কলকাতা, 17 জানুয়ারি: 2024 সালের মাঝামাঝি লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) ৷ এখনও প্রায় 18 মাস বাকি কেন্দ্রের পরবর্তী সরকার নির্ধারণের ভোটের জন্য ৷ কিন্তু এখন থেকেই সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ৷ এই নিয়েই মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ৷ যার উত্তর সরাসরি দেননি তৃণমূল নেত্রী ৷
প্রথমে তিনি বলেন, ‘‘এর বিস্তারিত কোনও উত্তর দেব না ৷’’ তার পর তাঁর সংযোজন, ‘‘কারণ, নীরবতাই অনেক সময় অনেক কিছু বলে দেয় ৷ নো কমেন্টস ইজ গোল্ডেন ৷’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম প্রতিপক্ষ ৷ সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে অন্যতম যোগ্য হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ৷
তাই তিনি এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেবেন না, তা কি হতে পারে ! হয়ওনি ৷ বিজেপিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ বলেছেন, ‘‘তাই অপেক্ষা করুন ৷ আর দেখতে থাকুন ৷’’ নয়াদিল্লিতে সোম ও মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠক থেকেই কার্যত 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের রূপরেখা বেঁধে দিয়েছেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা ৷ সেই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলের জন্য চলতি বছরে দেশের 9টি রাজ্যে হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি ৷ কোনও রাজ্যেই হারা চলবে না বলে নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ৷ সেই নয় রাজ্যের তালিকায় রয়েছে মেঘালয় (Meghalaya Assembly Elections 2023) ৷ সেখানে নির্বাচনী ময়দানে অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যে তারা অধিকাংশ আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করে দিয়েছে ৷
মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রথমে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় যান ৷ তার পর সেখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা মেঘালয়ে ৷ যাওয়ার আগে মমতা দাবি করলেন, মেঘালয়ের মানুষও পরিবর্তন চান ৷ তিনি বলেন, "মেঘালয়ের মানুষ পরিবর্তন চায় (সরকারে) । অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে সমস্যা রয়েছে । দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত ।"
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মেঘালয়ে 2018 সালে একক বৃহত্তম দল হয় কংগ্রেস ৷ কিন্তু এনপিপি-কে সামনে রেখে আরও একাধিক দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি ৷ কিন্তু ওই রাজ্যে কংগ্রেস এখন অতীত ৷ কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়ক এখন তৃণমূলে ৷ গত কয়েকমাস ধরে তৃণমূলই সেখানকার প্রধান বিরোধী দল ৷ ফলে ওই রাজ্যের ভোট নিয়ে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির ৷
তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের সফরে কী বার্তা দেন, সেই দিকে মেঘালয়ের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা তাকিয়ে ৷ এবারের সফরে নর্থ গারো হিলসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভাও করবেন ৷ এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্র সচেতন না হলে রানিগঞ্জের অবস্থাও জোশীমঠের মতো হবে, আশঙ্কা মমতার