কলকাতা, 11 নভেম্বর: খাস কলকাতায় ফের বড়সড় অগ্নিকাণ্ড। এবার আগুনের কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চাঁদনি চকের বিরাট অংশ। জানা গিয়েছে, চাঁদনি চকের 4 নম্বর মদন স্ট্রিট এলাকায় একটি বহুতল থেকে আচমকাই আজ, শনিবার কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বহুতলে। ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । এসে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থেকে শুরু করে দমকল কর্মীরা।
ঘটনাস্থলে আসে দমকলের 12টি ইঞ্জিন। কী থেকে আগুন লাগল সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা না-গেলেও দমকলের অনুমান এসি মেশিন থেকে এই আগুন ছড়িয়েছে। আগুনের উৎসস্থলে এখনও পৌঁছতে পারেননি দমকল কর্মীরা। চাঁদনী চকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘিঞ্জি এলাকায় এই বিশাল অগ্নিকাণ্ড হওয়ার ফলে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ পাশাপাশি ওই বহুতলের পার্শ্ববর্তী বহুতলগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার একটি আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। চাঁদনি চকের দীপাবলীর সময় প্রচুর ইলেকট্রনিক্স অস্থায়ী দোকান সেখানে গড়ে উঠেছে। ফলে সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।
এদিন যখন সকাল 11 নাগাদ চাঁদনি চকের ওই বহুতলে আগুন লাগে সেইসময় সংশ্লিষ্ট বহুতলে আটকে পড়েছিলেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধার করতে পুলিশের সঙ্গে হাত এলাকার বাসিন্দা এবং আশপাশের দোকানের কর্মীরা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না-গেলেও আগুনের ফলে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও যথেষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। দমকল সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বহুতলের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত থাকার ফলে সেখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।
দমকলকর্মীরা ল্যাডার এবং গ্যাস কাটারের মাধ্যমে জানলার রড কেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। তাঁদের মতে, একবার যদি তারা আগুনের উৎসস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সুবিধা হবে ৷ এদিকে, বহুতল খালি করতে মাইকিং করছে পুলিশ। অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে ওই বহুতল। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মাস্ক পরে বহুতলের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: