ETV Bharat / state

Covid Norms: রাজ্যে এখনই কার্যকর হচ্ছে না করোনাবিধি, বৈঠকের পর জানালেন মুখ্যসচিব

পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই করোনাবিধি (Covid Norms) কার্যকর করার কথা ভাবছে না নবান্ন (Nabanna) ৷ বুধবার একথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী ( Hari Krishna Dwivedi) ৷

Nabanna is not going to implement Covid Norms on immediate basis
প্রতীকী ছবি ৷
author img

By

Published : Dec 28, 2022, 7:22 PM IST

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: চিন-সহ বিশ্বের অন্য়ান্য দেশে ফের একবার ভয় দেখাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ৷ কিন্তু, এদেশের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল ৷ বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ তাই আপাতত এরাজ্যে করোনাবিধি (Covid Norms) কার্যকর করার কথা ভাবছে না প্রশাসন ৷ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক (Meeting) ডাকা হয় ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi) ৷

বৈঠকের পর মুখ্যসচিব জানান, এখনই রাজ্যে কঠোর করোনাবিধি আরোপের কথা ভাবছে না নবান্ন ৷ তবে এই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে অবশ্যই সতর্কতার প্রয়োজন আছে ৷ একইসঙ্গে, নাগরিকদেরও সতর্ক থাকা জরুরি ৷ তাই স্বাস্থ্য ভবনকে যেমন যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, তেমনই নাগরিকদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই রাজ্যজুড়ে 45টি হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে মক ড্রিল করানো হয় ৷ সেই কর্মসূচি পালনের পর হাসপাতালগুলির বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এদিনের বৈঠকে ৷ মুখ্যসচিব ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷ তাঁদের সকলকেই সতর্ক থাকার বার্তা দেন মুখ্যসচিব ৷

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিদেশিনী, বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হল বেলেঘাটা আইডিতে

নবান্নের এই বৈঠক থেকে এদিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ যেমন, হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে তা মোকাবিলার জন্য প্রথম ধাপে 3 হাজার 718টি শয্য়া শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷ একইসঙ্গে, বিভিন্ন জেলায় করোনা আক্রান্তদের উপর নজর রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ প্রয়োজনে রাজ্যেই যাতে সর্বাধিক পরিমাণে করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো যায়, তারও যত দূর সম্ভব ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে ৷

এর পাশাপাশি এদিনের এই বৈঠক থেকে টিকাকরণ ও বুস্টার ডোজ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তের খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হতেই আমজনতার মধ্য়ে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ৷ কিন্তু সমস্যা হল, এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে চাহিদার তুলনায় খুবই কম বুস্টার ডোজ রয়েছে ৷ আর সেই কারণেই মুখ্যসচিব এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে যে বুস্টার ডোজের অভাব রয়েছে, সেকথা কেন্দ্রকে জানানো হবে ৷ যেহেতু রাজ্য চাইলেই সরাসরি মানুষকে টিকা দিতে পারে না, তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই ভরসা করতে হবে ৷

একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ফের বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টেস্টিং কিট নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷ তাঁর নির্দেশ, শুধুমাত্র টেস্টিং কিট নয়, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোই হাসপাতালগুলিকে মজুত রাখতে হবে ৷ বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের উপর ৷ বিশেষ করে যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে ৷

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: চিন-সহ বিশ্বের অন্য়ান্য দেশে ফের একবার ভয় দেখাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ৷ কিন্তু, এদেশের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল ৷ বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ তাই আপাতত এরাজ্যে করোনাবিধি (Covid Norms) কার্যকর করার কথা ভাবছে না প্রশাসন ৷ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক (Meeting) ডাকা হয় ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi) ৷

বৈঠকের পর মুখ্যসচিব জানান, এখনই রাজ্যে কঠোর করোনাবিধি আরোপের কথা ভাবছে না নবান্ন ৷ তবে এই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে অবশ্যই সতর্কতার প্রয়োজন আছে ৷ একইসঙ্গে, নাগরিকদেরও সতর্ক থাকা জরুরি ৷ তাই স্বাস্থ্য ভবনকে যেমন যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, তেমনই নাগরিকদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই রাজ্যজুড়ে 45টি হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে মক ড্রিল করানো হয় ৷ সেই কর্মসূচি পালনের পর হাসপাতালগুলির বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এদিনের বৈঠকে ৷ মুখ্যসচিব ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷ তাঁদের সকলকেই সতর্ক থাকার বার্তা দেন মুখ্যসচিব ৷

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিদেশিনী, বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হল বেলেঘাটা আইডিতে

নবান্নের এই বৈঠক থেকে এদিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ যেমন, হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে তা মোকাবিলার জন্য প্রথম ধাপে 3 হাজার 718টি শয্য়া শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷ একইসঙ্গে, বিভিন্ন জেলায় করোনা আক্রান্তদের উপর নজর রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ প্রয়োজনে রাজ্যেই যাতে সর্বাধিক পরিমাণে করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো যায়, তারও যত দূর সম্ভব ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে ৷

এর পাশাপাশি এদিনের এই বৈঠক থেকে টিকাকরণ ও বুস্টার ডোজ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তের খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হতেই আমজনতার মধ্য়ে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ৷ কিন্তু সমস্যা হল, এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে চাহিদার তুলনায় খুবই কম বুস্টার ডোজ রয়েছে ৷ আর সেই কারণেই মুখ্যসচিব এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে যে বুস্টার ডোজের অভাব রয়েছে, সেকথা কেন্দ্রকে জানানো হবে ৷ যেহেতু রাজ্য চাইলেই সরাসরি মানুষকে টিকা দিতে পারে না, তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই ভরসা করতে হবে ৷

একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ফের বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টেস্টিং কিট নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷ তাঁর নির্দেশ, শুধুমাত্র টেস্টিং কিট নয়, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোই হাসপাতালগুলিকে মজুত রাখতে হবে ৷ বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের উপর ৷ বিশেষ করে যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.