কলকাতা, 14 নভেম্বর: কলকাতার বুকে শিশুদের জন্য সেরা ঐতিহ্যবাহী ডেস্টিনেশন 'নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম'। শীতের ছুটিতে, গরমের ছুটিতে বাবা-মায়ের হাত ধরে একবার অন্তত এই ঠিকানায় ঢুঁ মারেনি এমন মানুষ বিরল। এখানেই রয়েছে শিশুমন তাজা করার অন্যতম রসদ 'ডল গ্যালারি', 'রামায়ণ গ্যালারি', 'মহাভারত গ্যালারি', 'গণেশ গ্যালারি'। যেগুলি ঘিরে শিশুদের আগ্রহ বরাবরের ।
1972 সালে যুগল শ্রীমলের অধিনায়কত্বে কলকাতার বুকে গড়ে ওঠে 'নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম'। নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম শুধু ভ্রমণের জন্যই নয়, বছরের বিভিন্ন সময়ে শিশুদের জন্য এখানে বসে নাচ, গান, আঁকা, আবৃত্তি, নাট্য কর্মশালার আসর । এখানে সামার ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে । এমনকী সারা বছর ধরে চলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ । প্রশিক্ষকের তালিকাও মনে রাখার মতো। প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব রমাপ্রসাদ বণিকও একসময় এখানে প্রশিক্ষকের কাজ করতেন। এছাড়া ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শ্রীকান্ত আচার্য, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা শংকর, লোপামুদ্রা মিত্র, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন-সহ আরও অনেকে এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন ।
এই শিশু দিবসে ইটিভি ভারত ঘুরে দেখল কলকাতার জওহরলাল নেহেরু রোডের এই ডেস্টিনেশন । সেখানে গিয়ে দেখা যায়, রিসেপশন খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে বাকি সব বিভাগ । 15 নভেম্বর থেকে ফের নিয়মিত চালু হবে সব । কিন্তু শিশু দিবসেই খোলা নেই চিলড্রেন্স মিউজিয়াম ! ফলে, দেখা নেই শিশুদের । পঞ্চকবির কন্যা সঙ্গীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর মেয়েবেলায় দেখা নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামের কথা ।
তিনি বলেন, "অনেক অন্যরকম হয়ে গিয়েছে । সব জায়গাতেই এখন ব্যবসা বেশি আত্মার টান কম । যে পুতুলগুলোর টানে আমরা ছোটবেলায় যেতাম সেগুলো অযত্নে পড়ে আছে। আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট এখনও শেখানো হয় । তবে, নিজেদের চৌহদ্দির মধ্যে । সেরকম ফ্যাকাল্টি যতদূর জানি নেই । আর তার ফলে ছাত্রছাত্রীও কমে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে আর্থিক কারণ একটা বড় দিক । তবে, নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম যে ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান সে বিষয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই । কত কর্মশালা এখানে হয়েছে, কত কিছু শেখানো হয়েছে এখানে একটা সময়ে । এখন তার মাত্রা অনেকটাই কম এটুকু বলতে পারি ।"
উল্লেখ্য, নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামের অন্দরের কোনও কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এ দিন কথা বলা সম্ভব হয়নি। কেননা 14 নভেম্বর মিউজিয়ামে ছিলেন না কেউই ।
আরও পড়ুন: