কলকাতা, 17 নভেম্বর: রবীন্দ্র সরোবর রক্ষায় তৎপর পৌর প্রশাসন ৷ ছটপুজোয় বন্ধ থাকছে না প্রবেশাধিকার ৷ বরং সরোবরের আশপাশে ছট পুজোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম জলাশয় ৷
ছটপুজোর 48 ঘণ্টা আগেই রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরের প্রত্যেক গেটে পড়ল কেএমডিএ-এর নির্দেশিকা। আগামিকাল 18 নভেম্বর রাত 10টা থেকে 20 নভেম্বর বেলা 12টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সাধারণের প্রবেশাধিকার। অর্থাৎ দুই সরোবরে কোনও ধরনের ছটপুজোর উপাচার পালন করা যাবে না ৷ তবে যে বিপুল পরিমাণ ভক্তরা আসতেন এই সরোবরগুলোয় উপাচার পালনে তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে আশপাশের এলাকায় ছোট বড় প্রায় 15 থেকে 16টা কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করছে পৌর প্রশাসন।
বেশ কয়েক বছর আগে দূষণ ঠেকাতে সরোবরে ছট পুজোর আচার পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবেশ আদালত। তবে তার কোনও তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে সেই কাজ। তবে ধর্মাচারণ পালনে বাধা দিতে চায়নি পৌর প্রশাসন থেকে পুলিশ। তবে বছর দুই যাবৎ তৈরি হয়েছে ছট পুজো পালনের বিকল্প ব্যবস্থা। তাই সরোবরের যেমন গেটগুলোয় নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে, ছট পুজোর আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত সকলের প্রবেশ নিষেধ তেমনই আশপাশের এলাকায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় একাধিক কৃত্রিম জলাশয়। সেখানেই মঞ্চ তৈরি থেকে পোশাক পরিবর্তন করার বন্দবস্তও করা হয়েছে বলে খবর। লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত আলোও।
পৌর প্রশাসনের তৎপরতায় নিরাপদে থাকবে কলকাতার দুই সরোবর এমনটাই দাবি প্রশাসনের। এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, "আমরা গতবারের মত এবার 150টির বেশি ঘাট ও জলাশয় ৷ সেকারণেই কৃত্রিম জলাশয় প্রস্তুত করেছি আমরা। প্রত্যেক ঘাটে পর্যাপ্ত আলো, পোশাক পরিবর্তন ঘর থাকছে। কৃত্তিম জলাশয়গুলো আবার ভেঙে ফেলা হবে।"
আরও পড়ুন
'ভারতীয় দলের জার্সির রং কেন গেরুয়া!' মোদিকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন মমতার
চলতি বছরেই নতুন আইসিইউ পেতে চলেছে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ড