কলকাতা, 20 জানুয়ারি: শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাবতীয় সরকারি সুবিধার দাবিতে চলে আসা মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনশনের আজ পঞ্চম দিন ৷ আর অবস্থান-বিক্ষোভের নবম দিন । প্রথম থেকেই তাঁরা জোর গলায় জানিয়ে এসেছেন, দাবি পূরণ না হলে সরকারের দুয়ারে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে নিতে প্রস্তুত তাঁরা । সেই মনোভাবকেই আরও দৃঢ় করে সরকারের কাছে জানান দিতে আজ থেকে "কাফন আন্দোলন" শুরু করলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা । মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যুর পর তাঁকে সাদা রঙের কাপড় পরানো হয় । যাকে বলা হয় "কাফন"। আজ জীবিত অবস্থাতেই মৃতের সেই সাদা পোষাক পরে আন্দোলন শুরু করলেন তাঁরা ।
হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে গত 12 জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের অদূরে লাগাতার অবস্থান করে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা । অবস্থানের কয়েকদিনের মাথায় তাঁরা অনশনও শুরু করেন । আজ তাঁদের অনশন পঞ্চম দিনে পড়ল । ইতিমধ্যেই অনশনকারী সাতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । আজও এক শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানাচ্ছেন আন্দোলনের নেতৃত্বরা ।
আরও পড়ুন, বিজেপিতে যোগ দিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক
এবার অবস্থান-অনশনের সঙ্গে আন্দোলনের অংশ হিসেবে "কাফন আন্দোলন" শুরু করলেন তাঁরা । এই প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ জাভেদ বলেন, "আজ থেকে আমাদের নতুন করে কাফন আন্দোলন শুরু হয়েছে । মুসলিম সমাজের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী, মারা যাওয়ার পর গোসল করে তাঁকে কবর দেওয়ার আগে যে পোশাক পরানো হয় তাকে আমরা কাফন বলি । দীর্ঘ নয় বছর ধরে বেতন না পাওয়া আমাদের মরে যাওয়ার সমান হয়েছে । আমাদের বেঁচে থাকা, মরে যাওয়া দুটোই সমান । তাই আমরা জীবিত অবস্থাতেই শরীরে কাফন তুলে নিয়েছি । মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি, যাতে উনি আমাদের বেতন দেন । যদি না দেন তাহলে আমরা এখান থেকে চারকাঁধে অর্থাৎ মৃত অবস্থায় ফিরে যেতে চাই । আমাদের অনশনও চলছে । তিনজন অনশনকারীর স্যালাইন চলছে । তাঁদের মধ্যে একজন শিক্ষিকা খুব অসুস্থ ।"