কলকাতা, 18 জানুয়ারি: 47তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উদ্বোধনের আগেই বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি ৷ এ দিন তিনি জানিয়েছেন যে, এবারের বইমেলায় তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা হবে 143 ৷ আর সাতটা বই লিখে সামনের বছর বইমেলাতেই 150-র কোটা পূর্ণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
এ দিন মেলার উদ্বোধনের আগেই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বইমেলায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন দোলা সেন, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, নগরপাল বিনীত গোয়েল-সহ আরও অনেকে ৷ কলকাতা বইমেলায় এ বারের থিম কান্ট্রি ব্রিটেন ৷ বইমেলার উদ্বোধন করে ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, লন্ডনের প্রতিটি রাস্তা তাঁর চেনা ৷ কারণ সেখানে গেলে গাড়িতে নয়, পায়ে হেঁটেই সব রাস্তায় ঘুরে বেড়ান ৷ বাংলার অনেক ছেলেমেয়ে ব্রিটেনে কাজ করে ও পড়াশোনা করে, এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন যে, বাংলার সঙ্গে ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ৷
এ বছর বইমেলায় তাঁর কতগুলো বই প্রকাশ পাচ্ছে সেই তথ্যও এ দিন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "এতদিন আমার 136টি বই ছিল ৷ আর এ বারের বই প্রকাশ পেলে আমার মোট বই হবে 143টি ৷ সামনের বছর আর সাতটা লিখব ৷ 150 হয়ে যাবে ৷ রাস্তায় যেতে যেতে লিখতে ভালো লাগে ৷ টাইম পাই না ৷ যাঁরা আমার সঙ্গে ট্রাভেল করে, আমি বলব তাঁরা লিখে নিলে সবচেয়ে ভালো হত ৷ নিজে হাতে লেখার সময় হয়ে ওঠে না ৷"
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, "বইমেলা এখন বিশ্বমেলা ৷ কলকাতায় একটা ছোট্ট জায়গায় আগে বইমেলা হত ৷ তাই নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে ৷ 95 সাল থেকে প্রথম বইমেলায় আমার বই বেরোয় ৷ আজ বইমেলায় কত জায়গা ৷ বুকস্টলগুলি দেখে চমকে যেতে হয় ৷ এই প্রাঙ্গণ আমরা বইমেলাকেই দিয়ে দিয়েছি ৷ এটা স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গণ ৷ আমাদের দফতরগুলি বইমেলার আগে একটি বৈঠক করে বইমেলা কমিটির সঙ্গে ৷ আমরা সবরকম সহযোগিতা করি ৷"
উল্লেখ্য, বইমেলায় এ বার মোট 9টি প্রবেশদ্বার করা হয়েছে ৷ প্রতিটি প্রবেশদ্বারের নাম রাখা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ৷ মেলা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ মোট 200টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৷ প্রতিদিনি বেলা 12টা থেকে রাত 8টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকছে ৷ বইমেলা চলবে 31 জানুয়ারি পর্যন্ত ৷
আরও পড়ুন: