কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি : আজ টক টু মেয়রে বেআইনি বাড়ি তৈরির কথা শুনে মেজাজ হারালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । কলকাতার পৌরনিগমের বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, "বেআইনি বাড়ি তৈরি শহরের এক রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।" পাশাপাশি তিনি আধিকারিকদের মনে করিয়ে দেন, "এক কোটি টাকা হোক বা এক টাকা, ঘুষ মানে ঘুষই ।"
কসবার এক বাসিন্দা আজ টক টু মেয়রে বেআইনি বাড়ি তৈরি নিয়ে অভিযোগ করেন । তিনি মেয়রকে ফোনে জানান, কসবায় একটি বেআইনি বাড়ির তৈরির কাজ চলছে । বহু জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ কিন্তু সুরাহা না হওয়ায় আজ সরাসরি মেয়রের কাছে অভিযোগ জানাতে তিনি বাধ্য হয়েছেন । এই কথা শুনেই রেগে যান মেয়র । বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি । বোরো এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে কড়াভাবে মেয়র বলেন, "অবৈধ বাড়ি তৈরি এই শহরে একটা রোগের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে । আপনাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে । শহরে আইন-প্রশাসন না মেনে ও নোটিশ দেওয়ার পরও সেই কাজ চললে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে । অভিযোগটি ভুলে গেলে চলবে না । মনে রাখবেন আমি এক টাকা ঘুষ নিই বা এক কোটি টাকা ঘুষ নিই, ঘুষ মানে ঘুষই ।" ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইঞ্জিনিয়র মেয়রকে জানান, "আগের তুলনায় এখন অনেকটাই কমেছে বেআইনি বাড়ি নির্মাণ ।" এই কথা শুনে মেয়র বলেন, "একটি বেআইনি নির্মাণ হলেও তা বেআইনিই ।"
এর পাশপাশি আর একজন মেয়রের কাছে কালীঘাট পার্ক দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার অভিযোগ করেন । তিনি জানান, কালীঘাট পার্কই তাঁদের এলাকার একমাত্র পার্ক । এই পার্কটি বন্ধ থাকায় তাঁকে দেশপ্রিয় পার্কে যেতে হয় । বয়সজনিত কারণে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি । তাই পার্কটি শীঘ্রই খোলার আবেদন করেন । একথা শুনে মেয়র বলেন, "তার মানে নিয়মিত পরিদর্শন করছে না পৌরকর্মীরা ।" এরপরই শহরে যত পার্ক কাছে সব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ইঞ্জিনিয়রদের । দ্রুত একটি চেকলিস্ট মেয়রের দপ্তরে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি ।
যদিও পৌরকর্মীদের দাবি ওই পার্কের তলায় জলের রিজ়ার্ভার রয়েছে । জলের ট্যাঙ্কের উপর রয়েছে বাগান । পার্কটি নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে কি না তাও জানানো হয়েছে মেয়রের কাছে ।