কলকাতা, 27 জুলাই: মণিপুরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে বারবার চক্রান্তের তত্ত্ব শোনা যাচ্ছে । মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠকে মন্ত্রীদের এই নিয়ে তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন । এবার রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন তিনি । নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই দুই নেতা ওই পরিকল্পনার অংশ বলেও তিনি দাবি করেছেন ৷
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে ওরা কী প্ল্যানিং করে এসেছে আমি সবটা বলব না, কিছুটা বলব । শুধু ওদের সোর্স নেই, আমাদেরও সোর্স আছে । বৈঠকে এখানকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৷ এছাড়া বড় বড় নেতারা ছিল । ওরা পঞ্চায়েত নিয়ে আলোচনা করেছে । সেটা আমি আর বলছি না । কিন্তু প্রধান এজেন্ডা হতে চলেছে - নির্বাচনে মাইলেজ পেতে আগামিদিনে সমাজকে ধর্ম এবং সামাজিকতার ভিত্তিতে বিভাজিত করতে হবে ।’’
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এভাবেই মণিপুরে জাতি হিংসা ছড়িয়েছে ৷ বিজেপির দ্বিতীয় এজেন্ডা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘‘ওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ঘটনাগুলিকে হাইলাইট করতে হবে । একইভাবে এসসি-এসটিদের উপর আক্রমণের ঘটনাতেও সিম্প্যাথির জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে ।’’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আরও বলা হয়েছে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ পোড়ে । এক্ষেত্রে আদিবাসী, গোর্খা, মতুয়া এবং রাজবংশীদের টার্গেট করতে হবে । একইভাবে 24 এর নির্বাচনে সুবিধা পেতে মাইনোরিটি অর্থাৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটতে পারে এমন যেকোনও রাজনৈতিক দলকে ফান্ডিং করতেও প্রস্তুত বিজেপি । তাঁর কটাক্ষ, ‘‘সেটা শ্মশান পার্টি হলেও চলবে ।’’
আরও পড়ুন: মণিপুরের সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা মমতার, পালটা কালো পতাকা বিজেপির
মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘মণিপুরকে ডিফেন্ড করতে বিজেপি রাজ্যে স্টিং অপারেশন করতে দশটি টিম নামাচ্ছে । যারা আদতে রাজ্যকে নিয়ে ফেক ভিডিয়ো তৈরি করে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করবে ।’’