ETV Bharat / state

National Dengue Day: আলাদা করে ডেঙ্গি দিবস পালন নয়, বছরভর সজাগ থাকার বার্তা কর্পোরেশনের - জাতীয় ডেঙ্গি দিবসে বার্তা কলকাতা কর্পোরেশনের

আলাদা করে ডেঙ্গি দিবস পালনে বিশ্বাসী নয় কলকাতা পৌরনিগম ৷ মশাবাহিত রোগ নিয়ে সারাবছর জনগণকে সচেতন থাকার বার্তা দিল কর্পোরেশন ৷

Etv Bharat
ডেঙ্গি নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের বক্তব্য
author img

By

Published : May 16, 2023, 5:29 PM IST

কলকাতা, 16 মে: আজ জাতীয় ডেঙ্গি দিবস । বর্তমান সময়ে কলকাতা ডেঙ্গি প্রবণ হলেও সেখানে আজকের দিনটি আলাদা করে পালন করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কলকাতা কর্পোরেশন । স্বাস্থ্যবিভাগের দাবি, নির্দিষ্ট একটি দিন নয়, বছরভর ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখছি আমরা । তাই সচেতনভাবেই ডেঙ্গি দিবস আলাদা কোনও অনুষ্ঠান নয় ।

রাজ্যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের নিরিখে প্রথম দিকেই থাকে কলকাতা। শুধু ডেঙ্গি নয়, ম্যালেরিয়াও মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। বর্ষা শুরু হলেই চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয় কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তাদের কপালে । কারণ বর্ষার শেষের দিক থেকেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া লাফিয়ে বাড়তে থাকে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যায় না। প্রায়দিনই লেগে থাকে মৃত্যুমিছিল ।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, 36তম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 213, 37তম সপ্তাহে 263, 38তম সপ্তাহে আরও বেড়ে হয় 467 জন । 39তম সপ্তাহে সংখ্যা পৌঁছয় 621 জন। 43তম সপ্তাহে 745 জন আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ায়। আক্রান্তের দিক থেকে কলকাতা ছিল শীর্ষে। তারপর জলপাইগুড়ি ও হুগলি। কলকাতায় এক সময় পজিটিভিটি রেট ছিল 24.8 শতাংশ। বেশ কয়েকটি বরো এলাকা যেখানে ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল সেগুলো হল 9 নম্বর বরো থেকে 13 নম্বর বরো ।

তথ্য বলছে, ডেঙ্গি মরশুমে একসময় 9 নম্বর বরোয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 378 জন । 10 নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 856 জন । 11 নম্বর বরো আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 358 জন । 12 নম্বর বরোতে আক্রান্ত 1 হাজার 128 জন । 13 নম্বর বরো এলাকায় এই সংখ্যা ছিল 342 জন । কলকাতার 5টি ওয়ার্ডে ছিল ভয়াবহ ছবি । এর মধ্যে 106 নম্বর ওয়ার্ডে মরশুম শেষেও প্রায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 412 জন । 101 নম্বর ওয়ার্ডে 228 জন । 109 নম্বর ওয়ার্ডে 179 জন । 107 নম্বর ওয়ার্ডে 156 জন । 115 নম্বর ওয়ার্ডে 151 জন । গত বছর ডেঙ্গির থেকে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিল অনেকটাই বেশি ।

কলকাতা কর্পোরেশনের এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, "নাগরিক সচেতনতার মারাত্মক অভাবের জন্যই প্রতি বছর বাড়াবাড়ি পরিস্থিতি তৈরি হয় । সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে । আমরা বছরের শুরুতেই কর্পোরেশনের সামনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করি ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মানুষকে জানাতে । প্রতি ওয়ার্ডে পৌর প্রতিনিধির উদ্যোগে হয় । এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দেন । যাতে বলা থাকে কী করবেন আর কী করবেন না । অন্যদিকে, ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মশার উৎসগুলিতে তেল স্প্রে করে। যেখানে ঢোকা সম্ভব নয় তা ড্রোন দিয়ে দেখা ও ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ করে থাকে । তাই এক দিন নয় বছরভর আমরা মানুষকে সচেতন রাখি । পাশাপশি বেলগাম মানুষ দেখলে অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয় ।"

আরও পড়ুন : আজ জাতীয় ডেঙ্গি দিবস ! জেনে নিন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

কলকাতা, 16 মে: আজ জাতীয় ডেঙ্গি দিবস । বর্তমান সময়ে কলকাতা ডেঙ্গি প্রবণ হলেও সেখানে আজকের দিনটি আলাদা করে পালন করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কলকাতা কর্পোরেশন । স্বাস্থ্যবিভাগের দাবি, নির্দিষ্ট একটি দিন নয়, বছরভর ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখছি আমরা । তাই সচেতনভাবেই ডেঙ্গি দিবস আলাদা কোনও অনুষ্ঠান নয় ।

রাজ্যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের নিরিখে প্রথম দিকেই থাকে কলকাতা। শুধু ডেঙ্গি নয়, ম্যালেরিয়াও মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। বর্ষা শুরু হলেই চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয় কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তাদের কপালে । কারণ বর্ষার শেষের দিক থেকেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া লাফিয়ে বাড়তে থাকে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যায় না। প্রায়দিনই লেগে থাকে মৃত্যুমিছিল ।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, 36তম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 213, 37তম সপ্তাহে 263, 38তম সপ্তাহে আরও বেড়ে হয় 467 জন । 39তম সপ্তাহে সংখ্যা পৌঁছয় 621 জন। 43তম সপ্তাহে 745 জন আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ায়। আক্রান্তের দিক থেকে কলকাতা ছিল শীর্ষে। তারপর জলপাইগুড়ি ও হুগলি। কলকাতায় এক সময় পজিটিভিটি রেট ছিল 24.8 শতাংশ। বেশ কয়েকটি বরো এলাকা যেখানে ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল সেগুলো হল 9 নম্বর বরো থেকে 13 নম্বর বরো ।

তথ্য বলছে, ডেঙ্গি মরশুমে একসময় 9 নম্বর বরোয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 378 জন । 10 নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 856 জন । 11 নম্বর বরো আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 358 জন । 12 নম্বর বরোতে আক্রান্ত 1 হাজার 128 জন । 13 নম্বর বরো এলাকায় এই সংখ্যা ছিল 342 জন । কলকাতার 5টি ওয়ার্ডে ছিল ভয়াবহ ছবি । এর মধ্যে 106 নম্বর ওয়ার্ডে মরশুম শেষেও প্রায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 412 জন । 101 নম্বর ওয়ার্ডে 228 জন । 109 নম্বর ওয়ার্ডে 179 জন । 107 নম্বর ওয়ার্ডে 156 জন । 115 নম্বর ওয়ার্ডে 151 জন । গত বছর ডেঙ্গির থেকে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিল অনেকটাই বেশি ।

কলকাতা কর্পোরেশনের এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, "নাগরিক সচেতনতার মারাত্মক অভাবের জন্যই প্রতি বছর বাড়াবাড়ি পরিস্থিতি তৈরি হয় । সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে । আমরা বছরের শুরুতেই কর্পোরেশনের সামনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করি ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মানুষকে জানাতে । প্রতি ওয়ার্ডে পৌর প্রতিনিধির উদ্যোগে হয় । এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দেন । যাতে বলা থাকে কী করবেন আর কী করবেন না । অন্যদিকে, ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মশার উৎসগুলিতে তেল স্প্রে করে। যেখানে ঢোকা সম্ভব নয় তা ড্রোন দিয়ে দেখা ও ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ করে থাকে । তাই এক দিন নয় বছরভর আমরা মানুষকে সচেতন রাখি । পাশাপশি বেলগাম মানুষ দেখলে অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয় ।"

আরও পড়ুন : আজ জাতীয় ডেঙ্গি দিবস ! জেনে নিন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.