কলকাতা, 12 অগস্ট: আরও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে দিয়ে সমান্তরাল শাসনব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু তাই নয়, রাজভবনের প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন মমতা । তাঁর কথায়, ব্রিটিশ রাজে রাজভবনের প্রয়োজন ছিল । গণতন্ত্রে সরকার চালাবে গণতান্ত্রিক সরকার ।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তারই জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন রাজ্যপাল প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা রাজ্যপালকে পাঠিয়েছেন রাজ্য নেই, যিনি পালের গোদা । তাঁর কাজ হচ্ছে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদলে দেওয়া । আর আরএসএসের লোকগুলিকে উপাচার্য হিসেবে বসিয়ে দেওয়া । কী ভেবেছেন আপনারা !’’
এরপরই রাজ্যপাল পদ বিলুপ্ত করার পক্ষেই সাওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘‘আজকের দিনে রাজ্যপালের কি প্রয়োজন ! রাজভবনগুলি মিউজিয়াম করে দিন । রাজ্যপালের প্রয়োজন নেই । যখন ব্রিটিশ রাজ ছিল, তখন রাজ্যপালের প্রয়োজন ছিল । এখন গণতান্ত্রিক সরকার গণতন্ত্র চালাবে ।’’
একই সঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব রাজ্যপালের বদলে প্রধান বিচারপতিকেও দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের যে শপথবাক্য পাঠ করান তিনি, তা দেবেন প্রধান বিচারপতি । এটাই নিয়ম করে দিন । রাজ্যপালের থাকার দরকার নেই । প্রত্যেকটি রাজ্যে রাজ্যপালকে দিয়ে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন । লজ্জা করে না ৷ টাকা দেন না ৷ পয়সা দেন না ৷ ভালোবাসা দেন না ৷ স্নেহ দেন না ৷ কোথায় আপনার গণতন্ত্র ।’’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি নিয়ে কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না, মোদিকে নিশানা মমতার
উল্লেখ্য, আনন্দ বোসের আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ তখনও রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি ৷ পাশাপাশি ধনকড়কে সরাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন ৷ সেই একই পরিস্থিতি ক্রমশ তৈরি হচ্ছে আনন্দ বোসকে ঘিরে ৷