কলকাতা, 14 মার্চ : মায়ানমার থেকে ঢুকেছে কয়েক কেজি সোনা । ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কাছে খবর ছিল, উত্তর-পূর্বের রাজ্য হয়ে তা ঢুকবে কলকাতায়।সেইমতো শুরু হয় নজরদারি । সূত্র জানায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কলকাতায় আনা হচ্ছে সেই সোনা । দ্রুত তৈরি হয় দল। গোয়েন্দারা অপেক্ষা করতে থাকেন দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে। খবর ছিল, শিয়ালদা যাওয়ার ঝুঁকি নেবে না পাচারকারীরা । দক্ষিণেশ্বর থেকে সড়কপথে পৌঁছে দেবে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে। কিন্তু তার আগে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে গোয়েন্দারা পাকড়াও করল দু'জনকে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় এক কোটি 13 লাখ টাকার সোনার বিস্কুট ।
উত্তর-পূর্বের মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলি হয়ে উঠেছে পাচারের স্বর্গরাজ্য। হেরোইন, ইয়াবার পাশাপাশি এই পথ দিয়ে শুরু হয়েছে সোনা পাচার । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা তেমনটাই বলছে । ওই রাজ্যগুলি থেকে বিভিন্নভাবে পাচারকারীরা চোরাই সোনা কিংবা ড্রাগ পৌঁছে দিচ্ছে শিলিগুড়িতে । তারপর বিভিন্নভাবে তা ট্রেনে করে আনা হচ্ছে কলকাতায় । কখনও নেওয়া হচ্ছে সড়কপথে । গতকাল গোয়েন্দারা খবর পায়, পাচারের সোনা আনা হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। মোট দু'জন পাচারকারী নিয়ে আসছে সোনার বিস্কুট । দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে তাদের দু'জনকে ধরার পর গোয়েন্দারা জানতে পারে, তাদের নাম লালরেমপুইয়া এবং হারাঙডুকিমা । তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে মোট উদ্ধার করা হয় 16টি সোনার বিস্কুট । যার ওজন 2656.9 কেজি ।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এর পিছনে রয়েছে বড় পাচার চক্র। কলকাতায় তারা কার হাতে ওই সোনা তুলে দিত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এই দু'জনকে জেরা করে মায়ানমার থেকে কোন পথে সোনা ভারতে ঢুকেছে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা । তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।