ETV Bharat / state

কেন রাজীব কুমার গোয়েন্দাদের নজরে ?

author img

By

Published : May 17, 2019, 1:39 PM IST

Updated : May 17, 2019, 3:40 PM IST

অভিযোগ কতটা গুরুতর, গ্রেপ্তার কি তবে সময়ের অপেক্ষা ? সাতদিনের মধ্যে সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে পারবেন রাজীব কুমার

ফাইল ফোটো

কলকাতা, 17 মে : আশঙ্কাটা সত্যি হল । গ্রেপ্তারের কালো মেঘ এ বার কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের মাথার উপর । আজ গ্রেপ্তার না করার রক্ষাকবচ রাজীব কুমারের উপর থেকে সরিয়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট । সন্দেহ নেই শীর্ষ আদালতের এই দিনের সিদ্ধান্তে শুধু রাজীব নয়, বিড়ম্বনা বাড়তে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেও ।

যদিও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটা হওয়ারই ছিল । তাঁদের যুক্তি, রাজীবের উপর বলবৎ থাকা রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা । আর যে দিনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজীবকে দিল্লিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন, সে দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ছবিটা ।

তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর । বিতর্কের সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগেই । তাঁর বিরুদ্ধে CBI-এর আভিযোগ, সারদাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন-সহ অন্য়ান্য অভিযুক্তদের মোবাইলের বিকৃত কল ডিটেলস রেকর্ড (CDR) তাদের হাতে তুলে দেন রাজীব । CDR বিকৃত করার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও রয়েছে রাজীবের বিরুদ্ধে । শীর্ষ আদালতে সারদা-রোজভ্যালি সমেত অন্যান্য চিটফান্ড মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা CBI-এর বিশেষ SP পার্থ মুখোপাধ্যায় একটি অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেছিলেন । সেই হলফনামায় তিনি আদালতকে জানান, রাজীব কুমার ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হওয়ার মতো অপরাধ করেছেন । হলফনামার 11 এবং 12 নম্বর পরিচ্ছদে তিনি শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের কাছে অনেক তদ্বির এবং অনুরোধের পর সুদীপ্ত সেন এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মোবাইলের কল রেকর্ডস CBI-এর হাতে তুলে দেন রাজীব কুমার । সেই CDR এবং মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে CBI যে CDR সংগ্রহ করেছিল তার মধ্যে বিস্তর ফারাক পাওয়া গেছে ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : রক্ষাকবচ তুলল সুপ্রিম কোর্ট, সাতদিন সময় রাজীবকে

এরপর CBI দাবি করে, সারদা, রোজ়ভ্যালি এবং টাওয়ার গ্রুপের মতো চিটফান্ডের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের আর্থিক লেনদেনের তথ্য তাদের হাতে এসেছে । CBI-এর অভিযোগ, রাজীব কুমার রাজ্য সরকারের তৈরি করা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)-এর অন্যতম প্রধান তদন্তকারী হিসেবে ওই সমস্ত চিটফান্ডের বিরুদ্ধে থাকা তথ্য গোপন করেছেন । আর তাই রাজীব কুমারকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ বা জেরা করা প্রয়োজন বলে দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে যায় CBI । এর মাঝে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার বাড়িতেও যায় CBI-র টিম । কিন্তু, রাজীবের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযোগে কলকাতার ধর্মতলায় ধরনায় বসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরই বিষয়টিতে ফের হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট । সে সময় ফেব্রুয়ারি মাসে শীর্ষ আদালত শিলংয়ে রাজীব কুমারকে CBI-এর প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় । কিন্তু, একই সঙ্গে রাজীবকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না CBI- এই মর্মে রক্ষাকবচও দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন : কমিশনের সময়সীমার 2 ঘণ্টা পর ডিউটি জয়েন রাজীব কুমারের

রাজীবকে টানা পাঁচদিনের জেরা পর্বের রিপোর্ট গোয়েন্দারা মুখ বন্ধ খামে শীর্ষ আদালতকে জমা দেয় । সেই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরুতর।’’ তখনই CBI-এর তরফে হলফনামা পেশ করে জানানো হয়, CBI তদন্ত শুরু হওয়ার আগে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)–এর অন্যতম প্রধান কর্তা হিসাবে সারদা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার । CBI অভিযোগ করে, রাজীব কুমারের নির্দেশেই মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ফোনের কল ডিটেলস-এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । তা ছাড়া দেবযানীর ল্যাপটপ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে সাহায্য করেছে রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন পুলিশ । হদিশ মেলেনি ডায়েরি-সহ বেশ কিছু নথির।

CBI শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, ওই নথি উদ্ধার করার জন্য রাজীব কুমারের মতো প্রভাবশালী পুলিশকর্তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন । একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে শীর্ষ আদালতের যে রক্ষাকবচ দেওয়া রয়েছে, আদালত যাতে তা প্রত্যাহার করে নেয়, সেই আবেদনও জানানো হয় । সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজীব কুমারকেও পালটা হলফনামা পেশ করতে বলেছিল আদালত । সেই হলফনামায় রাজীব দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্তর্বর্তী অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী এবং মেয়ে চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত । সেই মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশ করছে । সেই কারণেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে CBI তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছিলেন রাজীব ।

যদিও এ দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজীবের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল । CBI-এর অনুরোধ মেনেই রাজীবের উপর থেকে রক্ষাকবচ সরিয়ে নিল আদালত । বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বিপদ বাড়ল রাজীবের । যদিও প্রাথমিক ভাবে সাতদিন সুযোগ পেয়েছেন রাজীব । কিন্তু, সাতদিনের মধ্যে নিজের সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে পারবেন রাজীব ? এটাই বোধ হয় এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।

কলকাতা, 17 মে : আশঙ্কাটা সত্যি হল । গ্রেপ্তারের কালো মেঘ এ বার কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের মাথার উপর । আজ গ্রেপ্তার না করার রক্ষাকবচ রাজীব কুমারের উপর থেকে সরিয়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট । সন্দেহ নেই শীর্ষ আদালতের এই দিনের সিদ্ধান্তে শুধু রাজীব নয়, বিড়ম্বনা বাড়তে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেও ।

যদিও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটা হওয়ারই ছিল । তাঁদের যুক্তি, রাজীবের উপর বলবৎ থাকা রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা । আর যে দিনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজীবকে দিল্লিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন, সে দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ছবিটা ।

তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর । বিতর্কের সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগেই । তাঁর বিরুদ্ধে CBI-এর আভিযোগ, সারদাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন-সহ অন্য়ান্য অভিযুক্তদের মোবাইলের বিকৃত কল ডিটেলস রেকর্ড (CDR) তাদের হাতে তুলে দেন রাজীব । CDR বিকৃত করার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও রয়েছে রাজীবের বিরুদ্ধে । শীর্ষ আদালতে সারদা-রোজভ্যালি সমেত অন্যান্য চিটফান্ড মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা CBI-এর বিশেষ SP পার্থ মুখোপাধ্যায় একটি অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেছিলেন । সেই হলফনামায় তিনি আদালতকে জানান, রাজীব কুমার ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হওয়ার মতো অপরাধ করেছেন । হলফনামার 11 এবং 12 নম্বর পরিচ্ছদে তিনি শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের কাছে অনেক তদ্বির এবং অনুরোধের পর সুদীপ্ত সেন এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মোবাইলের কল রেকর্ডস CBI-এর হাতে তুলে দেন রাজীব কুমার । সেই CDR এবং মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে CBI যে CDR সংগ্রহ করেছিল তার মধ্যে বিস্তর ফারাক পাওয়া গেছে ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : রক্ষাকবচ তুলল সুপ্রিম কোর্ট, সাতদিন সময় রাজীবকে

এরপর CBI দাবি করে, সারদা, রোজ়ভ্যালি এবং টাওয়ার গ্রুপের মতো চিটফান্ডের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের আর্থিক লেনদেনের তথ্য তাদের হাতে এসেছে । CBI-এর অভিযোগ, রাজীব কুমার রাজ্য সরকারের তৈরি করা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)-এর অন্যতম প্রধান তদন্তকারী হিসেবে ওই সমস্ত চিটফান্ডের বিরুদ্ধে থাকা তথ্য গোপন করেছেন । আর তাই রাজীব কুমারকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ বা জেরা করা প্রয়োজন বলে দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে যায় CBI । এর মাঝে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার বাড়িতেও যায় CBI-র টিম । কিন্তু, রাজীবের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযোগে কলকাতার ধর্মতলায় ধরনায় বসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরই বিষয়টিতে ফের হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট । সে সময় ফেব্রুয়ারি মাসে শীর্ষ আদালত শিলংয়ে রাজীব কুমারকে CBI-এর প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় । কিন্তু, একই সঙ্গে রাজীবকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না CBI- এই মর্মে রক্ষাকবচও দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন : কমিশনের সময়সীমার 2 ঘণ্টা পর ডিউটি জয়েন রাজীব কুমারের

রাজীবকে টানা পাঁচদিনের জেরা পর্বের রিপোর্ট গোয়েন্দারা মুখ বন্ধ খামে শীর্ষ আদালতকে জমা দেয় । সেই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরুতর।’’ তখনই CBI-এর তরফে হলফনামা পেশ করে জানানো হয়, CBI তদন্ত শুরু হওয়ার আগে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)–এর অন্যতম প্রধান কর্তা হিসাবে সারদা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার । CBI অভিযোগ করে, রাজীব কুমারের নির্দেশেই মামলার প্রধান দুই অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ফোনের কল ডিটেলস-এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । তা ছাড়া দেবযানীর ল্যাপটপ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে সাহায্য করেছে রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন পুলিশ । হদিশ মেলেনি ডায়েরি-সহ বেশ কিছু নথির।

CBI শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, ওই নথি উদ্ধার করার জন্য রাজীব কুমারের মতো প্রভাবশালী পুলিশকর্তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন । একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে শীর্ষ আদালতের যে রক্ষাকবচ দেওয়া রয়েছে, আদালত যাতে তা প্রত্যাহার করে নেয়, সেই আবেদনও জানানো হয় । সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজীব কুমারকেও পালটা হলফনামা পেশ করতে বলেছিল আদালত । সেই হলফনামায় রাজীব দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্তর্বর্তী অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী এবং মেয়ে চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত । সেই মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশ করছে । সেই কারণেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে CBI তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছিলেন রাজীব ।

যদিও এ দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজীবের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল । CBI-এর অনুরোধ মেনেই রাজীবের উপর থেকে রক্ষাকবচ সরিয়ে নিল আদালত । বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বিপদ বাড়ল রাজীবের । যদিও প্রাথমিক ভাবে সাতদিন সুযোগ পেয়েছেন রাজীব । কিন্তু, সাতদিনের মধ্যে নিজের সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে পারবেন রাজীব ? এটাই বোধ হয় এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।

Mangaluru (Karnataka), May 17 (ANI): As part of the 'Jatra Mahotsava' of Chelairu Kandige Dharmarasu Sri Ullaya Temple, a special fishing ritual was observed in Karnataka's Mangaluru. The special fishing ritual held at Kandige Nandini River at Mangaluru on May 15. Hundreds of people gathered to participate in the annual fish-catching festival. The enthusiasm of the participants, who came from different communities, was high as they caught different varieties of fish to mark the occasion. The fish caught during the festival is prepared as a dish and served to the deity and 'daivaradhane' rituals are performed. While speaking to ANI, one of the participants, George D'souza said, "It was a special day and joyful occasion for all."
Last Updated : May 17, 2019, 3:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.