কলকাতা, 24 মার্চ: বগটুই নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় (Mamata Meets Birbhum Leaders)। বীরভূম জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ দিন উঠে এসেছিল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বগটুইয়ের ঘটনার বর্ষপূর্তিতে তাঁকে এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার প্রসঙ্গ ।
শুক্রবার বগটুইয়ে দলের সংগঠন দেখাশোনার ভার রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির উপরে থাকলেও এর সঙ্গে কাজল শেখকে ওই এলাকা দেখাশোনা করতে বলেছেন দলনেত্রী । তিনি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, মাঝেমধ্যে বগটুইয়ে গিয়ে ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে । পাশাপাশি সংখ্যালঘু প্রধান এই এলাকায় যেভাবে শাসক দলের প্রতি ওই পরিবারগুলির একাংশের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা ।
সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "ওঁদের চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়েছে, এমনকী সরকারের আর্থ-সামাজিক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ৷ এরপরেও ওঁদের কেউ কেউ বিরোধী দলের দিকে চলে যাচ্ছে ! ওঁদের জন্য কি কিছুই করা হয়নি !"
প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন কমা নিয়ে চিন্তিত দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে । ইতিমধ্যেই সাগরদিঘি নির্বাচনের পর দলের প্রতি সংখ্যালঘুদের সমর্থন কমেছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য পাঁচজনের একটা কমিটি গড়েছে তৃণমূল । একইভাবে এ দিন বগটুইয়ের মতো সংখ্যালঘু এলাকায় দলের সমর্থন হারানো নিয়ে চিন্তিত মনে হল তৃণমূল নেত্রীকে । অন্তত তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্যের সূত্র ধরে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার থেকেই এমনটা অনুমান ।
আরও পড়ুন: বীরভূমের সংগঠন দেখবেন তিন নেতা, অনুব্রত কন্যার খেয়াল রাখার নির্দেশ মমতার
যদিও মুর্শিদাবাদ নিয়ে বৈঠকের সময় তৃণমূল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থন তাদের সঙ্গেই রয়েছে । খুব সহজভাবেই এ দিনের আক্ষেপ যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা ধরে নিতেই হবে যে, সংখ্যালঘু ভোট যা বিগত নির্বাচনগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় শক্তি হয়ে দেখা দিয়েছিল, তা হারানো নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের শাসক দল ।