কলকাতা, 7 জুন: কালীঘাটে বসে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একটি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি একটি নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন ৷ যার নাম হবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী । আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করতে চলেছেন মমতা ।
এ বার আর দিদিকে বলো নয় । এ বার বাংলার সাধারণ মানুষ সরাসরি কথা বলতে পারবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । এ ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে নানা অভাব-অভিযোগ সাধারণ মানুষ একদম সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই জানাতে পারবেন । যদিও পুরো কর্মসূচি কী হতে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় ।
আগামিকালই এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে । তবে দিদিকে বলো নামে যে জনসংযোগ কর্মসূচি অতীতে প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে চালু করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে, এ বারের জনসংযোগ কর্মসূচি হবে তার থেকে আলাদা । আইপ্যাক নয়, যেহেতু এই কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে সরাসরি সরকারি মাধ্যম থেকে, তাই সবটাই সামলাবেন সরকারি অফিসারেরা । এমনকী এমনটাও জানা যাচ্ছে যে, এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকছে ।
আরও পড়ুন: এবার কি বাথরুমেও ঢুকবে নাকি সিবিআই, পৌর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে কটাক্ষ মমতার
নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু জানা গিয়েছে, তাতে আপাত দৃষ্টিতে এই কর্মসূচিকে দেখে 'দিদিকে বলো'র নব কলেবর মনে হলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে বিষয়টি একদম আলাদা । মনে করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে গ্রিভান্স সেল চালু করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে সেখানে ফোন করে বা মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যেত । সেই অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য ছিলেন একজন সচিব পদমর্যাদার অফিসার । তিনি অভিযোগের বিষয়গুলি যাচাই করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতেন ।
এ বার নতুন এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে । তবে গ্রিভান্স সেল বন্ধ না করে, এই কর্মসূচি চালু করে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে । তবে গোটা বিষয়টি এখনও খুব একটা পরিষ্কার নয় । সবটাই আগামিকাল কর্মসূচি চালু হলে আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে ।