারা করছেন তা বাঙালি গৌরবকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে। যে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে জিভ টেনে ছিড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। বুঝতে হবে সেখানে কতটা গণতন্ত্র আছে।"
আরও পড়ুন: রাজ্যের মন্ত্রীর গলায় জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার হুমকি
প্রসঙ্গত, যৌথ মঞ্চের নেতাদের ফোন ট্যাপ এবং সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মন্ত্রী জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "এত কাজ করার পরেও আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি বলেছি যদি এ ধরনের কথা কেউ বলে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে গর্জে উঠতে হবে। অথচ আমার এই বক্তব্য নিয়ে মিথ্যা প্রচার হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে।"
এদিন উজ্জ্বল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। পালটা তিনি বলেন, "এরা নিজেরা কাজ করবে না, গরিব মানুষের জন্য একজন মানুষ আন্দোলন করছেন, তার বিরুদ্ধে কুৎসা করবেন এদের তো সব অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত। তবে তিনি সরাসরি স্বীকার করেননি, আন্দোলনকারীদের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পিছনে তার হাত আছে কি না।"