কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: লাভপুর হত্যা মামলায় ফের মোড় । এই মামলার আবার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই সঙ্গে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসারকে নতুন করে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও 3 মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । তদন্তের নজরদারি করবেন বীরভূমের পুলিশ সুপার ৷ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে । পাশাপাশি, সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প 2018 অনুযায়ী মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ বিচারপতি মধুমতী মিত্রের ।
2010 সালের 3 জুন লাভপুরের নবগ্রামে খুন হন 3 CPI(M) সমর্থক ধানু শেখ,কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ । অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে সালিশি সভার নামে ডেকে পাঠানো হয় শেখ পরিবারের তিন ভাইকে । বালিঘাটের শেয়ার লেনদেন নিয়ে শেখ পরিবারের সঙ্গে মনিরুলের গোলমাল চলছিল । ওই দিন সন্ধ্যেবেলা মনিরুলের বাড়িতে যান ধানু শেখ, কাটুন শেখ, তুরুক শেখ ও শেখ জামাল, শেখ আনোয়ার ৷ অভিযোগ মনিরুলের অনুগামীরা পাঁচ ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে ৷ শেখ আনোয়ার পালিয়ে যায় ৷
গুরুতর জখম চার ভাইকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । তিন জন হাসপাতালে মারা যায় ৷ একমাত্র জামাল শেখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৷ 4 জুন 52 জনের নামে লাভপুর থানায় FIR করেন আনোয়ার শেখ । অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন মনিরুল ইসলামও৷ 2014 সালে বোলপুর মহাকুমা নিম্ন আদালতে মনিরুল ইসলাম সহ 22 জনের নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ৷
এই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে জামাল শেখ নিম্ন আদালতে আবেদন করেন । আভিযোগ ছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হয়নি । দাবি ছিল, মনিরুলের নেতৃত্বেই তাদের উপর হামলা হয়েছিল ৷ প্রথমে মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ পরে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ পরে যখন চার্জশিট পেশ করা হয় মনিরুল ইসলামের নাম বাদ দেওয়া হয়৷
শেখ পরিবারে অভিযোগ ছিল, FIR করার পর থেকেই তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে মনিরুল ইসলাম । এই মামলার তদন্তের সময় 161 ধারায় গোপন জবানবন্দি দিয়েছিল শেখ পরিবার ৷ সেখানে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় শেখ পরিবার ৷ সেই সময় লাভপুর থানার তদন্তকারী অফিসার নাকি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে নিষেধ করেছিল ।