কলকাতা, 8 জানুয়ারি: শীতের রবিবারে শহর কলকাতায় (Kolkata) বসল গণবিবাহের আসর ৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের গরিব পরিবারের সন্তানদের জন্য এই গণবিবাহের (Muslim Mass Marriage) আয়েজন করা হয়েছিল ৷ এদিন কলকাতার 39 নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ আয়োজনের নেপথ্যে ছিল এলাকারই একটি সংগঠন ৷ তাদের উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মহম্মজ জসিমউদ্দিনও ৷ অনুষ্ঠানে অন্য অনেকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ছিলেন শান্তনু সেন, সানা আহমেদরাও ৷
উদ্যোক্তাদের তরফে হামিদা জালাল ইচিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানালেন, গত প্রায় একমাস ধরে তাঁরা এই অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থাপনা শুরু করেছেন ৷ বর্তমানে মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে ! ফলে গরিব পরিবারগুলির পক্ষে বাড়ির প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্য বিয়ের আয়োজন করা অনেক ক্ষেত্রেই কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷ এই ধরনের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতেই গণবিবাহের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের পরিকল্পনা জানার পর সহযোগিতা করেন এলাকার কাউন্সিলর ৷ পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের মতো করে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ৷ তাঁদের সকলের মিলিত উদ্যোগে এদিন মোট 26 জোড়া পাত্রপাত্রী সামাজিকভাবে বিবাববন্ধনে আবদ্ধ হন ৷
আরও পড়ুন: গণবিবাহের আয়োজনে চোখ ধাঁধানো জৌলুস, হাজির মন্ত্রী থেকে আমলা
এই 26 দম্পতিকে তাঁর নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন কলকাতা উত্তরের তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমন একটি আয়োজন করার জন্য উদ্য়োক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি ৷ যাবতীয় মুসলিম রীতিনীতি মেনেই এদিন 26 জোড়া পাত্রপাত্রীর বিয়ে দেওয়া হয় ৷ নবদম্পতিদের জন্য ছিল প্রচুর উপহারও ৷ আর ছিল ঢালাও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকেই সেই ভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷ সব মিলিয়ে এই আয়োজনকে ঘিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নেয় 39 নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকা ৷
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনেও গরিব ও দুস্থদের পাশে এভাবেই থাকবেন তাঁরা ৷ বাড়িয়ে দেবেন সহযোগিতার হাত ৷ এদিকে, নতুন জীবন শুরু করতে পেরে খুশি সদ্যবিবাহিতরাও ৷ তবে, ক্য়ামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের অনেকেই লজ্জায় চুপ করে গেলেন ! যদিও, তাতে তাঁরা তাঁদের আনন্দ আড়াল করতে পারেননি !