ETV Bharat / state

20 বছরের বেশি সময় কলকাতার কোথায় ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ? শুরু খোঁজ

author img

By

Published : Apr 8, 2020, 8:31 AM IST

বঙ্গবন্ধু খুনে অন‍্যতম মাজেদকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে কলকাতার নাম ।

Bangladesh
শেখ মুজিবর রহমান

কলকাতা, 8 এপ্রিল : কম দিন নয় । অন্তত 22-23 বছর । হ্যাঁ, এতগুলো বছর ধরেই নাকি কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকারী । অন্তত ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান এমনটাই দাবি করেছেন । কিন্তু কোথায় ছিল সে ? না, এখনও সেটা পরিষ্কার হয়নি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে । তবে জঙ্গি দমনসহ একাধিক ইশুতে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স, NIA-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা RAB সে বিষয়ে তথ‍্য চাইতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে । আর তাই ভারতীয় গোয়েন্দারা শুরু করে দিয়েছেন খোঁজখবর । জানার চেষ্টা চলছে, শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী আবদুল মাজেদ কোথায় ছিল এতদিন?

গতকাল বঙ্গবন্ধু খুনে অন‍্যতম মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে । বাংলাদেশ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আত্মগোপনের সময় মাজেদ যে ক'টি দেশের নাম বলেছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত । ঢাকার CMM কোর্টে আসামির কাঠগড়ায় থাকা মাজেদকে হেমায়েত উদ্দিন নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । জানতে চান, কোথায় ছিল এতদিন ? উত্তরে মজেদ নাকি বলে, কলকাতায় । এই শহরে সে আত্মগোপন করে এতগুলো দিন ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ । কলকাতার কোন এলাকায় সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি । পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, কী নামে এদেশে লুকিয়ে ছিল সে ? কলকাতা ছাড়া ভারতের আর কোন কোন শহরে গেছে । এদেশের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড তার তৈরি হয়েছিল কি না । এমনকী পুলিশের সন্দেহ, ভারতীয় পাসপোর্টও থাকতে পারে তার কাছে ।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশ জেনেছে, 16 মার্চ নাগাদ কলকাতা থেকে সে ঢাকায় যায় । সেক্ষেত্রে কীভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকল মাজেদ ? সোজা পথে ? নাকি সীমান্ত টপকে ? সোজা গেলে তাকে বিমানে যেতে হবে । কারণ 14 মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর মৈত্রী এক্সপ্রেস আর চলেনি । ওইদিন শুধু ভারতীয়দের নিয়ে ফেরত আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস । বাস চলাচল বন্ধ । আর সেই সূত্রেই আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা । এদেশের গোয়েন্দাদের কাছেও সেটাই সূত্র । ওই সময়টায় বিমানবন্দরের রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে । গোয়েন্দাদের ধারণা, সেখান থেকেই মিলবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । তবে আরও একটি সূত্র বলছে, 16 মার্চ নয়, মাজেদ বাংলাদেশ ঢোকে 26 মার্চ । ময়মনসিংহের বর্ডার দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকেছিল সে । সেইসব তথ্য যাচাই করছেন ভারতীয় এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ।

1975 সালের 15 অগাস্ট সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বাংলাদেশ পুলিশ জেনেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আরও কয়েকজনের সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যায় এই মাজেদ । সেখান থেকে চলে যায় পাকিস্তানে । পরে জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে চাকরি দেয় । 1980 সালে সে বাংলাদেশে ফেরে । তারপর থেকে দীর্ঘ 16 বছর বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ তাকে দেওয়া হয় । চাকাটা ঘুরে যায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ সরকার গঠিত হওয়ার পর । ফের গা ঢাকা দেয় মাজেদ । সেই সময়েই সে প্রথমবার ভারতে আসে । তবে প্রথম থেকে ভারতে থাকেনি । সে আবারও লিবিয়া চলে যায় । সেখান থেকে পাকিস্তান । সুবিধা করতে না পেরে নানাভাবে আবার ভারতে ঢোকে । এ দেশের বেশ কয়েকটি শহর ঘুরে অবশেষে কলকাতায় এসে থিতু হয় । তারপর থেকে নাকি এই শহরেই থাকছিল মাজিদ ।

কলকাতা, 8 এপ্রিল : কম দিন নয় । অন্তত 22-23 বছর । হ্যাঁ, এতগুলো বছর ধরেই নাকি কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকারী । অন্তত ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান এমনটাই দাবি করেছেন । কিন্তু কোথায় ছিল সে ? না, এখনও সেটা পরিষ্কার হয়নি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে । তবে জঙ্গি দমনসহ একাধিক ইশুতে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স, NIA-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা RAB সে বিষয়ে তথ‍্য চাইতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে । আর তাই ভারতীয় গোয়েন্দারা শুরু করে দিয়েছেন খোঁজখবর । জানার চেষ্টা চলছে, শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী আবদুল মাজেদ কোথায় ছিল এতদিন?

গতকাল বঙ্গবন্ধু খুনে অন‍্যতম মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে । বাংলাদেশ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আত্মগোপনের সময় মাজেদ যে ক'টি দেশের নাম বলেছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত । ঢাকার CMM কোর্টে আসামির কাঠগড়ায় থাকা মাজেদকে হেমায়েত উদ্দিন নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । জানতে চান, কোথায় ছিল এতদিন ? উত্তরে মজেদ নাকি বলে, কলকাতায় । এই শহরে সে আত্মগোপন করে এতগুলো দিন ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ । কলকাতার কোন এলাকায় সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি । পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, কী নামে এদেশে লুকিয়ে ছিল সে ? কলকাতা ছাড়া ভারতের আর কোন কোন শহরে গেছে । এদেশের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড তার তৈরি হয়েছিল কি না । এমনকী পুলিশের সন্দেহ, ভারতীয় পাসপোর্টও থাকতে পারে তার কাছে ।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশ জেনেছে, 16 মার্চ নাগাদ কলকাতা থেকে সে ঢাকায় যায় । সেক্ষেত্রে কীভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকল মাজেদ ? সোজা পথে ? নাকি সীমান্ত টপকে ? সোজা গেলে তাকে বিমানে যেতে হবে । কারণ 14 মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর মৈত্রী এক্সপ্রেস আর চলেনি । ওইদিন শুধু ভারতীয়দের নিয়ে ফেরত আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস । বাস চলাচল বন্ধ । আর সেই সূত্রেই আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা । এদেশের গোয়েন্দাদের কাছেও সেটাই সূত্র । ওই সময়টায় বিমানবন্দরের রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে । গোয়েন্দাদের ধারণা, সেখান থেকেই মিলবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । তবে আরও একটি সূত্র বলছে, 16 মার্চ নয়, মাজেদ বাংলাদেশ ঢোকে 26 মার্চ । ময়মনসিংহের বর্ডার দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকেছিল সে । সেইসব তথ্য যাচাই করছেন ভারতীয় এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ।

1975 সালের 15 অগাস্ট সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বাংলাদেশ পুলিশ জেনেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আরও কয়েকজনের সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যায় এই মাজেদ । সেখান থেকে চলে যায় পাকিস্তানে । পরে জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে চাকরি দেয় । 1980 সালে সে বাংলাদেশে ফেরে । তারপর থেকে দীর্ঘ 16 বছর বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ তাকে দেওয়া হয় । চাকাটা ঘুরে যায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ সরকার গঠিত হওয়ার পর । ফের গা ঢাকা দেয় মাজেদ । সেই সময়েই সে প্রথমবার ভারতে আসে । তবে প্রথম থেকে ভারতে থাকেনি । সে আবারও লিবিয়া চলে যায় । সেখান থেকে পাকিস্তান । সুবিধা করতে না পেরে নানাভাবে আবার ভারতে ঢোকে । এ দেশের বেশ কয়েকটি শহর ঘুরে অবশেষে কলকাতায় এসে থিতু হয় । তারপর থেকে নাকি এই শহরেই থাকছিল মাজিদ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.