ETV Bharat / state

লাভপুর হত্যা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিড়ম্বনায় মনিরুল

লাভপুর হত্যা মামলায় আবার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসারকে নতুন করে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও 3 মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।

মনিরুল
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 7:47 PM IST

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: লাভপুর হত্যা মামলায় ফের মোড় । এই মামলার আবার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসারকে নতুন করে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও 3 মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । তদন্তের নজরদারি করবেন বীরভূমের পুলিশ সুপার ৷ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে । পাশাপাশি, সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প 2018 অনুযায়ী মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ বিচারপতি মধুমতী মিত্রের ।

2010 সালের 3 জুন লাভপুরের নবগ্রামে খুন হন 3 CPI(M) সমর্থক ধানু শেখ,কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ । অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে সালিশি সভার নামে ডেকে পাঠানো হয় শেখ পরিবারের তিন ভাইকে । বালিঘাটের শেয়ার লেনদেন নিয়ে শেখ পরিবারের সঙ্গে মনিরুলের গোলমাল চলছিল । ওই দিন সন্ধ্যেবেলা মনিরুলের বাড়িতে যান ধানু শেখ, কাটুন শেখ, তুরুক শেখ ও শেখ জামাল, শেখ আনোয়ার ৷ অভিযোগ মনিরুলের অনুগামীরা পাঁচ ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে ৷ শেখ আনোয়ার পালিয়ে যায় ৷

গুরুতর জখম চার ভাইকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । তিন জন হাসপাতালে মারা যায় ৷ একমাত্র জামাল শেখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৷ 4 জুন 52 জনের নামে লাভপুর থানায় FIR করেন আনোয়ার শেখ । অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন মনিরুল ইসলামও৷ 2014 সালে বোলপুর মহাকুমা নিম্ন আদালতে মনিরুল ইসলাম সহ 22 জনের নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ৷

এই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে জামাল শেখ নিম্ন আদালতে আবেদন করেন । আভিযোগ ছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হয়নি । দাবি ছিল, মনিরুলের নেতৃত্বেই তাদের উপর হামলা হয়েছিল ৷ প্রথমে মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ পরে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ পরে যখন চার্জশিট পেশ করা হয় মনিরুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়৷

শেখ পরিবারে অভিযোগ ছিল, FIR করার পর থেকেই তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে মনিরুল ইসলাম । এই মামলার তদন্তের সময় 161 ধারায় গোপন জবানবন্দি দিয়েছিল শেখ পরিবার ৷ সেখানে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় শেখ পরিবার ৷ সেই সময় লাভপুর থানার তদন্তকারী অফিসার নাকি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নিষেধ করেছিল ।

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: লাভপুর হত্যা মামলায় ফের মোড় । এই মামলার আবার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসারকে নতুন করে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও 3 মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । তদন্তের নজরদারি করবেন বীরভূমের পুলিশ সুপার ৷ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে । পাশাপাশি, সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প 2018 অনুযায়ী মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ বিচারপতি মধুমতী মিত্রের ।

2010 সালের 3 জুন লাভপুরের নবগ্রামে খুন হন 3 CPI(M) সমর্থক ধানু শেখ,কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ । অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে সালিশি সভার নামে ডেকে পাঠানো হয় শেখ পরিবারের তিন ভাইকে । বালিঘাটের শেয়ার লেনদেন নিয়ে শেখ পরিবারের সঙ্গে মনিরুলের গোলমাল চলছিল । ওই দিন সন্ধ্যেবেলা মনিরুলের বাড়িতে যান ধানু শেখ, কাটুন শেখ, তুরুক শেখ ও শেখ জামাল, শেখ আনোয়ার ৷ অভিযোগ মনিরুলের অনুগামীরা পাঁচ ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে ৷ শেখ আনোয়ার পালিয়ে যায় ৷

গুরুতর জখম চার ভাইকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । তিন জন হাসপাতালে মারা যায় ৷ একমাত্র জামাল শেখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৷ 4 জুন 52 জনের নামে লাভপুর থানায় FIR করেন আনোয়ার শেখ । অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন মনিরুল ইসলামও৷ 2014 সালে বোলপুর মহাকুমা নিম্ন আদালতে মনিরুল ইসলাম সহ 22 জনের নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ৷

এই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে জামাল শেখ নিম্ন আদালতে আবেদন করেন । আভিযোগ ছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হয়নি । দাবি ছিল, মনিরুলের নেতৃত্বেই তাদের উপর হামলা হয়েছিল ৷ প্রথমে মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ পরে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ পরে যখন চার্জশিট পেশ করা হয় মনিরুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়৷

শেখ পরিবারে অভিযোগ ছিল, FIR করার পর থেকেই তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে মনিরুল ইসলাম । এই মামলার তদন্তের সময় 161 ধারায় গোপন জবানবন্দি দিয়েছিল শেখ পরিবার ৷ সেখানে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় শেখ পরিবার ৷ সেই সময় লাভপুর থানার তদন্তকারী অফিসার নাকি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নিষেধ করেছিল ।

Intro:৯ বছর আগের একটি মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ মনিরুলের বিরুদ্ধে Body:
মানস নস্কর---

লাভপুর হত্যা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিড়ম্বনায় মনিরুল ইসলাম

কলকাতা ৪ সেপ্টেম্বর ঃ
আবার সমস্যায় পড়লেন বীরভুমের সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা মনিরুল ইসলাম। ২০১০ সালে লাভপুর হত্যা মামলায় নতুন মোড়। 9 বছর আগে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসারের ওপর পুনরায় তদন্তভার দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। পুনরায় তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ আদালতের।
3 মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ আদালতের। বীরভূমের পুলিশ সুপারের নজরদারিতে হবে তদন্ত। তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। পাশাপাশি
" সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প 2018" অনুযায়ী মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। নির্দেশ বিচারপতি মধুমতী মিত্রের।

2010 সালের 3রা জুন লাভপুরের নবগ্রামে খুন হন সিপিএমের কর্মী সমর্থক 3 ভাই ধানু শেখ,কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ।অভিযোগ মনিরুলের বাড়িতে সালিশি সভার নামে ডেকে পাঠানো হয় শেখ পরিবারের লোকজনকে। বালিঘাটের শেয়ার লেনদেন নিয়ে শেখ পরিবারের সঙ্গে মনিরুলের গোলমাল চলছিল।ঐ দিন সন্ধ্যেবেলা মনিরুলের বাড়িতে গেলে লাঠি, শাবল,কোদাল সহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।তার মধ্যে জামাল শেখ চিকিৎসাধীন ছিল। পরে সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে।তিন ভাই মারা যায়। অন্যান্য ভাই ও শেখ পরিবারের লোকজন পালিয়ে বাচে।৪ তারিখেই থানায় এফ আইয়ার করেন শেখ পরিবারের এক সদস্য সানোয়ার শেখ। মোট ৫৪ জনের ছিল অভিযোগে।সেখানে মুল অভিজুক্ত ছিলেন আরাবুল ইসলাম। কিন্ত ২০১৪ সালে নিম্ন আদালতে যখন পুলিশ চার্জশিট দেয় মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে।এটাকে চ্যালেঞ্জ করে জামাল শেখ নিম্ন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তার মুল দাবি ছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হয় নি।কিন্ত ১৫/১২/১৫ তে নিম্ন আদালত জামাল শেখের দাবি খারিজ করে দেয়।এরপর ২০১৬ সালে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
জামাল শেখের মুল বক্তব্য ছিল,মনিরুলের নেতৃত্বে পুরো ঘটনা ঘটেছিল। প্রাইমারি যে রিপোর্ট ছিল যার ভিত্তিতে মনিরুলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, পরে যখন চার্জশিট পেশ করা হয় মনিরুল কেই বাদ দেওয়া হয় সেখান থেকে। অভিযোগ জানানোর পর থেকেই তাদের পুরো পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে মনিরুল ইসলাম। ঘটনার পর পুলিশকে ১৬১ তে যে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলো শেখ পরিবার সেখানে লাভপুর থানার অফিসার তাদের মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নিষেধ করে।

মামলাকারী জামাল শেখের আইনজীবী মলয় ভট্টাচার্য জানালেন, "বিচারপতি মধুমতি মিত্র রায় দিতে গিয়ে বলেছেন,তদন্তকারী অফিসাররা যখন চার্জশিট পেশ করেছিলেন শেখ পরিবারের বাড়িতে যে লুটপাট করা হয়েছে সেটা দেখা হয়নি।১৬১ ধারায় যে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল সেখানে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও চার্জশিট থেকে মনিরুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়।সেই জন্য প্রথম তদন্তকারী অফিসার জিনি ছিলেন এই মামলার তাকেই ফের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। "Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.