কলকাতা, 6 মার্চ: মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম । ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ এই নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন । এই অবস্থায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার এই নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee on DA) । স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের ক্ষমতায় সবচেয়ে বেশি যতটা মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যায়, তা দিয়েছেন তিনি । এর চেয়ে বেশি আর তাঁর মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ক্ষমতা নেই ।
প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) প্রসঙ্গ সবার প্রথমে তোলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই প্রসঙ্গে বলতে শুরু করেন । তিনি বলেন, ‘‘আমার যা ক্ষমতা ছিল আমি দিয়েছি । এর থেকে বেশি দিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের । আমার যা ক্ষমতা ছিল আমি করেছি । লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে 60 বছর হয়ে গেলেও এক হাজার টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে । এই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে মধুর স্নেহ, অসংখ্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়েছে । এর চেয়ে বেশি আর দেওয়ার ক্ষমতা নেই ।’’
এদিন তিনি এমন আভাসও দিয়েছেন যে রাজ্য সরকারের ডিএ নিয়ে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই । কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল আলাদা, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল আলাদা । একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘বাম আমলে ডিএ দেওয়া হয়নি । আমরা প্রথমে 99 শতাংশ ও পরে 6 শতাংশ ডিএ দিয়েছি । আর কত চাই ! কত পেলে সন্তুষ্ট হবেন ? আমাকে পছন্দ না হলে মুন্ডু কেটে নিন ।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের জন্য যতটুকু করার তিনি সবটুকুই করেছেন । এর মধ্যে মেটারনিটি লিভ রয়েছে । পুজোর সময় 10 দিনের ছুটি রয়েছে । সরকারি কর্মচারীদের 40 দিন সবেতনের ছুটি দিয়েছে । ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশেও এত সুবিধা সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া হয় না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘একাধিক রাজ্যে পেনশন তুলে দেওয়া হয়েছে । অনেক সেখানে পেনশন দেওয়ার জন্য স্যালারি থেকে একটা নির্দিষ্ট অংশ কেটে নেওয়া হয় । কিন্তু এই রাজ্যে তেমনটি করা হচ্ছে না । যেহেতু রাজ্য সরকার পেনশন দিচ্ছে, সেহেতু এই খাতে অনেকটা টাকা চলে যাচ্ছে ।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা বলে দিক, অন্য রাজ্যের মতো পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হলে রাজ্যের হাতে প্রয়োজনীয় টাকা চলে আসবে । সেক্ষেত্রে তারা ব্যবস্থা করতে পারবে ।’’
আরও পড়ুন: ডিএ ইস্যুতে একমঞ্চে কৌস্তভ-রাহুল !