ETV Bharat / state

Nirmala over GST: বিজেপি-সরকারের কাছে জিএসটি বাবদ বাংলার পাওনা 2 হাজার কোটিরও বেশি, দাবি নবান্নের

বরাদ্দ অর্থ নিয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলেছে দু'পক্ষ ৷ শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন রাজ্যের বিরুদ্ধে জিএসটি-বাবদ প্রাপ্য অর্থের হিসেব না-পাঠানোর অভিযোগ তুললেন ৷ খারিজ করল নবান্ন (Nabanna rejects allegation made by Nirmala Sitharaman ) ৷

Nirmala Sitharaman
নির্মলা সীতারমন
author img

By

Published : Feb 11, 2023, 8:12 AM IST

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার বাজেট অধিবেশনে জবাবী ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জিএসটি নিয়ে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার অভিযোগ করছে জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ বাবদ তাদের 832 কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও অভিযোগ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না-দিয়ে অর্থনৈতিক ব্লকেজ তৈরির চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু ঘটনা, 2017-18 সাল থেকে জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়ার জন্য অ্যাকাউনট্যান্ট জেনারেলের রিপোর্ট পাঠায়নি বাংলা ৷"

শুক্রবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এর জবাব দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য সঠিক নয় ৷ তথ্য বলছে, নবান্নের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত 2017-18 এবং 2018-19 অর্থবর্ষের হিসাব পাঠানো হয়েছে ৷ বাকি রয়েছে 2019-20 অর্থবর্ষ এবং তার পরবর্তী সময়ের হিসেব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার 2019-20 অর্থবর্ষ এবং তার পরবর্তী সময়ের টাকা দিয়েছে নেট হিসাবে ৷ এখানে রাজ্য সরকারের দাবি,ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করা হয় নেট রাজস্বের হিসাবে ৷ সেই দিক থেকে এই মুহূর্তে মোদি-সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 2 হাজার 409.96 কোটি টাকা প্রাপ্য ৷

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনা (Pradhan Mantri Gram Sadak Yojana, PMGSY) নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন ৷ নির্মলা সীতারমন বলেন, "রাজ্য যতই বলুক, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে ৷ তাকে তার প্রাপ্য দিচ্ছে না ৷ তথ্য বলছে, অর্থবর্ষের শেষের দিকে এসেও প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় সমন্বয় সাধনের জন্য তৈরি রিপোর্ট এখনও পাঠায়নি বাংলা ৷" এই দাবিরও পালটা জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে নবান্ন দাবি করেছে, কেন্দ্র একথা বললেও ইতিমধ্যে দু'বার রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ৷ নবান্নের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছিল 2021 সালের 21 জুন ৷ দ্বিতীয়বার এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে 2022 সালের 27 সেপ্টেম্বর ৷ নির্মলা সীতারমনের এই সব অভিযোগের জবাবে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নির্মলা সীতারমনকে বলুন আগে আদানির তদন্ত করতে ৷ ব্যাংক যে খালি হয়ে গেল সেটা আগে তদন্ত করা হোক । লক্ষ, কোটি টাকা লুট করছেন মোদির বন্ধুরা ৷"

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর টাকা দেয়নি বাংলা, লোকসভায় অভিযোগ নির্মলার

এদিকে, কেন্দ্রীয় বাজেটে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে 'বরাদ্দ কমানো' নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র ৷ জবাবী ভাষণে এই বিষয়টিও তোলেন নির্মলা ৷ সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে 1984 সালে অসমের একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি ৷ সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, "তখন তো বরাদ্দ সংক্রান্ত সমস্যা ছিল না ৷ তাহলে এমন ঘটনা ঘটল কী করে ?" এই বিষয়টির উল্লেখ করতে গিয়ে ঘুরপথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য ৷ নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীর প্রতিবাদে মমতা 'কা-কা-ছি-ছি' শব্দবন্ধের ব্যবহার করতেন ৷ সেই বিষয়টির উল্লেখ করে নির্মলা বলেন, "মমতার কবিতার মতো কংগ্রেসের আচরণের প্রতিবাদেও ছি ছি বলা উচিত ৷"

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার বাজেট অধিবেশনে জবাবী ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জিএসটি নিয়ে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার অভিযোগ করছে জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ বাবদ তাদের 832 কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও অভিযোগ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না-দিয়ে অর্থনৈতিক ব্লকেজ তৈরির চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু ঘটনা, 2017-18 সাল থেকে জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়ার জন্য অ্যাকাউনট্যান্ট জেনারেলের রিপোর্ট পাঠায়নি বাংলা ৷"

শুক্রবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এর জবাব দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য সঠিক নয় ৷ তথ্য বলছে, নবান্নের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত 2017-18 এবং 2018-19 অর্থবর্ষের হিসাব পাঠানো হয়েছে ৷ বাকি রয়েছে 2019-20 অর্থবর্ষ এবং তার পরবর্তী সময়ের হিসেব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার 2019-20 অর্থবর্ষ এবং তার পরবর্তী সময়ের টাকা দিয়েছে নেট হিসাবে ৷ এখানে রাজ্য সরকারের দাবি,ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করা হয় নেট রাজস্বের হিসাবে ৷ সেই দিক থেকে এই মুহূর্তে মোদি-সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 2 হাজার 409.96 কোটি টাকা প্রাপ্য ৷

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনা (Pradhan Mantri Gram Sadak Yojana, PMGSY) নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন ৷ নির্মলা সীতারমন বলেন, "রাজ্য যতই বলুক, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে ৷ তাকে তার প্রাপ্য দিচ্ছে না ৷ তথ্য বলছে, অর্থবর্ষের শেষের দিকে এসেও প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় সমন্বয় সাধনের জন্য তৈরি রিপোর্ট এখনও পাঠায়নি বাংলা ৷" এই দাবিরও পালটা জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে নবান্ন দাবি করেছে, কেন্দ্র একথা বললেও ইতিমধ্যে দু'বার রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ৷ নবান্নের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছিল 2021 সালের 21 জুন ৷ দ্বিতীয়বার এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে 2022 সালের 27 সেপ্টেম্বর ৷ নির্মলা সীতারমনের এই সব অভিযোগের জবাবে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নির্মলা সীতারমনকে বলুন আগে আদানির তদন্ত করতে ৷ ব্যাংক যে খালি হয়ে গেল সেটা আগে তদন্ত করা হোক । লক্ষ, কোটি টাকা লুট করছেন মোদির বন্ধুরা ৷"

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর টাকা দেয়নি বাংলা, লোকসভায় অভিযোগ নির্মলার

এদিকে, কেন্দ্রীয় বাজেটে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে 'বরাদ্দ কমানো' নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র ৷ জবাবী ভাষণে এই বিষয়টিও তোলেন নির্মলা ৷ সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে 1984 সালে অসমের একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি ৷ সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, "তখন তো বরাদ্দ সংক্রান্ত সমস্যা ছিল না ৷ তাহলে এমন ঘটনা ঘটল কী করে ?" এই বিষয়টির উল্লেখ করতে গিয়ে ঘুরপথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য ৷ নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীর প্রতিবাদে মমতা 'কা-কা-ছি-ছি' শব্দবন্ধের ব্যবহার করতেন ৷ সেই বিষয়টির উল্লেখ করে নির্মলা বলেন, "মমতার কবিতার মতো কংগ্রেসের আচরণের প্রতিবাদেও ছি ছি বলা উচিত ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.