দিল্লি ও কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : দিল্লি পৌঁছেছেন গতকাল ৷ আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দিনকয়েক ধরে এনিয়ে জল্পনাও তুঙ্গে ৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে একাধিক কারণ ৷ বিরোধীদের একাংশের দাবি, রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ আরও সুদৃঢ় করতেই তাঁর দিল্লি যাত্রা ৷ তবে এই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাই দিল্লি যাচ্ছি ।"
গতকাল তিনদিনের দিল্লি সফরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী । দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের বকেয়া টাকা চাইতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন ৷ পাশাপাশি জানান, রাজ্যের নাম বদল নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে । তবে বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে আগে কেন যাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ এর আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তাঁকে ডাকা হলেও তিনি যাননি ৷ অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেও যাননি মমতা । চলতি বছরেও অগাস্টে ডাকা মাওবাদী দমন বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাহলে হঠাৎ কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা পড়ল ? বিরোধীদের একাংশ বলছে, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে মোদির দরবারে হাজির হচ্ছেন মমতা । মমতা সফরের উদ্দেশ্য, চিটফান্ড তদন্ত থেকে নিস্তার পাওয়া । কয়েকজন বিরোধী নেতা মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা দেওয়ার ইশুকেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি ৷ কেউ আবার বলছেন, নিজেকে বাঁচাতেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা ৷
তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের বকেয়া টাকা, নাম পরিবর্তন সহ একাধিক ইশুতে কথা বলতেই তাঁর দিল্লি সফর । এদিকে, দিল্লি রওনা দেওয়ার পূর্বে গতকাল দুপুরে দমদম বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেনের ৷ তাঁকে শাড়ি ও মিষ্টি উপহার দেন মমতা ৷