কলকাতা, 13 মে: শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের একের পর এক রায়ে ফ্যাসাদের মুখে রাজ্যের সরকার ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই ফের বিড়ম্বনা বাড়ল সরকার ও শাসক দলের। এবার হাইকোর্টের রায়ে চাকরি যেতে বসেছে অপ্রশিক্ষিত 36 হাজার শিক্ষকের। আর এই নিয়ে রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তথ্য ধামাচাপা আটকাতে আদালত ময়নাতদন্ত করার সময় ভিডিয়ো করার নির্দেশ দেয় । সেই একই কারণে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি আটকাতে এখন ইন্টারভিউয়ের ভিডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে বলে চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন সেলিম।
36 হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক বলেন, "সরকার তো ডুগডুগি বাজাবে। কিন্তু এই প্রার্থীদের কে নিয়োগ করেছে? সব জায়গায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন পসন্দ লোককে বসিয়েছেন।" এরপর কটাক্ষের সুরে সেলিম বলেন, "একসময় পোস্ট মর্টেম করার জন্য ভিডিয়ো করা হত। এখন নিয়োগ দুর্নীতি ঠেকাতে ভিডিয়ো করতে হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া যারা বসে আছেন নবান্ন এবং শিক্ষা দফতরে আমলা যদি যুক্ত না-হয় তাহলে কুন্তলরা এটা করতে পারত! আজকে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেলিম জানান, তাঁর বাড়ির সামনে যারা পোস্টার লাগিয়েছিল, আদালতের কাজে যারা বাধা দিয়েছিল সেই সমস্ত অপরাধী একসঙ্গে আছে। কুণাল ঘোষ নিজেই তৃণমূলের কাজ করছে না বিজেপির হয়ে কাজ করছে বোঝা যাচ্ছে না। একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী দুর্নীতি সঙ্গেও যুক্ত আছে।"
অন্য একটি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, "চিটফান্ড থেকে আবাস, শিক্ষায় যে যে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে সমস্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী 1 কোটি মানুষের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এটা সবচে বড় সই সংগ্রহ হবে যেটা গত দিনে এবং আগামিদিনে হয়নি। এছাড়াও অভিষেক রক্ষাকবচ নিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের দেশের যে ব্যবস্থা চলছে সেখানে যত ক্ষমতা আছে সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে সত্যকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য। কবজ আসলে সত্যি অনুসন্ধান না-হয়, তার চেষ্টা করছে।"