ETV Bharat / state

Mamata Writes to Modi: গঙ্গার ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা

গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদিকে (Mamata Writes to Modi) চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Mamata Banerjee writes letter to PM Modi on Ganga erosion
গঙ্গার ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা
author img

By

Published : Nov 17, 2022, 6:14 PM IST

Updated : Nov 17, 2022, 6:51 PM IST

কলকাতা, 17 নভেম্বর: গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি (Mamata Writes to Modi) লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাম্প্রতিক সময়ে নদী ভাঙন (Ganga erosion) ভয়ানক আকার ধারণ করেছে । ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এ বার এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি ।

নদী ভাঙনে জর্জরিত বাংলা । বৃহস্পতিবার গঙ্গা ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাধিক জায়গায় ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে । গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে । এক রকম জীবন হাতে নিয়েই বসবাস করছেন গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দারা । আর সেই কারণে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে এ কথা লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চাইলেন তিনি ।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে উঠে এসে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর প্রসঙ্গ । বিলাইমারি এবং মানিকচক ব্লক, মালদহ জেলার নদী ভাঙনের জেরে সেই দূরত্ব ক্রমে কমে আসছে । যে দূরত্ব ছিল 4 কিলোমিটারের সেই দূরত্ব এখন ভাঙন হতে হতে দেড় কিলোমিটারে এসে পৌঁছেছে । ভাঙন এই হারে চলতে থাকলে 131-এর এ জাতীয় সড়কেও প্রভাব পড়তে পারে, যেটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকে যুক্ত করছে । সেই ভাঙন রূপকে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের উচিত পর্যালোচনা করা । যৌথভাবে পর্যালোচনা করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

আরও পড়ুন: 20 বছরেই গঙ্গায় তলিয়ে যাবে গোটা মালদা ? আতঙ্কে ভাঙনে জেরবার স্থানীয়রা

প্রসঙ্গত, প্রধামন্ত্রীকে এর আগেও এই বিষয়ে 21 ফেব্রুয়ারি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই চিঠির জবাবে 28 জুলাই কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রী ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, ভাঙন আটকাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে । এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশ তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ব্যারেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ফরাক্কা এবং প্রস্তাবিত ব্যারেজের মধ্যবর্তী অংশ ভাঙনের জন্য বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে । রাজ্য সরকার চায় ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ আরও বড় এলাকা জুড়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করুক । ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ গঙ্গার উজান ও ভাটিতে এখন যে দূরত্ব পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করে থাকে, তা মোটেই সমস্যা মোকাবিলায় যথোপযুক্ত নয় । ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে । তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রীকে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন আটকানো নিয়ে নতুন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে । যার জন্য ইতিমধ্যে 31টি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে । তাই বিহার সরকারকে সঙ্গে নিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গকে রেখে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন রুখতে জল-শক্তি মন্ত্রক যাতে একটি প্রযুক্তিগতভাবে সমীক্ষা করে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বন্দরের স্বার্থে কেন্দ্রকে সক্রিয় হওয়ার কথাও বলেছেন । তিনি লিখেছেন, কলকাতা বন্দরের স্বার্থে ভারত সরকার হুগলি-ভাগীরথীতে 40 হাজার কিউসেক জল দিয়ে থাকে । এই পরিমাণ জল অপর্যাপ্ত । ফলে ভাঙনের জেরে নদীর বুকে চর পড়েছে । এর জেরে আবার বন্যার বিপদের মুখে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা । তাই গোটা বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করুক কেন্দ্র ।

কলকাতা, 17 নভেম্বর: গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি (Mamata Writes to Modi) লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাম্প্রতিক সময়ে নদী ভাঙন (Ganga erosion) ভয়ানক আকার ধারণ করেছে । ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এ বার এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি ।

নদী ভাঙনে জর্জরিত বাংলা । বৃহস্পতিবার গঙ্গা ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাধিক জায়গায় ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে । গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে । এক রকম জীবন হাতে নিয়েই বসবাস করছেন গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দারা । আর সেই কারণে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের আরও প্রসার বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে এ কথা লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চাইলেন তিনি ।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে উঠে এসে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর প্রসঙ্গ । বিলাইমারি এবং মানিকচক ব্লক, মালদহ জেলার নদী ভাঙনের জেরে সেই দূরত্ব ক্রমে কমে আসছে । যে দূরত্ব ছিল 4 কিলোমিটারের সেই দূরত্ব এখন ভাঙন হতে হতে দেড় কিলোমিটারে এসে পৌঁছেছে । ভাঙন এই হারে চলতে থাকলে 131-এর এ জাতীয় সড়কেও প্রভাব পড়তে পারে, যেটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গকে যুক্ত করছে । সেই ভাঙন রূপকে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের উচিত পর্যালোচনা করা । যৌথভাবে পর্যালোচনা করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

আরও পড়ুন: 20 বছরেই গঙ্গায় তলিয়ে যাবে গোটা মালদা ? আতঙ্কে ভাঙনে জেরবার স্থানীয়রা

প্রসঙ্গত, প্রধামন্ত্রীকে এর আগেও এই বিষয়ে 21 ফেব্রুয়ারি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই চিঠির জবাবে 28 জুলাই কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রী ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, ভাঙন আটকাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে । এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশ তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ব্যারেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ফরাক্কা এবং প্রস্তাবিত ব্যারেজের মধ্যবর্তী অংশ ভাঙনের জন্য বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে । রাজ্য সরকার চায় ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ আরও বড় এলাকা জুড়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করুক । ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ গঙ্গার উজান ও ভাটিতে এখন যে দূরত্ব পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করে থাকে, তা মোটেই সমস্যা মোকাবিলায় যথোপযুক্ত নয় । ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে । তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রীকে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন আটকানো নিয়ে নতুন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে । যার জন্য ইতিমধ্যে 31টি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে । তাই বিহার সরকারকে সঙ্গে নিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গকে রেখে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন রুখতে জল-শক্তি মন্ত্রক যাতে একটি প্রযুক্তিগতভাবে সমীক্ষা করে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বন্দরের স্বার্থে কেন্দ্রকে সক্রিয় হওয়ার কথাও বলেছেন । তিনি লিখেছেন, কলকাতা বন্দরের স্বার্থে ভারত সরকার হুগলি-ভাগীরথীতে 40 হাজার কিউসেক জল দিয়ে থাকে । এই পরিমাণ জল অপর্যাপ্ত । ফলে ভাঙনের জেরে নদীর বুকে চর পড়েছে । এর জেরে আবার বন্যার বিপদের মুখে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা । তাই গোটা বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করুক কেন্দ্র ।

Last Updated : Nov 17, 2022, 6:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.