কলকাতা, 8 নভেম্বর: আসন্ন কালীপুজো এবং দীপাবলিতে সাধারণ মানুষকে সবুজ বাজি ব্যবহারের অনুরোধ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার জানবাজার, শেক্সপিয়ার সরণি এবং ভবানীপুরের ভেনাস ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখান থেকেই তিনি রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেন সবুজ বাজি ব্যবহারের জন্য ৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"সবুজ বাজি তৈরির জন্য রাজ্যে বিশেষ ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে, সেখানেই বাজি কারখানা ও দোকান খোলার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।" এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"সবসময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে, উত্সব যেন কারও প্রাণ কেড়ে না নেয় । বাজি পোড়াতে গিয়ে কাউকে যেন অকালে চলে যেতে না হয় । শব্দ আর আতশবাজি প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু সবুজ বাজি প্রাণ কেড়ে নেয় না। মানুষের যাতে প্রাণ না যায়, সে দিকে সবার নজর রাখা উচিত। কেন না, টাকা আয় করতে গিয়ে যদি প্রাণই চলে যায়, তাহলে সেই টাকা কে ভোগ করবে ?"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার জেলায়-জেলায় সবুজ বাজি তৈরির জন্য ক্লাস্টার তৈরি করছে সেখানেই তৈরি হচ্ছে বাজি। সরকারের মতো সাধারণ মানুষকে এই সবুজ বাজির উপরই ভরসা রাখার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকালে জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ থেকে হাসপাতাল, সর্বত্র গেরুয়াকরণের প্রয়াস দেখছেন মমতা
এদিন এই জানবাজার থেকেই গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার ক্লাবেরও পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মমতা। একই সঙ্গে দিল্লির বঙ্গভবনে 'বাংলার শাড়ি' একটি শোরুমেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লির বঙ্গভবনের কায়দায় গোটা দেশে বাংলার শাড়ির শোরুম তৈরি হবে। বাংলার হস্তশিল্পীদের কাজ গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা, জেলার মন্ত্রীদের সংগঠনে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ
জানবাজার থেকে মুখ্যমন্ত্রী যান শেক্সপিয়ার সরণির একটি কালীপুজো উদ্বোধনে। সেখান থেকে তিনি যান ইন্ডিয়া ক্লাব ও ভবানীপুরের ভেনাস ক্লাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পায়ে চোটের জন্য তিনি দুর্গাপুজোয় বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রায় বারোশো পুজোর উদ্বোধন করেছেন তিনি। দুর্গাপুজো এবার শান্তিপূর্ণ ও সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এবার কালীপুজো দীপাবলি এবং ছটও যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় সেজন্য বাংলার মানুষের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, এখন তাঁর পা ভালো আছে । তাই তিনি মানুষের মাঝে এসেছেন।