ETV Bharat / state

Mamata on DA: রাজ্যে কাজ করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাওয়া যাবে না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata at Alipore Court) ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যান ৷ সেখানে তিনি ডিএ ইস্যুতে মুখ খোলেন ৷ জানান, রাজ্যে কাজ করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাওয়া যাবে না ৷

Mamata on DA
Mamata on DA
author img

By

Published : Mar 14, 2023, 6:50 PM IST

কলকাতা, 14 মার্চ: বর্ধিত বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন সরকারের যা ক্ষমতা, সেই ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি মহার্ঘ ভাতা দিয়েছেন । এর চেয়ে বেশি মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই । মঙ্গলবার আরও একবার একই কথা শোনা গেল তাঁর গলায় ৷ এদিন মমতার স্পষ্ট বার্তা, রাজ্যে কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতা চাইলে হবে না ।

মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ঋষি অরবিন্দ ঘোষের 150তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি অধিকার দেওয়ার পক্ষে । আমি অধিকার কেড়ে নেওয়ার মানুষ নই । আমাদের ফেডারেল স্ট্রাকচারে কতগুলো ভাগ আছে । রাজ্য সরকার চলে রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী । কেন্দ্রীয় সরকার চলে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি অনুসারে । আর সেই কারণেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামো আলাদা । কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাংক আছে । রাজ্যের নেই । কেন্দ্রের টাকা ছাপানোর ক্ষমতা আছে । রাজ্য সরকারের সেই ক্ষমতা নেই ।’’

এদিন জিএসটি নীতিরও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Criticises GST Policy) ৷ এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগে অনেক কর আমরা আদায় করতে পারতাম । এখন কেন্দ্রীয়ভাবে একটাই কর, জিএসটি । এটা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র । এতে তো লোকসান হচ্ছে আমাদের । এই কর চালু করার সময় যে টাকা দেওয়া হবে বলা হয়েছিল, তা দেওয়া হচ্ছে না । আমরা যে কিছু করব তাও করতে পারছি না ।’’

একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 100 দিনের কাজের টাকা মানুষ পাইনি ৷ সাত হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে । রাস্তার টাকাও পাচ্ছে না তাঁর সরকার ৷ তার মধ্যেও রাজ্য সরকার যে মাস পহেলায় মাইনে দেয়, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমি দেখতাম শিক্ষকরা এক তারিখে মাইনে পান না । তখন সরকারি কর্মচারীরা সময় মতো বেতন পেতেন না । আমরা কিন্তু এখন গর্ব করে বলতে পারি, এত ধার করে রেখে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেক ধার শোধ করেছি । আমরা এক তারিখে মাইনেটা দিই । আমরা সময় মতো পেনশনটাও দিই ।’’

মমতার দাবি, ‘‘যে সরকার এত মানবিক, সেই সরকারকে নিয়ে ভাববেন না । রাজ্য সরকারের পে কমিশন রাজ্য সরকারের নীতি অনুসারে চলে । সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ সিক্সথ পে কমিশন যে টাকা সুপারিশ করেছে, সেটা আমরা দিয়েছি । এই অবস্থায় আপনারা যদি বলেন কাজ করবেন রাজ্য সরকারে আর কেন্দ্রীয় সরকারের হারে দিয়ে দিতে হবে, তা তো হতে পারে না । কেন্দ্রের স্কুল আলাদা মাইনে পায়, রাজ্যের স্কুলের বেতন কাঠামো আলাদা । আমার যদি ক্ষমতা থাকে আমি মহার্ঘ ভাতা নিশ্চয়ই দেব ।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় বাম আমলের ব্যবস্থার সমালোচনাও শোনা যায় । তাঁর দাবি, সিপিএমের আমলে 33 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছিল । তাঁর সময়ে 106 শতাংশ দেওয়া হয়েছে । 2019 এর ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী 6 শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে ৷ এর সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘স্বাস্থ্য সাথী চলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছি আমরা, পেনশনও চলছে । একটা সরকার আর কত করতে পারে ।’’

আরও পড়ুন: এর চেয়ে বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়, পছন্দ না হলে মুন্ডু কেটে নিন, বিধানসভায় বললেন মমতা

কলকাতা, 14 মার্চ: বর্ধিত বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন সরকারের যা ক্ষমতা, সেই ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি মহার্ঘ ভাতা দিয়েছেন । এর চেয়ে বেশি মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই । মঙ্গলবার আরও একবার একই কথা শোনা গেল তাঁর গলায় ৷ এদিন মমতার স্পষ্ট বার্তা, রাজ্যে কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতা চাইলে হবে না ।

মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ঋষি অরবিন্দ ঘোষের 150তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি অধিকার দেওয়ার পক্ষে । আমি অধিকার কেড়ে নেওয়ার মানুষ নই । আমাদের ফেডারেল স্ট্রাকচারে কতগুলো ভাগ আছে । রাজ্য সরকার চলে রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী । কেন্দ্রীয় সরকার চলে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি অনুসারে । আর সেই কারণেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামো আলাদা । কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাংক আছে । রাজ্যের নেই । কেন্দ্রের টাকা ছাপানোর ক্ষমতা আছে । রাজ্য সরকারের সেই ক্ষমতা নেই ।’’

এদিন জিএসটি নীতিরও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Criticises GST Policy) ৷ এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগে অনেক কর আমরা আদায় করতে পারতাম । এখন কেন্দ্রীয়ভাবে একটাই কর, জিএসটি । এটা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র । এতে তো লোকসান হচ্ছে আমাদের । এই কর চালু করার সময় যে টাকা দেওয়া হবে বলা হয়েছিল, তা দেওয়া হচ্ছে না । আমরা যে কিছু করব তাও করতে পারছি না ।’’

একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 100 দিনের কাজের টাকা মানুষ পাইনি ৷ সাত হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে । রাস্তার টাকাও পাচ্ছে না তাঁর সরকার ৷ তার মধ্যেও রাজ্য সরকার যে মাস পহেলায় মাইনে দেয়, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমি দেখতাম শিক্ষকরা এক তারিখে মাইনে পান না । তখন সরকারি কর্মচারীরা সময় মতো বেতন পেতেন না । আমরা কিন্তু এখন গর্ব করে বলতে পারি, এত ধার করে রেখে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেক ধার শোধ করেছি । আমরা এক তারিখে মাইনেটা দিই । আমরা সময় মতো পেনশনটাও দিই ।’’

মমতার দাবি, ‘‘যে সরকার এত মানবিক, সেই সরকারকে নিয়ে ভাববেন না । রাজ্য সরকারের পে কমিশন রাজ্য সরকারের নীতি অনুসারে চলে । সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ সিক্সথ পে কমিশন যে টাকা সুপারিশ করেছে, সেটা আমরা দিয়েছি । এই অবস্থায় আপনারা যদি বলেন কাজ করবেন রাজ্য সরকারে আর কেন্দ্রীয় সরকারের হারে দিয়ে দিতে হবে, তা তো হতে পারে না । কেন্দ্রের স্কুল আলাদা মাইনে পায়, রাজ্যের স্কুলের বেতন কাঠামো আলাদা । আমার যদি ক্ষমতা থাকে আমি মহার্ঘ ভাতা নিশ্চয়ই দেব ।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় বাম আমলের ব্যবস্থার সমালোচনাও শোনা যায় । তাঁর দাবি, সিপিএমের আমলে 33 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছিল । তাঁর সময়ে 106 শতাংশ দেওয়া হয়েছে । 2019 এর ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী 6 শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে ৷ এর সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘স্বাস্থ্য সাথী চলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছি আমরা, পেনশনও চলছে । একটা সরকার আর কত করতে পারে ।’’

আরও পড়ুন: এর চেয়ে বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়, পছন্দ না হলে মুন্ডু কেটে নিন, বিধানসভায় বললেন মমতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.